শুটিং নিয়ে উচ্ছ্বসিত অনিকেত বললেন, "আমাদের সকাল ৭টায় কলটাইম। তবে কখন শেষ হবে কোনও ঠিক নেই। কোনওদিন ১১.৩০-১২টাও হয়ে যায়। রবিবার সকাল সকাল শুটিং ফ্লোরে চলে এসেছি। সত্যি বলতে খুব মজা হচ্ছে। বিশাল সেট ফেলা হয়েছে। বিশাল বিশাল দরজা। একএকটা গেট হয়তো ২০০-২৫০ ফুট লম্বা। বিশাল মন্দির, বিশাল বাজার বসানো হয়েছে। একটা রাজকীয় ব্যাপার আনা হয়েছে। আমাদের আর্ট ডিরেক্টর মৃদুল-শাশ্বতী। তাঁরাই এই সেট ডিজাইন করেছেন। শুটিং ফ্লোরে হাতি, ঘোড়ার গাড়ি, গোরুর গাড়ি, রথ, কী নেই। আর প্রচুর জুনিয়র আর্টিস্ট রয়েছেন। রাজা মন্ত্রীর গল্প, বুঝতেই তো পারছেন। একটা অন্য সময়ে চলে এসেছি আমরা। মনে হচ্ছে, আমরাই রাজসভার লোকজন।"
যেহেতু রাজা-রানির গল্প, তাই ছবির মেকআপও তেমনি রাজকীয়। সে বিষয়ে অনিকেত বললেন, "আর্টিস্টের মেকআপ করতে অনেক সময় লাগছে। কাউকে কাউকে তো প্রস্থেটিক মেকআপ করতে হচ্ছে।" শুটিংয়ের মাঝে ঘটছে অনেক মজার ঘটনা। হাসতে হাসতে অনিকেত বললেন, "জানেন তো এর মধ্যে খুব ঝড় উঠেছিল একদিন। উথালপাতাল অবস্থা। আমাদের এখানে একটা কৃত্রিম বাজার তৈরি করা হয়েছিল। সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়। একটা জায়গায় মশলাপাতি রাখা ছিল। ঝড়ের সময় সেই মশলাপাতি, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, হলুদ সব উড়ে এসে সবার চোখের মধ্যে ঢুকে যায়। সবাই এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয়। কি কেলেঙ্কারি কাণ্ড! তারপর আবার সেই বাজার তৈরি হয়েছে।"
রানি কুসুমকুমারী অর্থাৎ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে অনিকেত বললেন, "অনেক খুঁজে একজন যথাযথ রানিকেই আমরা পেয়েছি। অর্পিতা এই চরিত্রের জন্য একেবারে উপযুক্ত। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, কী অপূর্ব মানিয়েছে ওঁকে। ওঁর পাশে তেমনই মানানসই শাশ্বত। দু'জনের জুটি অসামান্য। দর্শকদের খুব পছন্দ হবে। আর খরাজের কথা কী বলি বলুন! গবুচন্দ্র মন্ত্রী সে। স্বভাবেই হাসিখুশি। আর খরাজ তো এমনিতেও খুব হাসিখুশি। তাই দু'য়ে দু'য়ে চার হয়ে গেছে।"
শুটিংয়ে রয়েছে একটা পিকনিক আমেজ। অনিকেত বললেন, " এলাহি খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে। একদিন খেলাম অ্যাপেল চিকেন। সে এক বিচিত্র পদ। যে খেয়েছে সেই একমাত্র জানে তার স্বাদ।" হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে অবস্থিত বাহুবলীর সেটে হওয়ার কথা ছিল ছবিটির শুটিং। সে বিষয়ে অনিকেত বললেন, "রামোজি ফিল্ম সিটিতেও শুটিং হতে পারে। তবে কিছু কমপ্লিকেশনস এসেছে। জানি না কী হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো আমরা সেখানেও শুটিং করব।"