সাম্প্রতিকতম আপডেট বলছে, দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, লক্ষ্মী আগারওয়ালের আইনজীবীকে তাঁর উপযুক্ত ক্রেডিট না দিলে আগামী 15 জানুয়ারি থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে 'ছপাক'-এর স্ক্রিনিং। তবে এরকম অনেক হেডলাইন তৈরি করেছে 'ছপাক' ।
JNU পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক নেতাদের রোষের মুখে পড়েছিলেন তিনি । BJP নেতৃত্ব দীপিকার 'ছপাক'-কে বয়কট করার ডাক দেয় । প্রশ্নের মুখে দাঁড়ায় ছবির ভবিষ্যৎ । অনেকে বললেন যে, এটা ছিল দীপিকার পাবলিসিটি স্টান্ট ।
ছবিতে অ্যাসিড অ্যাটাকারের নাম নিয়েও হয়েছে রাজনীতি । মুসলিম সমর্থক বলে আক্রমণ করা হয়েছে মেঘনাকে । লক্ষ্মী আগারওয়ালকে যোগ্য় পারিশ্রমিক না দেওয়া বা গল্পচুরির অভিযোগ..প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেশবাসী জাজ করেছে 'ছপাক'-কে ।
তবে শুধু খারাপ সময়ই নয়, অনেক সুন্দর মুহূর্তেরও মুখোমুখি হয়েছে 'ছপাক' । মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, পুঁদুচেরি ও রাজস্থানে করমুক্ত করা হয়েছে 'ছপাক'-কে । IIFA-র মঞ্চে দীপিকাকে সম্মানিত করা হবে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার । ডেরেক ও ব্রায়েন নিজের অফিস কলিগদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন 'ছপাক'-এর টিকিট । হাজার খারাপ সময়ের মধ্যেও এই ছোটো ছোটো আনন্দগুলোকে অস্বীকার করা যায় কি ?
শুরু থেকেই নানা ভাবে মানুষের মনে দাগ কেটেছে 'ছপাক' । ছবির ফার্স্টলুক থেকে শুরু করে ছবির ট্রেলার, যেন চুপ করিয়ে দিয়েছিল দর্শককে । কোথাও গিয়ে সবাইকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছিল এই ছবি, আমরা কি সত্যিই অ্যাসিড আক্রান্তদের কষ্ট বুঝতে পারি ?
'উনহোনে মেরি সুরত বদলি হ্যায়, মেরা মন নহিঁ', দীপিকার কণ্ঠে এই শব্দগুলো যেন নাড়িয়ে দিয়ে যায় সবাইকে । শুধু ভারতের দর্শক নয়, ব্রিটিশ অ্যাক্টিভিস্ট ও অভিনেত্রী কেটি পাইপারও 'ছপাক'-এর ট্রেলার দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছিলেন ।
এক নারীর লেখনীতে ফুটে উঠেছে এক নারীর স্ট্রাগলের গল্প, ফুটিয়ে তুলেছেন আরও এক নারী । 'ছপাক'-কে এক কথায় ওম্যান ড্রিভেন ফিল্ম বলা যায় । সমাজের সীমাবদ্ধতাকে সরাসরি অ্যাড্রেস করেছে এই ছবি ।
মুক্তির প্রথম দিনে প্রায় 5 কোটি টাকা উপার্জন করেছে 'ছপাক' । সমালোচক থেকে দর্শক, প্রত্যেকেই মুগ্ধ এই ছবির মেরিটে । কথায় বলে শেষ ভালো যার সব ভালো....হয়তো 'ছপাক'-এর ক্ষেত্রেও এই প্রবাদ সত্য়ি হবে । এতদিন ধরে চলা বিতর্ক মিথ্যে হয়ে যাবে এক লহমায়, সত্যি হয়ে থাকবে শুধুমাত্র সেই সমস্ত অ্যাসিড আক্রান্তদের ঝলমলে মুখগুলো, যারা অন্ধকারে চোখের জল ফেলেছে ।