মুম্বই, 31 মে : প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ির প্রাক্তন দুই কর্মচারী নীরজ এবং কেশবকে তলব করল দ্য নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) ৷ রবিবার সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মাদককাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এই দুজনকে ডেকে পাঠায় এনসিবি ৷
সূত্রের খবর, সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানির গ্রেফতারির পর অভিনেতার মৃত্যুর সঙ্গে সংযুক্ত একটি মাদককাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে নীরজ এবং কেশবকে ডেকেছে এনসিবি ৷
26 মে হায়দরাবাদ থেকে সিদ্ধার্থ পিঠানিকে গ্রেফতার করে এনসিবির মুম্বই শাখার পুলিশ ৷ এরপর স্থানীয় আদালত থেকে পাওয়া একটি ট্রানজিট ওয়ারেন্টের উপর ভিত্তি করে তাঁকে মুম্বই নিয়ে আসে এনসিবি ৷ পিঠানির বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইন, 1985 এর একাধিক ধারায় মামলা করা দায়ের করা হয়েছে ।
তাঁর গ্রেফতারের পর মুম্বইয়ের এক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত শুক্রবার পিঠানিকে 1 জুন অবধি এনসিবি হেফাজতে পাঠিয়েছে ।
তদন্ত চলাকালীন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) থেকে মাদক সেবন, সংগ্রহ করা এবং তা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এনসিবির কাছে আসে ৷ এর থেকেই এবসিবির অনুমান সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে মাদকচক্রের সম্পর্ক আছে ৷
আরও পড়ুন : মাদক মামলায় গ্রেফতার সুশান্তের রুমমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি
গতবছর 14 জুন মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে সুশান্তের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ এরপর এই মৃত্যুর ঘটনা আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় ৷ প্রয়াত অভিনেতার বাবা কেকে সিং রাজপুত 28 জুলাই বিহারে অভিনেত্রী তথা সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেন ৷ শুরু হয় তদন্ত ৷ উঠে আসতে শুরু করে একের পর এক বলিউডের প্রভাবশালী পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম ৷ সেই সঙ্গে উঠতে শুরু করে সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে মাদকচক্রের সংযোগের সম্ভাবনাও ৷ এরপরই তদন্তে নামে এনসিবি ৷