ETV Bharat / sitara

"TMC-কে অবজ্ঞা করি, তবে মিমির পাশে আছি", বিজ্ঞাপন বিতর্কে মিমির পাশে বিজেপির অনিন্দ্য - mimi chakrabarty ad controversy

বিজ্ঞাপন বির্তকে মিমি চক্রবর্তীর পাশে দাঁড়ালেন বিজেপির অনিন্দ্যপুলক ব্যানার্জি । সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বিজ্ঞাপনে মিমির 'জনপ্রতিনিধি' পরিচয়টিকে বিশেষ ভাবে হাইলাইট করা হয়েছে । আর এরপরেই তীব্র বিরোধীতার মুখোমুখি হয়েছেন অভিনেত্রী ।

mimi chakrabarty ad controversy
mimi chakrabarty ad controversy
author img

By

Published : Jan 25, 2020, 3:32 PM IST

কলকাতা : সম্প্রতি বিদ্যা বালনের সঙ্গে একটি তেলের বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে তৃণমূলের সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। সব ঠিকই ছিল, কিন্তু গোল বেধেছে বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত একটিমাত্র শব্দে। সেখানে মিমি নিজেকে 'জনপ্রতিনিধি' হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন । বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কীভাবে এই পরিচয় ব্যবহার করলেন মিমি ? এই প্রশ্ন তুলে তুমুল সমালোচনা করা হয় তাঁর । তবে মিমির পাশে দাঁড়ালেন বিজেপিতে যোগদানকারী অনিন্দ্যপুলক ব্যানার্জি ।

mimi chakrabarty ad controversy
সৌজন্যে ইনস্টাগ্রাম

অনিন্দ্য বলেন, "আমি দেখেছি আমার পার্টির অধিকাংশ মানুষই খুব বেশি রিঅ্যাক্ট করে ফেলে । তবে আমি করব না । মিমি একজন অভিনেত্রী.. সে যে সবকিছু জানবে সেটা আমরা ধরে নিচ্ছি কেন ? অনেক সিনিয়র লিডাররাও এই ভুল করেন । রাজনীতি যদি শুধুমাত্র আক্রমণের দিকে যায়, তাহলে তো মুশকিল ।"

অভিনেতা এটাও বলেন, "আমি তৃণমূলের ঘোর বিরোধী । তৃণমূলকে পার্টি বলে মনেই করি না । অবজ্ঞা করি । তাও আমি মিমিকে কটাক্ষ করব না । একজন মানুষ না জেনে একটা কাজ করেছে, তাঁকে বিশ্বাস করা উচিত । দেখা উচিত ভবিষ্যতে সে আর এরকম ভুল করে কিনা ।"

mimi chakrabarty ad controversy
সৌজন্যে ইনস্টাগ্রাম


আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় নিজেও বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত । তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "মিমি চক্রবর্তীর এইভাবে বিজ্ঞাপন তৈরি করা ঠিক হয়নি ।" অন্যদিকে হুগলির বিজেপি সাংসদ ও অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "হয়তো মিমি সাংসদ পদের বিধিনিষেধ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। না জেনেই হয়তো এই কাজ করেছেন। যদিও তাঁর এই নিয়মগুলো জেনে রাখা উচিত।"

কলকাতা : সম্প্রতি বিদ্যা বালনের সঙ্গে একটি তেলের বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে তৃণমূলের সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। সব ঠিকই ছিল, কিন্তু গোল বেধেছে বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত একটিমাত্র শব্দে। সেখানে মিমি নিজেকে 'জনপ্রতিনিধি' হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন । বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কীভাবে এই পরিচয় ব্যবহার করলেন মিমি ? এই প্রশ্ন তুলে তুমুল সমালোচনা করা হয় তাঁর । তবে মিমির পাশে দাঁড়ালেন বিজেপিতে যোগদানকারী অনিন্দ্যপুলক ব্যানার্জি ।

mimi chakrabarty ad controversy
সৌজন্যে ইনস্টাগ্রাম

অনিন্দ্য বলেন, "আমি দেখেছি আমার পার্টির অধিকাংশ মানুষই খুব বেশি রিঅ্যাক্ট করে ফেলে । তবে আমি করব না । মিমি একজন অভিনেত্রী.. সে যে সবকিছু জানবে সেটা আমরা ধরে নিচ্ছি কেন ? অনেক সিনিয়র লিডাররাও এই ভুল করেন । রাজনীতি যদি শুধুমাত্র আক্রমণের দিকে যায়, তাহলে তো মুশকিল ।"

অভিনেতা এটাও বলেন, "আমি তৃণমূলের ঘোর বিরোধী । তৃণমূলকে পার্টি বলে মনেই করি না । অবজ্ঞা করি । তাও আমি মিমিকে কটাক্ষ করব না । একজন মানুষ না জেনে একটা কাজ করেছে, তাঁকে বিশ্বাস করা উচিত । দেখা উচিত ভবিষ্যতে সে আর এরকম ভুল করে কিনা ।"

mimi chakrabarty ad controversy
সৌজন্যে ইনস্টাগ্রাম


আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় নিজেও বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত । তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "মিমি চক্রবর্তীর এইভাবে বিজ্ঞাপন তৈরি করা ঠিক হয়নি ।" অন্যদিকে হুগলির বিজেপি সাংসদ ও অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "হয়তো মিমি সাংসদ পদের বিধিনিষেধ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। না জেনেই হয়তো এই কাজ করেছেন। যদিও তাঁর এই নিয়মগুলো জেনে রাখা উচিত।"

Intro:সম্প্রতি বিদ্যা বালনের সঙ্গে একটি তেলের বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে যাদবপুরের সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। সব ঠিকই ছিল, কিন্তু গোল বেধেছে বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত একটিমাত্র শব্দে। মিমির 'জনপ্রতিনিধি' হওয়ার বিষয়টিকে সরাসরিভাবে তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। যে কারণে, মিমিকে রোষের মুখে পড়তে হয়েছে অনেকের। বিরোধীপক্ষের নেতারাও তাঁর এই বিজ্ঞাপনের বিরোধিতা করেছেন তীব্রভাবে।


Body:বিজেপি ও সিপিএমের একাধিক নেতা মিমির বিরুদ্ধে গলা ছড়িয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে মিমি তাঁর জনপ্রতিনিধি হওয়ার পরিচয়কে কোনও বেসরকারি সংস্থার বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করতে পারেন না। তিনি কোনওভাবেই তাঁর পরিচয়ের সাহায্যে কোনও বাণিজ্যিক সংস্থার থেকে অর্থ উপার্জনও করতে পারেন না।

আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় নিজেও বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত, বলেছেন, মিমি চক্রবর্তী এইভাবে বিজ্ঞাপন তৈরি করা ঠিক হয়নি। হুগলির বিজেপি সাংসদ অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় যদিও বলেছেন, হয়তো মিমি সাংসদ পদের বিধিনিষেধ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। না জেনেই হয়তো এই কাজ করেছেন। যদিও তাঁর এই নিয়মগুলো জেনে রাখা উচিত।

অন্যদিকে সদ্য বিজেপিতে যুক্ত হওয়া অভিনেতা-পরিচালক অনিন্দ্যপুলক ব্যানার্জি বিষয়টিকে দেখছেন অন্যভাবে। তিনি আমাদের বলেছেন, "এই বিষয়গুলোকে আমি খুব থিওরিটিক্যালি দেখি। আমি বিজেপি করি। তবে আমি দেখেছি আমাদের পার্টির অধিকাংশ মানুষই খুব রিয়েক্ট করে ফেলে। সেখান থেকে দেখতে গেলে, আমি রিয়াক্ট করব না। মিমি একজন অভিনেত্রী। সে যে সবকিছু জানবে, সেটাই বা আমরা ধরে নিচ্ছি কেন। অনেক সিনিয়র লিডাররাও অনেকরকম ভুল করেন। সেক্ষেত্রে তাঁরা যদি ছাড় পায়, এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে না কেন? রাজনীতি যদি শুধুমাত্র আক্রমণের দিকে চলে যায়, খুব মুশকিল হবে। আমি নিজের আক্রমণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমি সারাক্ষণ পড়াশোনা করার চেষ্টা করি। বিষয়গুলোকে জানার চেষ্টা করি। মিমির বিষয়টাকে আমি খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। বিষয়টাকে সততার সঙ্গে দেখা উচিত। আমি তৃণমূলের ঘোরতর বিরোধী। তৃণমূলকে আমি কোনও পার্টি বলে মনেই করি না। টিএমসি নিয়ে কথাই বলি না। অবজ্ঞা করি। মিমি তো টিএমসি। কিন্তু তা সত্ত্বেও, এই কারণের জন্য মিমিকে আমি তীব্র কটাক্ষ করব না। সবাই তো সবটা জেনে নিয়ে পার্লামেন্টে যায়, সেটা কিন্তু বলা যাবে না। সব পার্টিতে এরকম একজন-দুজনকে খুঁজে পাওয়া যাবে। খুব নিরপেক্ষভাবে বিষয়টাকে আমি বলছি। মিমি তো নিজেই বলছে ও জানত না। তাহলে ওকে আমি অবিশ্বাস করব কেনও। ভারতবর্ষের রাজনীতি কি অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে আছে? এটা কিন্তু রাজনীতির আসল চেহারা নয়। আমি মিমিকে বিশ্বাস করব এবং বিশ্বাস করব, যে আমার দ্বারা যদি এরকম ভুল হয়ে যায়, আমাকেও যেন মানুষ বিশ্বাস করে। একজন মানুষ একটা কাজ করেছে এবং সে বলছে যে না জেনে করেছে। তাঁকে সেই ভরসাটুকু দেওয়া উচিত। তার পরবর্তীকালে অবজার্ভ করা উচিত, আবার সেই একই ভুল সে করছে কিনা। তখন কনডেম করা যেতে পারে।"


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.