ETV Bharat / sitara

মানুষের কাজ করতে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন না অভিনেতারা : কমলেশ্বর

গতকালের ঘটনা, অর্থাৎ ২১ জুলাই। তৃণমূল পার্টির জন্য বিশেষ একটি দিন। ইন্ডাস্ট্রির বহু মানুষই একুশের মঞ্চে মুখ দেখাচ্ছেন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। তবে পরিচালক ও অভিনেতা কমলেশ্বর মুখার্জি তখন রাজ্য থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে হায়দরাবাদে 'হায়দরাবাদ বেঙ্গলি ফিল্ম ফেস্টিভাল' নিয়ে মেতে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, ETV ভারত সিতারার ক্যামেরায় তিনি আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন, "আমি বামপন্থী, বামপন্থা ছাড়া অন্য কোনও মতাদর্শে আমার বিশ্বাস নেই। ২১ জুলাই ধর্মতলায় যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।"

কমলেশ্বর মুখার্জি
author img

By

Published : Jul 22, 2019, 6:01 PM IST

Updated : Jul 22, 2019, 6:29 PM IST

হায়দরাবাদ : তখনই শেষ হয়েছে কমলেশ্বরের ছবি 'মুখোমুখি'-র স্ক্রিনিং। ছবি জুড়ে বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক অবক্ষয়ের যন্ত্রণা আর হতাশা ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কীভাবে বাজার অর্থনীতি প্রতিমুহূর্তে নিজেদের বিক্রি করতে বাধ্য করছে, তার উদাহরণ ছবির প্রতি সংলাপে। নিজে একজন নাগরিক মানুষ হয়ে কীভাবে এই ভাঙনগুলো উপলব্ধি করলেন কমলেশ্বর? উত্তরে পরিচালক বললেন, "আমি নাগরিক মানুষ হলেও, পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। আমি দেখেছে এই নগর জীবনের বাইরেও অনেক প্রাচীন সভ্যতা-সংস্কৃতি রয়েছে যা মুগ্ধ করার মতো। সেই জায়গা থেকেই এই উপলব্ধি।"

কমলেশ্বর মুখার্জি
কমলেশ্বর মুখার্জি

সাম্প্রতিককালে ইন্ডাস্ট্রির বহু মানুষ রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। মিমি বা নুসরত যোগ দিয়েছেন অ্যাক্টিভ পলিটিক্সে, হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ। দেব তো অনেক বছর আগে থেকেই সাংসদ পদে রয়েছেন। অন্যদিকে পার্নো মিত্র, ঋষি কৌশিক, অনিন্দ্য সহ একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীরা যোগ দিয়েছেন BJPতে। একদল থেকে সাংসদ হওয়ায় অন্য দলের নীতিতে বিশ্বাসী শিল্পীদের কি অসুবিধে হচ্ছে? উত্তরে কমলেশ্বর বললেন, "২০১১ সাল থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে পলিটিক্সের অনুপ্রবেশ ঘটে গেছে। তবে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর এটা আরও প্রকট হয়েছে। এসব করে তো ভালো ছবি বানানো যাবে না আর ইন্ডাস্ট্রিতে ডিসিপ্লিনও আনা যাবে না।"

কমলেশ্বরের উপলব্ধি, "যারা যাচ্ছেন বিভিন্ন দলে, তারা কেউ রাজনীতি করতে যাচ্ছেন বলে মনে হয় না। মানুষের জন্য কাজ করার হলে তারা অনেক আগে থেকেই কাজ করতে পারতেন। আজ নতুন করে কাজ করার কিছু ছিল না।"

স্পষ্টবক্তা হিসেবে কমলেশ্বরের সুপরিচিতি রয়েছে। আরও একবার প্রমাণিত হল সেটা। ভিডিয়োয় শুনে নিন কমলেশ্বরের বক্তব্য...

শুনে নিন কমলেশ্বরের বক্তব্য়

হায়দরাবাদ : তখনই শেষ হয়েছে কমলেশ্বরের ছবি 'মুখোমুখি'-র স্ক্রিনিং। ছবি জুড়ে বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক অবক্ষয়ের যন্ত্রণা আর হতাশা ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কীভাবে বাজার অর্থনীতি প্রতিমুহূর্তে নিজেদের বিক্রি করতে বাধ্য করছে, তার উদাহরণ ছবির প্রতি সংলাপে। নিজে একজন নাগরিক মানুষ হয়ে কীভাবে এই ভাঙনগুলো উপলব্ধি করলেন কমলেশ্বর? উত্তরে পরিচালক বললেন, "আমি নাগরিক মানুষ হলেও, পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। আমি দেখেছে এই নগর জীবনের বাইরেও অনেক প্রাচীন সভ্যতা-সংস্কৃতি রয়েছে যা মুগ্ধ করার মতো। সেই জায়গা থেকেই এই উপলব্ধি।"

কমলেশ্বর মুখার্জি
কমলেশ্বর মুখার্জি

সাম্প্রতিককালে ইন্ডাস্ট্রির বহু মানুষ রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। মিমি বা নুসরত যোগ দিয়েছেন অ্যাক্টিভ পলিটিক্সে, হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ। দেব তো অনেক বছর আগে থেকেই সাংসদ পদে রয়েছেন। অন্যদিকে পার্নো মিত্র, ঋষি কৌশিক, অনিন্দ্য সহ একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীরা যোগ দিয়েছেন BJPতে। একদল থেকে সাংসদ হওয়ায় অন্য দলের নীতিতে বিশ্বাসী শিল্পীদের কি অসুবিধে হচ্ছে? উত্তরে কমলেশ্বর বললেন, "২০১১ সাল থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে পলিটিক্সের অনুপ্রবেশ ঘটে গেছে। তবে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর এটা আরও প্রকট হয়েছে। এসব করে তো ভালো ছবি বানানো যাবে না আর ইন্ডাস্ট্রিতে ডিসিপ্লিনও আনা যাবে না।"

কমলেশ্বরের উপলব্ধি, "যারা যাচ্ছেন বিভিন্ন দলে, তারা কেউ রাজনীতি করতে যাচ্ছেন বলে মনে হয় না। মানুষের জন্য কাজ করার হলে তারা অনেক আগে থেকেই কাজ করতে পারতেন। আজ নতুন করে কাজ করার কিছু ছিল না।"

স্পষ্টবক্তা হিসেবে কমলেশ্বরের সুপরিচিতি রয়েছে। আরও একবার প্রমাণিত হল সেটা। ভিডিয়োয় শুনে নিন কমলেশ্বরের বক্তব্য...

শুনে নিন কমলেশ্বরের বক্তব্য়
Intro:Body:

যে অভিনেতারা রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছে, তারা মানুষের জন্য কাজ করতে যাচ্ছেনা : কমলেশ্বর



গতকালের ঘটনা, অর্থাৎ ২১ জুলাই। তৃণমূল পার্টির জন্য বিশেষ একটি দিন। ইন্ডাস্ট্রির বহু মানুষই একুশের মঞ্চে মুখ দেখাচ্ছেন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। তবে পরিচালক ও অভিনেতা কমলেশ্বর মুখার্জি তখন রাজ্য থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে হায়দরাবাদে 'হায়দরাবাদ বেঙ্গলি ফিল্ম ফেস্টিভাল'  নিয়ে মেতে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, ETV ভারত সিতারার ক্যামেরায় তিনি আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন, "আমি বামপন্থী, বামপন্থা ছাড়া অন্য কোনও মতাদর্শে আমার বিশ্বাস নেই। ২১ জুলাই ধর্মতলায় যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।"



হায়দরাবাদ : তখনই শেষ হয়েছে কমলেশ্বরের ছবি 'মুখোমুখি'-র স্ক্রিনিং। ছবি জুড়ে বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক অবক্ষয়ের যন্ত্রণা আর হতাশা ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কীভাবে বাজার অর্থনীতি প্রতিমুহূর্তে নিজেদের বিক্রি করতে বাধ্য করছে, তার উদাহরণ ছবির প্রতি সংলাপে। নিজে একজন নাগরিক মানুষ হয়ে কীভাবে এই ভাঙনগুলো উপলব্ধি করলেন কমলেশ্বর? উত্তরে পরিচালক বললেন, "আমি নাগরিক মানুষ হলেও, পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। আমি দেখেছে এই নগর জীবনের বাইরেও অনেক প্রাচীন সভ্যতা-সংস্কৃতি রয়েছে যা মুগ্ধ করার মতো। সেই জায়গা থেকেই এই উপলব্ধি।"



সাম্প্রতিককালে ইন্ডাস্ট্রির বহু মানুষ রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। মিমি বা নুসরত যোগ দিয়েছেন অ্যাক্টিভ পলিটিক্সে, হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ। অন্যদিকে পার্নো মৈত্র, ঋষি কৌশিক, অনিন্দ্য সহ একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীরা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। একদল থেকে সাংসদ হওয়ায় অন্য দলের নীতিতে বিশ্বাসী শিল্পীদের কি অসুবিধে হচ্ছে? উত্তরে কমলেশ্বর বললেন, "২০১১ সাল থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে পলিটিক্সের অনুপ্রবেশ ঘটে গেছে। তবে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর এটা আরও প্রকট হয়েছে। এসব করে তো ভালো ছবি বানানো যাবে না আর ইন্ডাস্ট্রিতে ডিসিপ্লিনও আনা যাবে না।"



কমলেশ্বরের উপলব্ধি, "যারা যাচ্ছেন বিভিন্ন দলে, তারা কেউ রাজনীতি করতে যাচ্ছেন বলে মনে হয় না। মানুষের জন্য কাজ করার হলে তারা অনেক আগে থেকেই কাজ করতে পারতেন। আজ নতুন করে কাজ করার কিছু ছিল না।"



স্পষ্টবক্তা হিসেবে কমলেশ্বরের সুপরিচিতি রয়েছে। আরও একবার প্রমাণিত হল তাঁর এই গুণ। ভিডিয়োয় শুনে নিন কমলেশ্বরের বক্তব্য...




Conclusion:
Last Updated : Jul 22, 2019, 6:29 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.