মুম্বই : 14 জুন সকালে বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ । প্রাণবন্ত অভিনেতার আত্মহত্যার খবর নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকেই । তার সঙ্গে উঠে এসেছিল একাধিক প্রশ্ন । আসলে একজন সফল অভিনেতা কেন আত্মহননের পথ বেছে নিলেন সেটাই এখনও বুঝতে পারেননি কেউই । ঘনিষ্ঠদের দাবি, ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে কোণঠাসা হয়েই এই পথ বেছে নিয়েছেন তিনি । আবারও কারও মতে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই পদক্ষেপ করেন সুশান্ত । যদিও আত্মহত্যার আসল কারণ এখনও অজানা । আর তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । জারি রয়েছে তদন্ত । জিজ্ঞাবাদও করছেন তদন্তকারীরা । সম্প্রতি অভিনেতার চিকিৎসক ও ফিজ়িওথেরাপিস্টকে থানায় ডেকে পাঠানো হয় । পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁর ফিজ়িওথেরাপিস্টকে ।
গত সপ্তাহে সুশান্তের চিকিৎসককেও ডেকে পাঠিয়েছিল বান্দ্রা থানার পুলিশ । সুশান্ত ঘনিষ্ঠদের দাবি, অনেকদিন ধরেই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি । তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধও খাচ্ছিলেন । কিন্তু, মৃত্যুর কয়েকদিন আগে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন । যাতে তাঁর শরীর আরও খারাপ হয়ে যায় ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর পর আরও অবসাদ গ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত । দিশার মৃত্যুর সঙ্গে জড়িয়ে সুশান্তকে নিয়ে একাধিক পত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছিল । যেখানে অভিনেতার স্বভাব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় । যার কারণে আরও অবসাদ গ্রস্ত হয়ে পড়েন বলে জানা গিয়েছে ।
8 জুন মুম্বইয়ের মালাদের একটি আবাসনের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় দিশার রক্তাক্ত দেহ । অনুমান, 14তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খবর জানার পর থেকেই খারাপ হচ্ছিল সুশান্তের মানসিক অবস্থা । অনেকটা ভেঙে পড়েছিলেন তিনি । এমনকী, চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধও খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন ।