মুম্বই : বাড়ল রিয়া চক্রবর্তীর বিচারবিভাগীয় হেপাজতের মেয়াদ । 6 অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকবেন তিনি ।
ছেলের মৃত্যুর পর 25 জুলাই বিহারের রাজীব নগর থানায় রিয়া সহ ছয় জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কৃষ্ণ কুমার সিং । রিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁর ছেলের থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ জানান তিনি । এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তদন্তের সময় কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে মাদক যোগের ইঙ্গিত পান তদন্তকারীরা । এরপর এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নারকোটিকস কন্ট্রোল বিওরোকে (NCB) লিখিতভাবে জানান তাঁরা ।
তারপরই রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করে NCB । মাদক যোগের অভিযোগে 4 সেপ্টেম্বর রিয়ার ভাই সৌভিক ও সুশান্তের সহকারী স্যামুয়েল মিরান্ডাকে গ্রেপ্তার করে NCB । 5 সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় সুশান্তের পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তকে । এর মধ্যে NCB-র জালে ধরা পড়ে একাধিক মাদক পাচারকারীও । টানা তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর 8 সেপ্টেম্বর মাদক যোগের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় রিয়াকে ।
যদিও মাদক যোগের কথা অস্বীকার করেন রিয়া । বরং জিজ্ঞাসাবাদের সময় জোর করে তাঁকে মাদক যোগের কথা স্বীকার করতে বলা হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি । আর সেই দাবি জানিয়ে জামিনের জন্য সেশন কোর্টে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী সতীশ মানশিন্দে । যদিও সেই জামিনের আবেদন খারিজ করে রিয়াকে 14দিন বিচারবিভাগীয় হেপাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত । এরপর 9 সেপ্টেম্বর বিশেষ আদালতে ফের জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী, তাঁর ভাই ও বাকি অভিযুক্তরা । বিশেষ আদালতও তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল ।
এদিকে আজই শেষ হয় রিয়া সহ বাকি অভিযুক্তদের বিচারবিভাগীয় হেপাজতের মেয়াদ । আজ তাঁদের ফের আদালতে পেশ করা হয় । তখনই তাঁদের 6 অক্টোবর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেপাজতে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত ।
এরই মধ্যে বম্বে হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন জানান রিয়া ও সৌভিক । আগামীকাল সেই মামলার শুনানি রয়েছে ।
