ETV Bharat / sitara

শঙ্কর মুদি তৈরির নেপথ্য কাহিনি! - Kaushik Ganguly

দর্শকের অপেক্ষার অবসান। অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের ছবি শঙ্কর মুদি মুক্তি পাচ্ছে ১৫ মার্চ। ছবিটি তৈরি হয়েছে দু'বছর আগে। বেশ কিছু কারণে আটকে ছিল ছবির মুক্তি। কিন্তু, শেষমেশ মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। ছবিতে শঙ্কর মুদির চরিত্রে অভিনয় করছেন কৌশিক গাঙ্গুলি। রয়েছেন জিশু সেনগুপ্ত, রুদ্রনীল ঘোষ, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, বিশ্বনাথ বসু, কাঞ্চন মল্লিক, দেবরঞ্জন নাগ, প্রিয়াঙ্কা। গান গেয়েছেন এবং তৈরি করেছেন কবীর সুমন। কেমন ছিল শঙ্কর মুদির শুটিং? ইটিভি ভারতের সঙ্গে একান্তভাবে সেই গল্প শেয়ার করেন অনিকেত চট্টোপাধ্যায়।

শঙ্কর মুদি
author img

By

Published : Mar 13, 2019, 1:00 PM IST

তিনি বললেন, "আমরা ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওতে সেট ফেলেছিলাম। প্রায় দু'বছর আগে আমরা শুটিং শেষ করেছি। সারাক্ষণ ধরে বৃষ্টি হয়েছে। এবং বৃষ্টিই হয়ে উঠেছিল আমাদের ছবির একটি অংশ। যখন দর্শক দেখবে, তখন বুঝতে পারবে সেটা। এতগুলো লোক, কৌশিক গাঙ্গুলি, অঞ্জন দত্ত, শাশ্বত, রুদ্রনীল, কাঞ্চন-কে নেই ছবিতে। ওদিকে শান্তিলাল, দেবরঞ্জন, জিশু, শ্রীলা মজুমদার, কাঞ্চনা, মানে হিউজ কাস্ট। খুব মজা করে কাজ করেছি। মানে বুঝতেই পারছেন-জিশু, শাশ্বত, রুদ্রনীল, কাঞ্চন, অঞ্জনদা, দেবরঞ্জন, এঁরা একসঙ্গে থাকলে কী হতে পারে সেটে। সারাক্ষণ এ ওর পিছনে লাগছে, মজা করছে, মনেই হল না আমরা শুটিং করেছি।"

শঙ্কর মুদি
শঙ্কর মুদি

যেহেতু সেটে প্রায় সকলেই খাদ্য রসিক ছিলেন, তাই রোজই বিভিন্ন ধরনের খাবার আসত। অনিকেত বললেন, "কোনওদিন অপু খাবার আনত। কোনওদিন কৌস্তব, মানে আমাদের প্রযোজক নিজে খাবার পাঠিয়ে দিতেন। একেক দিন একেকজনের বাড়ি থেকে খাবার আসত। বিপুল মজা করে কাজ হয়েছে। সারাক্ষণ যেহেতু বৃষ্টি হত, তাই যখন বৃষ্টি হত না আমরা আর্টিফিশিয়াল রেইনের ব্যবস্থা রাখতাম। একবার আমি ট্রেন আপ বলেছি। আমার যে রেইন মেশিন দেখছিল, সে শুনেছে রেইন আপ। বৃষ্টি চালিয়ে দিয়েছে। আর সব কাস্ট তখন ভিজে চুপ চুপ। ভাবুন একবার!"

শঙ্কর মুদি একটি রাজনৈতিক ছবি। আমাদের চারপাশে যা কিছু ঘটছে, তাতে এক বিরাট সংখ্যক মানুষ খুব বিপদে পড়েছেন। উন্নয়ন, প্রগতি এবং বাণিজ্যিকরণের যুগে প্রায় অবলুপ্তির পথে হাঁটছে চারপাশে ছড়িয়ে থাকা অনেককিছুই। সেই তালিকায় বাদ নেই পাড়ার মুদির দোকানগুলি। সুপার মার্কেটের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের মাহাত্ম্য। তাই অনিকেতের মনে হয়েছে, এই সময় দাঁড়িয়ে এমন মানুষের কথা বলা খুব দরকার। মানুষের বিবেককে জাগ্রত করা দরকার।

তিনি বললেন, "আমরা ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওতে সেট ফেলেছিলাম। প্রায় দু'বছর আগে আমরা শুটিং শেষ করেছি। সারাক্ষণ ধরে বৃষ্টি হয়েছে। এবং বৃষ্টিই হয়ে উঠেছিল আমাদের ছবির একটি অংশ। যখন দর্শক দেখবে, তখন বুঝতে পারবে সেটা। এতগুলো লোক, কৌশিক গাঙ্গুলি, অঞ্জন দত্ত, শাশ্বত, রুদ্রনীল, কাঞ্চন-কে নেই ছবিতে। ওদিকে শান্তিলাল, দেবরঞ্জন, জিশু, শ্রীলা মজুমদার, কাঞ্চনা, মানে হিউজ কাস্ট। খুব মজা করে কাজ করেছি। মানে বুঝতেই পারছেন-জিশু, শাশ্বত, রুদ্রনীল, কাঞ্চন, অঞ্জনদা, দেবরঞ্জন, এঁরা একসঙ্গে থাকলে কী হতে পারে সেটে। সারাক্ষণ এ ওর পিছনে লাগছে, মজা করছে, মনেই হল না আমরা শুটিং করেছি।"

শঙ্কর মুদি
শঙ্কর মুদি

যেহেতু সেটে প্রায় সকলেই খাদ্য রসিক ছিলেন, তাই রোজই বিভিন্ন ধরনের খাবার আসত। অনিকেত বললেন, "কোনওদিন অপু খাবার আনত। কোনওদিন কৌস্তব, মানে আমাদের প্রযোজক নিজে খাবার পাঠিয়ে দিতেন। একেক দিন একেকজনের বাড়ি থেকে খাবার আসত। বিপুল মজা করে কাজ হয়েছে। সারাক্ষণ যেহেতু বৃষ্টি হত, তাই যখন বৃষ্টি হত না আমরা আর্টিফিশিয়াল রেইনের ব্যবস্থা রাখতাম। একবার আমি ট্রেন আপ বলেছি। আমার যে রেইন মেশিন দেখছিল, সে শুনেছে রেইন আপ। বৃষ্টি চালিয়ে দিয়েছে। আর সব কাস্ট তখন ভিজে চুপ চুপ। ভাবুন একবার!"

শঙ্কর মুদি একটি রাজনৈতিক ছবি। আমাদের চারপাশে যা কিছু ঘটছে, তাতে এক বিরাট সংখ্যক মানুষ খুব বিপদে পড়েছেন। উন্নয়ন, প্রগতি এবং বাণিজ্যিকরণের যুগে প্রায় অবলুপ্তির পথে হাঁটছে চারপাশে ছড়িয়ে থাকা অনেককিছুই। সেই তালিকায় বাদ নেই পাড়ার মুদির দোকানগুলি। সুপার মার্কেটের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের মাহাত্ম্য। তাই অনিকেতের মনে হয়েছে, এই সময় দাঁড়িয়ে এমন মানুষের কথা বলা খুব দরকার। মানুষের বিবেককে জাগ্রত করা দরকার।

Intro:Body:

শঙ্কর মুদি তৈরির নেপথ্য কাহিনি!



দর্শকের অপেক্ষার অবসান। অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের ছবি শঙ্কর মুদি মুক্তি পাচ্ছে ১৫ মার্চ। ছবিটি তৈরি হয়েছে দু'বছর আগে। বেশ কিছু কারণে আটকে ছিল ছবির মুক্তি। কিন্তু, শেষমেশ মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। ছবিতে শঙ্কর মুদির চরিত্রে অভিনয় করছেন কৌশিক গাঙ্গুলি। রয়েছেন জিশু সেনগুপ্ত, রুদ্রনীল ঘোষ, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, বিশ্বনাথ বসু, কাঞ্চন মল্লিক, দেবরঞ্জন নাগ, প্রিয়াঙ্কা। গান গেয়েছেন এবং তৈরি করেছেন কবীর সুমন। কেমন ছিল শঙ্কর মুদির শুটিং? ইটিভি ভারতের সঙ্গে একান্তভাবে সেই গল্প শেয়ার করেন অনিকেত চট্টোপাধ্যায়।



তিনি বললেন, "আমরা ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওতে সেট ফেলেছিলাম। প্রায় দু'বছর আগে আমরা শুটিং শেষ করেছি। সারাক্ষণ ধরে বৃষ্টি হয়েছে। এবং বৃষ্টিই হয়ে উঠেছিল আমাদের ছবির একটি অংশ। যখন দর্শক দেখবে, তখন বুঝতে পারবে সেটা। এতগুলো লোক, কৌশিক গাঙ্গুলি, অঞ্জন দত্ত, শাশ্বত, রুদ্রনীল, কাঞ্চন-কে নেই ছবিতে। ওদিকে শান্তিলাল, দেবরঞ্জন, জিশু, শ্রীলা মজুমদার, কাঞ্চনা, মানে হিউজ কাস্ট। খুব মজা করে কাজ করেছি। মানে বুঝতেই পারছেন-জিশু, শাশ্বত, রুদ্রনীল, কাঞ্চন, অঞ্জনদা, দেবরঞ্জন, এঁরা একসঙ্গে থাকলে কী হতে পারে সেটে। সারাক্ষণ এ ওর পিছনে লাগছে, মজা করছে, মনেই হল না আমরা শুটিং করেছি।"



যেহেতু সেটে প্রায় সকলেই খাদ্য রসিক ছিলেন, তাই রোজই বিভিন্ন ধরনের খাবার আসত। অনিকেত বললেন, "কোনওদিন অপু খাবার আনত। কোনওদিন কৌস্তব, মানে আমাদের প্রযোজক নিজে খাবার পাঠিয়ে দিতেন। একেক দিন একেকজনের বাড়ি থেকে খাবার আসত। বিপুল মজা করে কাজ হয়েছে। সারাক্ষণ যেহেতু বৃষ্টি হত, তাই যখন বৃষ্টি হত না আমরা আর্টিফিশিয়াল রেইনের ব্যবস্থা রাখতাম। একবার আমি ট্রেন আপ বলেছি। আমার যে রেইন মেশিন দেখছিল, সে শুনেছে রেইন আপ। বৃষ্টি চালিয়ে দিয়েছে। আর সব কাস্ট তখন ভিজে চুপ চুপ। ভাবুন একবার!"



শঙ্কর মুদি একটি রাজনৈতিক ছবি। আমাদের চারপাশে যা কিছু ঘটছে, তাতে এক বিরাট সংখ্যক মানুষ খুব বিপদে পড়েছেন। উন্নয়ন, প্রগতি এবং বাণিজ্যিকরণের যুগে প্রায় অবলুপ্তির পথে হাঁটছে চারপাশে ছড়িয়ে থাকা অনেককিছুই। সেই তালিকায় বাদ নেই পাড়ার মুদির দোকানগুলি। সুপার মার্কেটের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের মাহাত্ম্য। তাই অনিকেতের মনে হয়েছে, এই সময় দাঁড়িয়ে এমন মানুষের কথা বলা খুব দরকার। মানুষের বিবেককে জাগ্রত করা দরকার। 


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.