মুম্বই : লকডাউনের ফলে যে মানুষগুলো সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা হলেন দিনমজুরেরা । একদিন কাজ করে সেই দিনের মজুরী নিয়ে বাড়ি ফিরতেন তাঁরা । তাই যেসব ফিল্মের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে, সেখানকার কর্মী ও টেকনিশিয়ানরা ঘোর বিপাকে পড়েছেন । 'রাধে'-র ক্ষেত্রেও তেমনটাই হতে পারতো । কিন্তু, হতে দিলেন না সলমন খান ।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, এই ফিল্মের কর্মী ও টেকনিশিয়ানদের প্রতিদিনের টাকা আগাম তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা করে দিয়েছেন সলমন । ইতিমধ্যেই 26 মার্চ থেকে 2 এপ্রিল অবধি নিজেদের পুরো পারিশ্রমিকটাই পেয়ে গেছেন 'রাধে' ফিল্মের ওয়ার্কাররা ।
ফিল্মের একজন মেকআপ আর্টিস্ট সুভাষ কাপুর সেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "কি মহৎ কাজ ! আমি সলমন স্যারকে ভীষণভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই । সময়টা সত্যিই কঠিন ।"
সামনের ইদেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল 'রাধে'-র । শুটিং শেষ করে শুরু হয়েছিল পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ । সলমনের পানভেলের ফার্মহাউজ়েই এডিটিংয়ের কাজ চলছিল । কিন্তু, কোরোনার থাবায় বন্ধ করতে হয় সবকিছু ।
কয়েকদিন আগেই ইন্ডাস্ট্রির 25 হাজার দিনমজুরের দায়িত্ব নিয়েছেন ভাইজান । আর তাঁর এই সাম্প্রতিক পদক্ষেপ আরও একবার প্রমাণ করে দিল কতটা ভালো মনের মানুষ তিনি । প্রশংসায় সলমনের ফ্যানেরা ।