মুম্বই : অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে শুরু করে সর্বত্রই বোরখা পরতে দেখা যায় এ আর রহমান কন্যা খাতিজাকে । তা নিয়ে একাধিকবার সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন তিনি । তার জবাবও দিয়েছিলেন এ আর রহমান । সম্প্রতি বোরখা পরা নিয়ে খাতিজার সমালোচনা করেন তসলিমা নাসরিন । তার পালটা জবাব দেন খাতিজা নিজেই । সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তা নিয়েই মন্তব্য করলেন এ আর রহমান । বোরখার মধ্যে দিয়ে খাতিজা স্বাধীনতা খুঁজে পায় বলে মনে করেন তিনি ।
বিতর্কটা শুরু হয়েছিল এক বছর আগে থেকে । তখন বোরখা পরার জন্য সমালোচনার শিকার হতে হয় খাতিজাকে । সে সময় কোনও মন্তব্য করেননি তিনি । তখন টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে সমালোচনার জবাব দিয়েছিলেন এ আর রহমান নিজেই । এক বছর পর সেই বিতর্ককে ফের একবার উসকে দিলেন তসলিমা ।
সম্প্রতি টুইট করে তসলিমা লেখেন,"এ আর রহমানের গান আমার খুবই ভালো লাগে । কিন্তু, তাঁর মেয়েকে দেখলে আমার দমবন্ধ হয়ে আসে । এটা ভেবে খারাপ লাগে যে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের একজন শিক্ষিত মহিলারও কীভাবে সহজে ব্রেনওয়াশ করা যায় ।" এর জবাব দেন খাতিজা । তিনি লেখেন, "প্রিয় তসলিমা নাসরিন দুঃখিত যে আপনার আমাকে দেখলে দমবন্ধ হয়ে আসে । আপনি একটু মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিন । কারণ এই পোশাকে আমার দমবন্ধ হয় না । আমি এর জন্য গর্ববোধ করি । নারীবাদী হওয়ার সঠিক অর্থ গুগলে সার্চ করে জেনে নিন । কারণ এর অর্থ কোনও নারীকে অপমান করা বা তাঁর বাবাকে তার মধ্যে যুক্ত করা নয় ।" তবে শুধু এখানেই থেমে থাকেননি খাতিজা । এই সংক্রান্ত আরও কয়েকটি পোস্ট করতে দেখা যায় তাঁকে ।
আরও পড়ুন : এ আর রহমানের মেয়েকে দেখলে দমবন্ধ হয়ে আসে : তসলিমা
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সক্ষাৎকার দেন এ আর রহমান । সেখানে উঠে আসে খাতিজা ও তসলিমার প্রসঙ্গ । তার উত্তরে রহমান বলেন, "সন্তানদের এমনভাবে মানুষ করা উচিত যার মাধ্যমে তারা আমাদের সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকে । খারাপ ভালো দুই বিষয়ই তাদের জানাতে হবে । তারপর যেটা খুশি তারা বেছে নিতে পারবে ।" এরপর তসলিমাকে খাতিজার জবাব দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "খাতিজার উত্তর ধর্মীয়ভাবে প্রভাবিত নয় । কী পরবে না পরবে সেটা ওর ইচ্ছে । তার যা ইচ্ছে সেটা সে স্বাধীনভাবে পরতে পারে । কোনও বাধা নেই ।"
এমনকী, পুরুষদের যদি বোরখা পরার রীতি থাকত তাহলে এ আর রহমান নিজেই বোরখা পরতেন বলে জানিয়েছেন । তিনি বলেন, "পুরুষদের বোরখা পরার রীতি নেই । তাহলে আমি পরতাম । আসলে এটা পরলে খুব সহজেই দোকানে যাওয়া যায় । কেউ চিনতেই পারে না । আমার মনে হয় এভাবেই খাতিজা নিজের স্বাধীনতা খুঁজে পেয়েছে ।"