কলকাতা, 6 জুন : টলিউডের অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) মা হওয়ার খবরে গত দু দিন ধরে তোলপাড় নেটপাড়া ৷ অভিনেত্রী এখনও নিজে এই খবরের সত্যতা শিকার না-করলেও এই নিয়ে জল্পনা থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না ৷ এ বার এই নিয়ে মুখ খুললেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin) ৷ নুসরতকে তিনি হলিউডের অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গে তুলনা করেছেন ৷ দিয়েছেন বেশ কিছু পরামর্শও ৷
ফেসবুকের পাতায় তসলিমা লিখেছেন, "নুসরতের খবর বেশ চোখে পড়ছে । তিনি প্রেগনেন্ট । তাঁর স্বামী নিখিল এ ব্যাপারে কিছু জানেন না । দু জন আলাদা থাকছেন ছ'মাস হল । তবে যশ নামে এক অভিনেতার সঙ্গে অভিনেত্রী নুসরত প্রেম করছেন । সন্তানের পিতা, মানুষ অনুমান করছে, যশ; নিখিল নয় । খবরটি খবর না গুজব জানি না । তবে এই যদি পরিস্থিতি হয়, তবে নিখিল আর নুসরতের ডিভোর্স হয়ে যাওয়াই কি ভালো নয় ? অচল কোনও সম্পর্ক বাদুড়ের মতো ঝুলিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না । এতে দু'পক্ষেরই অস্বস্তি ।"
নুসরত ও নিখিলের বিয়েতে তিনি খুশি ছিলেন বলে জানিয়ে তসলিমা লিখেছেন, "যখন নুসরত আর নিখিল বিয়ে করলেন, বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম । ঠিক যেমন আনন্দ পেয়েছিলাম সৃজিত আর মিথিলা যখন বিয়ে করেছিলেন । অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করি বলে দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে বিয়ে হলে খুব স্বাভাবিক কারণেই পুলকিত হই । জাত ধর্ম ইত্যাদি দূর করতে হলে ভিন্ন জাত আর ভিন্ন ধর্মের মানুষকে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে । এতেই হিংসে আর হানাহানিকে হটানো যাবে । কিন্তু এত চোখ জুড়োনো জুটি যে বেশিদিন সুখে থাকবে না কে জানতো !"
আরও পড়ুন: নুসরত সন্তানসম্ভবা ? বাবা হতে চলেছেন যশ ?
নুসরতের প্রশংসা করে তাঁকে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গে তুলনা করেছেন লেখিকা ৷ পাশাপাশি সন্তানসম্ভবা হলে তৃণমূল সাংসদের কী করা উচিত সেই নিয়ে তাঁর পরামর্শ, "সে দিন ব্রাত্যর একটি ছবিতে নুসরতকে দেখলাম । ওটিই নুসরতের প্রথম কোনও ছবি আমার দেখা । মেয়েটি অনেকটা অ্যানজেলিনা জোলির মতো দেখতে, অভিনয়ও করে বেশ চমৎকার । নিশ্চয়ই মেয়েটি স্বনির্ভর । আসলে স্বনির্ভর এবং সচেতন হলে, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মান যথেষ্ট থাকলে নিজের সন্তানের অভিভাবক নিজেই হওয়া যায় । নিজের সন্তানকে নিজের পরিচয়েই বড় করা যায় । পুরুষের মুখাপেক্ষী হতে হয় না । আসলে নিখিল এবং যশের মধ্যে কী এমন আর পার্থক্য ! পুরুষ তো শেষ পর্যন্ত পুরুষই । এক জনকে ত্যাগ করে আরেক জনকে বিয়ে করলে খুব যে সুখময় হয়ে ওঠে জীবন তা তো নয় । দ্বিতীয় বিষময় জীবন থেকে বাঁচতে তাহলে কি আবার আরেকটি বিয়ে করতে হবে ? তাহলে এ রেসের শেষ হবে না, কাংক্ষিত পুরুষের দেখাও মিলবে না । স্বাধীনচেতা নারীর কাংক্ষিত পুরুষ কল্পনায় থাকে, বাস্তবে নয় ।"