হাজার ব্যর্থতা সত্ত্বেও থেমে যাননি ক্যাটরিনা । বিভিন্ন ওঠানামার মধ্যে দিয়েই তিনি নিজের জায়গা তৈরি করেছেন বলিউডে । হাজার সমালোচনার মধ্যে দিয়ে নিজেকে উন্নত করেছেন । হয়ে উঠেছেন পরিচালকের বিশ্বাসযোগ্য অভিনেত্রী ।
২০০৫ সালে 'ম্যায়নে পেয়ার কিয়া' ছবিই ক্যাটরিনাকে প্রথম বক্স অফিস সাফল্য দেয় । তবে ২০০৬ সালে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে 'হামকো দিওয়ানা কর গয়ে' ছবিটি আবার দর্শককে খুশি করতে ব্যর্থ হয় ।
এরকম সাফল্য-ব্যর্থতার মধ্যে দিয়েই এগিয়েছে ক্যাটরিনার ক্যারিয়ার । কখনই তিনি ক্যারিয়ারে সেটলড হতে পারেননি । এই সাফল্য তো এই ব্যর্থতা । তার মধ্য়েও ২০১৭ সালটা ক্যাটরিনার ক্যারিয়ারে একটি টার্নিং পয়েন্ট বলা যেতে পারে ।
তারপরই আর কোনও ফিরে তাকানো নেই । 'জ়িন্দেগি না মিলেগি দোবারা', 'এক থা টাইগার', 'যব তক হ্যায় জান','ধুম ৩', 'টাইগার জ়িন্দা হ্যায়'- এই সমস্ত ছবির মধ্যে দিয়ে ক্যাটরিনা নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন বলিউডে । সমালোচকদের কটুক্তিকে নিজের শক্তিতে পরিণত করে এন্টারটেনার থেকে হয়ে উঠেছেন তিনি ।
২০১৮ সালটা আবার ক্যাটরিনার পক্ষে খুবই খারাপ ছিল । কারণ 'ঠাগস অফ হিন্দোস্তান' আর 'জ়িরো' ছবি দু'টোই মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে । আবার ২০১৯ সালে 'ভারত'-ও সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি দর্শক মনে ।
অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাচেও নিজের পারদর্শিতা প্রমাণ করেছেন ক্যাটরিনা । 'শিলা কি জওয়ানি', 'চিকনি চামেলি', 'ইশক সাভা', 'কমলি' বা 'সুরইয়া'-র মতো গানে তাঁর নাচকে যান্ত্রিক বললে কম বলা হবে । তাঁর শরীরের ভাঙাচোরা যন্ত্রের থেকে কোনও অংশে কম ছিল না ।
2020 সালে এখনও অবধি কোনও ছবি মুক্তি পায়নি বিউটি কুইনের । তবে শীঘ্রই মুক্তির অপেক্ষায় ক্য়াটরিনার 'সূর্যবংশী' । ফের একবার অক্ষয় কুমারের বিপরীতে অভিনয় করবেন ক্যাটরিনা । এছাড়াও একটি সুপারন্যাচরাল অ্যাকশন ছবিতে সুপারহিরোইনের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে । প্রতীক্ষায় দর্শক ।
এত বছর ধরে ক্যাটরিনা নিজেকে উন্নত করতে অনেক পরিশ্রম করেছেন । অভিনয় ও ভাষার উপর নিজের দক্ষতা বাড়িয়েছেন । শুধুমাত্র 'সুন্দর মুখ' নয়, অভিনেত্রী হিসেবে যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন কোনও গডফাদারের সাহায্য ছাড়াই ।
ক্যাটরিনা কাইফকে জন্মদিনে আমাদের পক্ষ থেকে অনেক শুভেচ্ছা । তিনি এভাবেই এগিয়ে যান আলোর পথে ।