কলকাতা : কোরোনা আতঙ্কের জেরে ইতিমধ্যেই ছুটি পড়ে গিয়েছে রাজ্যের একাধিক স্কুল-কলেজে । বন্ধ কলকাতা হাইকোর্ট । স্থগিত রাখা হচ্ছে কিছু সরকারি কাজও । এরই মধ্যে গতকাল সব ধরনের শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন (IMPPA) । সেই সিদ্ধান্তর উপর ভিত্তি করে আজ বিকেলে একটি জরুরি বৈঠক করবেন টলিউডের কলাকুশলীরা । বাংলা ফিল্ম ও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির শুটিং বন্ধ রাখা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওই বৈঠকে ।
IMPPA প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গতকাল একটি বৈঠক করে ফেডেরেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এম্লোয়িজ়, ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (IFTDA), ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া ফিল্ম প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন (WIFPA) ও ইন্ডিয়ান ফিল্ম ও টিভি প্রোডিউসার্স কাউন্সিলের (IFPTC) সদস্যরা । সেখানেই 19 মার্চ থেকে 31 মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ।
যদিও এই নির্দেশিকা আসার আগেই বন্ধ করা হয়েছে বলিউডের একাধিক ছবির শুটিং । পিছিয়ে গিয়েছে ছবি মুক্তির তারিখও । এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এখনও পর্যন্ত বন্ধ হয়নি টলিউড ছবির শুটিং । আর আজকের এই বৈঠকে নির্ধারিত হবে টলিউডের শুটিংয়ের ভাগ্য । যার জেরে উদ্বেগে রয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই ।
SVF এন্টারটেনমেন্ট ও তাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ের একাধিক শুটিং চলছে এখন । এমনকী, কাকাবাবুর শুটিং করতে আফ্রিকায় গেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় । সেখানে দিব্যি শুটিং করছেন তিনি । SVF-এর তরফে জানানো হয়েছে, "সব শুটিং চলছে । তবে সত্যিই শুটিং বন্ধ হবে কিনা সেটা আজ বিকেল ৪টের পর জানা যাবে ।"
একই কথা শোনা গেল টলিউডের টেলিভিশন জগত থেকেও । একটি জনপ্রিয় চ্যানেলের তরফে বলা হয়েছে, "আমাদের যেরকম শুটিং চলছিল সেরকমই চলছে । আমরা কেউই চাই না শুটিং বন্ধ হয়ে যাক । সেটাই হয়তো আজকের মিটিংয়ে আলোচনা হবে ।" অন্য একটি চ্যানেলের তরফে জানানো হয়, "আমাদের সব ধারাবাহিকেরই নিয়ম মতো শুটিং চলছে । এখনও কোনওটা বন্ধ করা হয়নি । তবে আজকের মিটিংয়ে যদি সিদ্ধান্ত হয় বন্ধই থাকবে, তাহলে তো বন্ধই হবে ।"
IFTDA ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি মাজেথিয়া বলেন, "সবার কথা মাথায় রেখেই 19 মার্চ থেকে 31 মার্চ পর্যন্ত সব দেশের সব ধরনের শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।"
IFTDA প্রেসিডেন্ট অশোক পণ্ডিত বলেন , "সব প্রযোজককে আমরা তিনদিনের সময় দিয়েছি । যাতে তাঁরা দেশ বা দেশের বাইরে থেকে ইউনিটকে ফিরিয়ে আনতে পারেন । আমরা COVID-19-এর বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছি । শুটিং যখন বন্ধ থাকবে, সব শুটিং ফ্লোরকে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করা হবে ।"