মুম্বই : "বান্দ্রায় সলমান খানের বাড়ি গ্যালাক্সিতে রাখা হয়েছে বোমা । দু'ঘণ্টার মধ্যে বিস্ফোরণ হবে । ক্ষমতা থাকলে এটা আটকে দেখান ।" 4 ডিসেম্বর এই রকম একটি হুমকি মেল এসে পৌঁছেছিল মুম্বই পুলিশের কাছে । তারপরই শুরু হয় তৎপরতা । তদন্তে নামে পুলিশ । উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় 16 বছর বয়সি এক কিশোরকে ।
মুম্বই পুলিশের কাছে হুমকি মেল পৌঁছানো মাত্রই শুরু হয় তৎপরতা । ACP মনোজ কুমার শর্মা, ডেপুটি কমিশনার (জ়োন ৯) পরমজিৎ সিং দহিয়া, বান্দ্রা থানার ইন্সপেক্টর বিজয়লক্ষ্মী হিরেমথ ও বম স্কয়্যাড তড়িঘড়ি পৌঁছয় সলমানের বাড়িতে । বাড়ি থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের । সে সময় বাড়িতে ছিলেন সেলিম খান, সালমা খান ও অর্পিতা থান শর্মা । তখন বাড়িতে ছিলেন না শুরু হয় তল্লাশি । টানা চার ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি ।
বান্দ্রা থানার এক অফিসার বলেন, "বাড়ির সব জায়গায় তল্লাশি চালানো হয় । তিন থেকে চার ঘণ্টা আমরা তল্লাশি চালাই । কিন্তু, কিছু পাওয়া যায়নি । এরপর ফের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের ।"
ইন্সপেক্টর বিজয়লক্ষ্মী হিরেমথ বলেন, "আমরা যখন বুঝতে পারি যে হুমকি মেলটি ভুয়ো তখন অভিযুক্তকে খোঁজা শুরু করি । টেকনিকাল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে অভিযুক্তর কাছে পৌঁছে যাই । জানতে পারি গাজ়িয়াবাদের এক কিশোর এই হুমকি মেল পাঠিয়েছিল । এরপর সেখানে পৌঁছে তাকে গ্রেপ্তার করি ।"
এদিকে অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে চলে একপ্রস্থ নাটক । পুলিশের ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে তিস হাজ়ারি কোর্টে গা ঢাকা দিয়েছিল সে । এরপর অনেক বুঝিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায় তার দাদা । অভিযুক্তের দাদা পেশায় আইনজীবী । তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর ফাইনাল রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় জুভেনাইল কোর্টে । এরপর শর্তসাপেক্ষে কিশোরকে ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ।