ETV Bharat / sitara

Talent crossovers in cinema : আঞ্চলিকতার গণ্ডি পেরিয়ে প্রতিভার আদান প্রদানে ঋদ্ধ হচ্ছে ভারতীয় সিনেমা - আঞ্চিলিকতার গন্ডি পেরিয়ে প্রতিভার আদান প্রদানে ঋদ্ধ হচ্ছে ভারতীয় সিনেমা

আঞ্চলিক প্রতিভার আদান প্রদানে ঋদ্ধ হচ্ছে বলিউড এবং দক্ষিণি ইন্ডাস্ট্রি ৷ শুধু গল্প নয়, সংমিশ্রণ ঘটছে অভিনেতা অভিনেত্রী পরিচালকদেরও (talent crossovers in indian cinema) ৷

Talent crossovers in cinema
আঞ্চিলিকতার গন্ডি পেরিয়ে প্রতিভার আদান প্রদানে ঋদ্ধ হচ্ছে ভারতীয় সিনেমা
author img

By

Published : Jan 15, 2022, 2:23 PM IST

হায়দরাবাদ, 15 জানুয়ারি: 2014 সালে এস এস রাজামৌলির 'বাহুবলী'-র অসামান্য সাফল্য রীতিমত বড় স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করেছিল ভারতব্য়াপী অন্য়ান্য পরিচালকদের ৷ তারপর থেকেই ভারতব্যাপী ছবি তৈরির ক্ষেত্রে যে নতুন ঢেউ এসেছে তাতেই সওয়ার হয়েছেন অন্যান্য পরিচালকরাও ৷ 2016 সালে সুকুমারের 'রঙ্গস্থলম'-এর অসাধারণ সাফল্য়ের তাঁর পরের ছবি নিয়েও জল্পনা ছিল তুঙ্গে ৷ কিন্তু নতুন ছবি পুস্পা: দ্য রাইজ-এর ক্ষেত্রেও একইভাবে সাফল্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন তিনি ৷

এই ছবি যে শুধু কমার্শিয়াল সাফল্য় এনে দিয়েছে তাই নয়, একইসঙ্গে সারা ভারত জুড়ে পরিচিত করে তুলেছে পরিচালকের নামটিকেও ৷ গল্পের প্রধান চরিত্র আলু অর্জুন এবং পরিচালক সুকুমার ভালই বুঝিয়ে দিয়েছেন যদি গল্পের মধ্যে সেই দম থাকে এবং তা সঠিকভাবে পরিবেশন করা যায় তাহলে তা এই প্য়ান্ডেমিকের দিনেও মানুষকে একইভাবে আকর্ষণ করতে পারে ৷

ওটিটি প্লার্টফর্মগুলি যেভাবে বাজার তৈরি করতে শুরু করেছে, তাতে বর্তমানে ভাল আঞ্চলিক গল্পের চাহিদা বর্তমানে যথেষ্ট বেশি এবং এই চাহিদা আগামীদিনেও একইভাবে বজায় থাকবে ৷ ভিডিও কন্টেন্ট শুধুমাত্র স্ট্রিমিং প্লাটফর্মগুলিতেই সীমাবদ্ধ নয়, এমতাবস্থায় হিসাব করে দেখতে গেলে, বর্তমানে যে কোনও একটি দুরন্ত কন্টেন্ট থেকে মাত্র একটা ক্লিকই দূরে রয়েছেন একজন দর্শক যা পরিচালকদের ওপরেও যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে একেবারে অন্যরকম আঞ্চলিক কোন গল্প তুলে আনার জন্য ৷

গল্পের আদানপ্রদান অবশ্য ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও নতুন কথা নয়, জীতেন্দ্র, ভেঙ্কটেশদের মত অভিনেতারা নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করেছেন রিমেক ছবির ওপর ভিত্তি করে, একইভাবে বাংলাতেও তৈরি হয়েছে প্রচুর রিমেক ছবি ৷ অন্য়দিকে ভাইজান সালমান খানের রেড্ডি, ওয়ান্টেড-এর মত ছবিগুলি দক্ষিণি ছবি থেকে অনুপ্রাণিত, আবার তার দাবাং আকর্ষণ করেছে পবন কল্যাণকে ৷ বহুদিন ধরে তামিল এবং তেলগু ছবি থেকে গল্প নেওয়ার পর বর্তমানে নতুন আইডিয়ার জন্য মালায়ালাম ছবির প্রতি বেশ কিছুটা অনুরক্ত হয়ে পরেছেন হিন্দি চিত্রপরিচালকরা (hindi movies inspired by regional movies) ৷

hindi movies inspired by regional movies
বর্তমানে নতুন আইডিয়ার জন্য মালায়ালাম ছবির প্রতি বেশকিছুটা অনুরক্ত হয়ে পরেছেন হিন্দি চিত্রপরিচালকরা

জন আব্রাহাম অভিনীত আয়াপ্পানুম কোশিয়ুম-এর রিমেক থেকে শুরু করে জাতীয় পুরস্কার জয়ী হেলেন ছবির রিমেক মিলি, যেখানে মূল চরিত্রে ছিলেন জাহ্ণবী কাপুর , কিম্বা সানি দেওলকে মুখ্য ভূমিকায় রেখে তৈরি হওয়া জোসেফ-এর রিমেক এরই আদর্শ দৃষ্টান্ত ৷ এছাড়া 2022 সালেও এমন অনেকগুলি সিনেমা বাজারে আসতে চলেছে, যার শিকড় প্রোথিত মালায়াালাম ছবিতে ৷ হিন্দি অনুবাদে যাতে মূল গল্পের রস না হারিয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে হিন্দিতেও হেলেন এবং জোসেফ-এর পরিচালক মাথুকুট্টি জেভিয়ার এবং এম. পদ্মকুমারকে সঙ্গে রেখেছিলেন ছবির নির্মাতারা ৷

বিগত প্রায় কয়েক দশক ধরে একই ধরনের সংস্কৃতির গল্প বলে আসছে হিন্দি সিনেমা, যার আধার মূলত উত্তর ভারত ৷ একদিকে যেমন সঞ্জয় লীলা বনশালি তুলে এনেছিলেন এক রঙিন গুজরাটকে ৷ তেমনি অন্য়দিকে সুজিত সরকার পিকু-তে তুলে ধরেন আত্মকেন্দ্রিক ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রটিকে ৷ কিন্তু পরিবর্তন হচ্ছিল প্রচলিত সীমানা, ভাষা ৷ স্টারডামের গণ্ডিকে পেরিয়ে প্রতিভাকে অন্যভাবে দেখতে শুরু করেছিলেন পরিচালকরা ৷

দীপিকা পাডুকন, অমিতাভ বচ্চন এবং প্রভাসের মতো অভিনেতারা যখন নাগ অশ্বিনের প্রোজেক্টে একসঙ্গে কাজ করবেন তখন স্বাভাবিকভাবেই দর্শকের আকর্ষণের কারণ হয়ে উঠবে ৷ অন্য়দিকে সীমানার এই গণ্ডি ভেঙে পড়ায় নতুন অভিনেতা তথা পরিচালকদেরও কাজের সুযোগ অনেকটাই বাড়বে ৷ হিন্দি সিনেমার পুরোনো ডায়নামিক্স যে কতখানি বদলে গেছে তা তখনই বোঝা যায়, যখন প্রতীক গান্ধি অভিনয় করার সুযোগ পান বিদ্যা বালন, তাপসী পান্নুদের সঙ্গে ৷ আবার অন্যদিকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মত অভিনেতার হিন্দিতে এখনও সেভাবে জায়গা পাননি, যা হয়ত আগামীদিনে দখল করতে পারবেন তাঁরা ৷

আরও পড়ুন :প্রজাতন্ত্র দিবসে আসছে রোহন ঘোষের মুক্তি, কী বলছেন কুশীলবরা ?

আবার একজন পরিচালকের এটা কখনওই সম্ভব নয় ব্যবসায়িক হিসাব সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে শুধু ভাল অভিনেতা, অভিনেত্রীদের কাস্ট করা ৷ কিন্তু তখনই সেটা বড় বেশি চোখে লাগে যখন দাঁড়িপাল্লার একটা দিক একটু বেশিই ঝুলে যায় ৷ যেমন আতরঙ্গী রে ছবিতে একজন অ-তামিল চরিত্রে ধানুশকে সুযোগ দেওয়া নিয়ে সমালোচনা মুখে পড়তে হয়েছে ৷ ঠিক যেমন মনের মানুষ ছবিতে পাওলি দামের চরিত্র নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন গৌতম ঘোষ ৷

বাহুবলীর অসামান্য় সাফল্যের পর রাজামৌলি ফিরছেন তাঁর নতুন ছবি আরআরআর নিয়ে ৷ এই গল্পে থাকছেন দুই নায়ক, যা চলচ্চিত্র জগত থেকে প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল বলা চলে ৷ শুধু তাই নয়, গোটা ভারতজুড়ে সাড়া ফেলতে এই ছবির অভিনেতা নির্বাচনেও বলিউড এবং দক্ষণি ইন্ডাস্ট্রিকে মিশিয়ে দিয়েছেন রাজামৌলি ৷ একদিকে যেমন থাকছেন অজয় দেবগন, আলিয়া ভাট তেমনি থাকছেন রামচরণ এবং জুনিয়ার এনটিআর ৷

গল্পের আদানপ্রদানের মতই অভিনেতাদের দুই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করাও কোনও নতুন বিষয় নয় ৷ চিরঞ্জীবী, ভেঙ্কটেশ, নাগার্জুন, রজনীকান্ত, অরবিন্দ স্বামী সহ আরও অনেকেই বলিউডে কাজ করেছেন এর আগেও ৷ যদিও আর. মাধবন ছাড়া দুতরফেই ভীষণ সফলভাবে কাজ করতে পেরেছেন খুব কম শিল্পীই ৷ আগে দক্ষিণী অভিনেতাদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল ভাষা ৷ বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম অবশ্য় সেই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে ৷ একদিকে যেমন সামন্তা রুথ প্রভুকে ফ্য়ামেলি ম্যান 2 এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠতে দেখেছি আমরা ৷ তেমনি আবার নিজের নতুন ছবিতে বিজয় সেতুপতির সঙ্গে জুটি বাঁধছেন ক্যাটরিনাও ৷ ভাষার গণ্ডি ভেঙে গিয়েছে পরিচালকদের ক্ষেত্রেও ৷

অর্জুন ঠিকই বলেছেন,যেকোনও শিল্পে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে সাহস এবং ঝুঁকি নেওয়ার একটা খিদে লাগে। একমাত্র যিনি আঞ্চলিক নয়, আন্তর্জাতিক সীমারেখাও ভেঙে দিয়েছেন তিনি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ৷

হায়দরাবাদ, 15 জানুয়ারি: 2014 সালে এস এস রাজামৌলির 'বাহুবলী'-র অসামান্য সাফল্য রীতিমত বড় স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করেছিল ভারতব্য়াপী অন্য়ান্য পরিচালকদের ৷ তারপর থেকেই ভারতব্যাপী ছবি তৈরির ক্ষেত্রে যে নতুন ঢেউ এসেছে তাতেই সওয়ার হয়েছেন অন্যান্য পরিচালকরাও ৷ 2016 সালে সুকুমারের 'রঙ্গস্থলম'-এর অসাধারণ সাফল্য়ের তাঁর পরের ছবি নিয়েও জল্পনা ছিল তুঙ্গে ৷ কিন্তু নতুন ছবি পুস্পা: দ্য রাইজ-এর ক্ষেত্রেও একইভাবে সাফল্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন তিনি ৷

এই ছবি যে শুধু কমার্শিয়াল সাফল্য় এনে দিয়েছে তাই নয়, একইসঙ্গে সারা ভারত জুড়ে পরিচিত করে তুলেছে পরিচালকের নামটিকেও ৷ গল্পের প্রধান চরিত্র আলু অর্জুন এবং পরিচালক সুকুমার ভালই বুঝিয়ে দিয়েছেন যদি গল্পের মধ্যে সেই দম থাকে এবং তা সঠিকভাবে পরিবেশন করা যায় তাহলে তা এই প্য়ান্ডেমিকের দিনেও মানুষকে একইভাবে আকর্ষণ করতে পারে ৷

ওটিটি প্লার্টফর্মগুলি যেভাবে বাজার তৈরি করতে শুরু করেছে, তাতে বর্তমানে ভাল আঞ্চলিক গল্পের চাহিদা বর্তমানে যথেষ্ট বেশি এবং এই চাহিদা আগামীদিনেও একইভাবে বজায় থাকবে ৷ ভিডিও কন্টেন্ট শুধুমাত্র স্ট্রিমিং প্লাটফর্মগুলিতেই সীমাবদ্ধ নয়, এমতাবস্থায় হিসাব করে দেখতে গেলে, বর্তমানে যে কোনও একটি দুরন্ত কন্টেন্ট থেকে মাত্র একটা ক্লিকই দূরে রয়েছেন একজন দর্শক যা পরিচালকদের ওপরেও যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে একেবারে অন্যরকম আঞ্চলিক কোন গল্প তুলে আনার জন্য ৷

গল্পের আদানপ্রদান অবশ্য ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও নতুন কথা নয়, জীতেন্দ্র, ভেঙ্কটেশদের মত অভিনেতারা নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করেছেন রিমেক ছবির ওপর ভিত্তি করে, একইভাবে বাংলাতেও তৈরি হয়েছে প্রচুর রিমেক ছবি ৷ অন্য়দিকে ভাইজান সালমান খানের রেড্ডি, ওয়ান্টেড-এর মত ছবিগুলি দক্ষিণি ছবি থেকে অনুপ্রাণিত, আবার তার দাবাং আকর্ষণ করেছে পবন কল্যাণকে ৷ বহুদিন ধরে তামিল এবং তেলগু ছবি থেকে গল্প নেওয়ার পর বর্তমানে নতুন আইডিয়ার জন্য মালায়ালাম ছবির প্রতি বেশ কিছুটা অনুরক্ত হয়ে পরেছেন হিন্দি চিত্রপরিচালকরা (hindi movies inspired by regional movies) ৷

hindi movies inspired by regional movies
বর্তমানে নতুন আইডিয়ার জন্য মালায়ালাম ছবির প্রতি বেশকিছুটা অনুরক্ত হয়ে পরেছেন হিন্দি চিত্রপরিচালকরা

জন আব্রাহাম অভিনীত আয়াপ্পানুম কোশিয়ুম-এর রিমেক থেকে শুরু করে জাতীয় পুরস্কার জয়ী হেলেন ছবির রিমেক মিলি, যেখানে মূল চরিত্রে ছিলেন জাহ্ণবী কাপুর , কিম্বা সানি দেওলকে মুখ্য ভূমিকায় রেখে তৈরি হওয়া জোসেফ-এর রিমেক এরই আদর্শ দৃষ্টান্ত ৷ এছাড়া 2022 সালেও এমন অনেকগুলি সিনেমা বাজারে আসতে চলেছে, যার শিকড় প্রোথিত মালায়াালাম ছবিতে ৷ হিন্দি অনুবাদে যাতে মূল গল্পের রস না হারিয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে হিন্দিতেও হেলেন এবং জোসেফ-এর পরিচালক মাথুকুট্টি জেভিয়ার এবং এম. পদ্মকুমারকে সঙ্গে রেখেছিলেন ছবির নির্মাতারা ৷

বিগত প্রায় কয়েক দশক ধরে একই ধরনের সংস্কৃতির গল্প বলে আসছে হিন্দি সিনেমা, যার আধার মূলত উত্তর ভারত ৷ একদিকে যেমন সঞ্জয় লীলা বনশালি তুলে এনেছিলেন এক রঙিন গুজরাটকে ৷ তেমনি অন্য়দিকে সুজিত সরকার পিকু-তে তুলে ধরেন আত্মকেন্দ্রিক ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রটিকে ৷ কিন্তু পরিবর্তন হচ্ছিল প্রচলিত সীমানা, ভাষা ৷ স্টারডামের গণ্ডিকে পেরিয়ে প্রতিভাকে অন্যভাবে দেখতে শুরু করেছিলেন পরিচালকরা ৷

দীপিকা পাডুকন, অমিতাভ বচ্চন এবং প্রভাসের মতো অভিনেতারা যখন নাগ অশ্বিনের প্রোজেক্টে একসঙ্গে কাজ করবেন তখন স্বাভাবিকভাবেই দর্শকের আকর্ষণের কারণ হয়ে উঠবে ৷ অন্য়দিকে সীমানার এই গণ্ডি ভেঙে পড়ায় নতুন অভিনেতা তথা পরিচালকদেরও কাজের সুযোগ অনেকটাই বাড়বে ৷ হিন্দি সিনেমার পুরোনো ডায়নামিক্স যে কতখানি বদলে গেছে তা তখনই বোঝা যায়, যখন প্রতীক গান্ধি অভিনয় করার সুযোগ পান বিদ্যা বালন, তাপসী পান্নুদের সঙ্গে ৷ আবার অন্যদিকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মত অভিনেতার হিন্দিতে এখনও সেভাবে জায়গা পাননি, যা হয়ত আগামীদিনে দখল করতে পারবেন তাঁরা ৷

আরও পড়ুন :প্রজাতন্ত্র দিবসে আসছে রোহন ঘোষের মুক্তি, কী বলছেন কুশীলবরা ?

আবার একজন পরিচালকের এটা কখনওই সম্ভব নয় ব্যবসায়িক হিসাব সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে শুধু ভাল অভিনেতা, অভিনেত্রীদের কাস্ট করা ৷ কিন্তু তখনই সেটা বড় বেশি চোখে লাগে যখন দাঁড়িপাল্লার একটা দিক একটু বেশিই ঝুলে যায় ৷ যেমন আতরঙ্গী রে ছবিতে একজন অ-তামিল চরিত্রে ধানুশকে সুযোগ দেওয়া নিয়ে সমালোচনা মুখে পড়তে হয়েছে ৷ ঠিক যেমন মনের মানুষ ছবিতে পাওলি দামের চরিত্র নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন গৌতম ঘোষ ৷

বাহুবলীর অসামান্য় সাফল্যের পর রাজামৌলি ফিরছেন তাঁর নতুন ছবি আরআরআর নিয়ে ৷ এই গল্পে থাকছেন দুই নায়ক, যা চলচ্চিত্র জগত থেকে প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল বলা চলে ৷ শুধু তাই নয়, গোটা ভারতজুড়ে সাড়া ফেলতে এই ছবির অভিনেতা নির্বাচনেও বলিউড এবং দক্ষণি ইন্ডাস্ট্রিকে মিশিয়ে দিয়েছেন রাজামৌলি ৷ একদিকে যেমন থাকছেন অজয় দেবগন, আলিয়া ভাট তেমনি থাকছেন রামচরণ এবং জুনিয়ার এনটিআর ৷

গল্পের আদানপ্রদানের মতই অভিনেতাদের দুই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করাও কোনও নতুন বিষয় নয় ৷ চিরঞ্জীবী, ভেঙ্কটেশ, নাগার্জুন, রজনীকান্ত, অরবিন্দ স্বামী সহ আরও অনেকেই বলিউডে কাজ করেছেন এর আগেও ৷ যদিও আর. মাধবন ছাড়া দুতরফেই ভীষণ সফলভাবে কাজ করতে পেরেছেন খুব কম শিল্পীই ৷ আগে দক্ষিণী অভিনেতাদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল ভাষা ৷ বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম অবশ্য় সেই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে ৷ একদিকে যেমন সামন্তা রুথ প্রভুকে ফ্য়ামেলি ম্যান 2 এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠতে দেখেছি আমরা ৷ তেমনি আবার নিজের নতুন ছবিতে বিজয় সেতুপতির সঙ্গে জুটি বাঁধছেন ক্যাটরিনাও ৷ ভাষার গণ্ডি ভেঙে গিয়েছে পরিচালকদের ক্ষেত্রেও ৷

অর্জুন ঠিকই বলেছেন,যেকোনও শিল্পে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে সাহস এবং ঝুঁকি নেওয়ার একটা খিদে লাগে। একমাত্র যিনি আঞ্চলিক নয়, আন্তর্জাতিক সীমারেখাও ভেঙে দিয়েছেন তিনি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.