মুম্বই : 1988 সালে গোবিন্দ নিহালানীর 'তমাস'-এ বেস্ট মিউজ়েকের জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন বনরাজ ভাটিয়া । 2012 সালে পেয়েছিলেন পদ্মশ্রী । বর্তমানে 92 বছর বয়সে তিনি জানান, তাঁর কাছে কোনও টাকা পয়সা নেই । পাশাপাশি বৃদ্ধ বয়সের অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে । 70-80-র দশকে আর্ট সিনেমা সার্কিটে নিজের স্বতন্ত্র নোটের সঙ্গে নিজের জায়গা খোদাই করেছিলেন সুরকার ।
ভাটিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আমার কাছে কোনও টাকা নেই । আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক টাকাও নেই ।" এমন কী, তাঁর স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাচ্ছে, হাঁটুতে ব্য়থা ও শুনতেও অসুবিধা হয় ।
বেঁচে থাকার জন্য আমদানি করা ক্রোকারিজ়, গৃহস্থালি জিনিসপত্র বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ভাটিয়া । এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁর দেখাশোনা যিনি করেন, তিনি জানান, অনেকদিন কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নেননি বনরাজ । তাই তাঁর শরীর খারাপের আসল কারণও বলা মুশকিল ।
ভাটিয়ার ডিস্কোগ্রাফির অন্তর্গত ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে কুন্দন সাহার 'জানে ভি দো ইয়ারো', অপর্ণা সেনের '৩৬ চৌরঙ্গি লেন', প্রকাশ ঝার 'হিপ হিপ হুররে' ।
1974-র 'অঙ্কুর' থেকে শুরু করে 1996-র 'সরদারি বেগম' পর্যন্ত শ্যাম বেনেগলের সঙ্গে কাজ করেছেন বনরাজ । এই জুটির কয়েকটি জনপ্রিয় প্রোজেক্টে রয়েছে 'মন্থন', 'ভূমিকা', 'জুনুন', 'কলিযুগ', 'মান্ডি', 'ত্রিকাল' ও 'সূরজ কা সাতওয়া ঘোড়া' ।
1989-এ সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডও পান তিনি । ভাটিয়া লন্ডনের রয়্যাল অ্যাকাডেমি অফ মিউজ়িক থেকে ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকাল মিউজ়ক শেখেন ।