কলকাতা, ২৪ সেপ্টেম্বর : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্থার ঘটনার পর, টুইট বিতর্কে সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় । যাদবপুরের ঘটনার জন্য পড়ুয়াদের কাছে বাবুলকে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন বাচিক শিল্পী ঊর্মিমালা বসু । আজ এর পালটা টুইটে ঊর্মিমালা বসুকে "ধর্মান্ধ" বলে কটাক্ষ করেন বাবুল । তা নিয়েই শুরু বিতর্ক ।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে । ABVP-র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয় । সেখানেই TMCP ও SFI সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি । বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গেও বচসায় জড়ান । তাঁকে "আটক" করে রাখে পড়ুয়ারা । এরপর সন্ধের দিকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ঘটনাস্থানে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন । সেখানেই থেমে থাকেনি বিতর্ক । শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর । রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় ।
এরই মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ঊর্মিমালা বসু । লেখেন, "বাবুলের উচিত বাচ্চাগুলোর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া ।" এই পোস্টের নিচে কুরুচিকর মন্তব্য লিখে মিম করা হয় । সেই পোস্টের বিরোধিতার করেন বাবুল সুপ্রিয় । দুঃখপ্রকাশ করে টুইটারে তিনি লেখেন, "আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি । সময় এলে তাঁকে উত্তর দেব । "
এরপর আজ ঊর্মিমালা বসুর "ক্ষমা চাওয়া" মন্তব্যের পালটা টুইট করেন বাবুল সুপ্রিয় । লেখেন, "প্রিয় ঊর্মিমালাদি, আপনাকে ও জগন্নাথদাকে অনেকদিন থেকে চিনি তাই ছোট্ট করে লিখছি । আপনি ধর্মান্ধ - আপনার ধর্ম 'বাম-বাদ'। কোনও অসুবিধা নেই । কিন্তু, আপনি তো জন্মান্ধ নন! তাহলে সত্যিটা কেন দেখতে পান না । দেখতে চান না বলে কি ? 'খুব জানতে'ইচ্ছে করে' !! "
বাবুলের এই টুইটের এখনও পর্যন্ত প্রত্যুত্তর দেননি ঊর্মিমালা । তবে ওয়াবহাল মহলের ধারণা এই টুইট বিতর্ক হয়তো এখনই থামবে না । কারণ যাদবপুরের এই ঘটনার পর বাবুলের পক্ষে ও বিপক্ষে নেটিজ়েনদের শিবির এখন কার্যত দু'ভাগ । এ নিয়ে টুইট, পালটা টুইট, মিম ও ফেসবুক পোস্টের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে । এখন দেখার বাবুলের টুইটের কোনও প্রত্যুত্তর ঊর্মিমালা দেন কি না ।