মুম্বই : বলিউডে নেপোটিজ়ম কোনও নতুন বিষয় নয় । সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর আরও জোরাল হয় এই বিষয় । আর এই বিষয় নিয়ে সবথেকে বেশি সরব হতে দেখা গিয়েছিল কঙ্গনা রানাওয়াতকে । বলিউডের একাধিক ব্যক্তিত্বের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে । চলে একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ির পালা । দেখতে দেখতে অনেক দূর পর্যন্ত গড়িয়ে গিয়েছে জল । এই মুহূর্তে ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকটাই কোণঠাসা কঙ্গনা । তবে এই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়ালেন সোনু নিগম ।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই পরিচালক মহেশ ভাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন কঙ্গনা । শোনা গিয়েছিল, রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্ক খারাপ করার পিছনেও হাত ছিল মহেশের । এমনকী, মহেশ তারকা সন্তানদের ছবিতে বেশি সুযোগ দেন বলেও অভিযোগ তোলেন কঙ্গনা ।
এরপর তাঁকে জবাব দেন পূজা ভাট । সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "কঙ্গনা রানাওয়াত যদি প্রতিভাবান না হতেন তাহলে বিশেষ ফিল্মসের মাধ্যমে 'গ্যাংস্টার' সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পেতেন না । হ্যাঁ, অনুরাগ বসু তাঁকে খুঁজে বের করেছেন, কিন্তু তাঁর সিনেমায় লগ্নি করেছে বিশেষ ফিল্মস । ছোটো করার কোনও বিষয় নয় । তার প্রতি শুভকামনা ।" এর পালটা দেওয়া হয় কঙ্গনার টিমের তরফেও । লেখা হয়, "প্রিয় পূজা, যে কোনও প্রতিভাকে খুঁজে বের করার সময় অনুরাগ বাসুর দৃষ্টি থাকে তীক্ষ্ণ । আর এটা সবাই জানেন যে মুকেশ ভাট শিল্পীদের পারিশ্রমিক দিতে পছন্দ করেন না । বিনামূল্যে মেধাবী মানুষদের পেয়ে যাওয়া স্টুডিয়োর ক্ষেত্রে একটা ভালো বিষয় । তবে সেটা কখনওই আপনার বাবাকে কারও দিকে চটি ছোড়া, তাকে পাগল বলা ও অপমান করার অনুমতি দেয় না । কেন তিনি সুশান্ত ও রিয়ার সম্পর্কে এতটা বিনিয়োগ করেছিলেন ? কেন তিনি সুশান্তের অন্তিম ঘোষণা করেছিলেন ? এমন কয়েকটা প্রশ্ন রয়েছে যা আপনার তাঁকে জিজ্ঞাসা করা উচিত ।"
আরও পড়ুন : কঙ্গনার দিকে চটি ছুড়েছিলেন মহেশ ভাট !
যদিও কঙ্গনার অভিযোগ মানতে নারাজ অনেকেই । আবার এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কয়েকজন । বলেন, 'যখন এই ঘটনা ঘটেছিল তখন কেন প্রতিবাদ করেননি তিনি ?' যাই হোক এবার এ প্রসঙ্গে কঙ্গনার পাশে দাঁড়ালেন সোনু । সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল । তার উত্তরে তিনি বলেন, "আমি তাঁদের সঙ্গে 25 থেকে 30 বছর ধরে কাজ করছি । কিন্তু, কখনও ওই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়নি । তবে কঙ্গনা যদি বলেন যে তাঁর সঙ্গে এই জঘন্য ঘটনা ঘটেছে তাহলে আমি তাঁকে বিশ্বাস করব । কারণ মানুষ পাগল না হলে এই ধরনের গল্প তৈরি করেন না । হয়তো এর মাধ্যমে কঙ্গনা বলতে চাইছেন যে, আমাদের সবার একে অপরের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা উচিত ।"