মুম্বই : 14 জুন সকালে বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ । এদিকে তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহল থেকে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন । কেউ দাবি করেছেন, অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার সময় জীবিত ছিলেন তিনি । আবার কারও দাবি, অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় তাঁকে হাতের আঙুল নাড়াতেও দেখা গিয়েছিল । আর এবার অভিনেতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাঁদের পারিবারিক আইনজীবী বিকাশ সিং ।
এ প্রসঙ্গে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, "সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কোনও সময় উল্লেখ করা হয়নি, যেটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ । সুশান্তকে মারার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নাকি গলায় ফাঁস লাগার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছিল, সেটা মৃত্যুর সময় জানলে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায় । মুম্বই পুলিশ ও কুপার হাসপাতালকে এর উত্তর দিতে হবে । আসল সত্যিটা জানার জন্য CBI তদন্ত প্রয়োজন ।"
তিনি আরও বলেন, "আমার মনে হয় মুম্বই পুলিশ পেশাদার । তবে তাঁরা তখনই কাজ করতে পারে যখন কোনও মন্ত্রী অনুমতি দেন । আর এই ধরনের হাইপ্রোফাইল মামলায় রাজনীতিবিদদের হস্তক্ষেপে তদন্ত বাধা পায় । পুলিশকে তাঁদের মত করে কাজ করতে দেওয়া উচিত ।"
সুশান্তের মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে দু'মাস । ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশের দাবি, আত্মহত্যা করেছেন তিনি । যদিও তাঁর আত্মহত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি । ঘনিষ্ঠরা দাবি করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে কোণঠাসা হয়েই আত্মহত্যা করেন তিনি । মৃত্যুর আগে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা । তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে ঘনিভূত হয় রহস্য । তিনি আত্মহত্যা করেছেন এই তত্ত্ব মানতে রাজি নন অনেকেই । কারও মতে, তাঁকে খুন করা হয়েছে । এরই মধ্যে মহারাষ্ট্র পুলিশের তদন্তের উপর ভরসা রাখতে পারছিলেন না সুশান্তের বাবা । আর সেই কারণেই 25 জুলাই বিহারের রাজীব নগর থানায় রিয়া চক্রবর্তী সহ 6 জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেন তিনি । পাশাপাশি CBI তদন্তের দাবিও জানান ।
সেই FIR-এ সুশান্তকে মানসিক ও শারীরিক হেনস্থা এবং ছেলের থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনেন সুশান্তের বাবা । তার ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে ED । এদিকে FIR বিহার থেকে মুম্বইতে সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান রিয়া । শুনানি চলাকালীন রিয়া জানান, সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি CBI-এর হাতে দিলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই ।