মুম্বই : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরের দিন, অর্থাৎ 15 জুন কুপার হাসপাতালের মর্গে প্রয়াত অভিনেতাকে শেষবারের জন্য দেখতে গিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী । তাঁর এই মর্গে যাওয়াকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে । কার অনুমতি নিয়ে এবং কীভাবে রিয়া মর্গে গেলেন ? সুশান্ত ঘনিষ্ঠদের পাশাপাশি সেই প্রশ্ন তোলেন অনুরাগীরাও । নিয়ম অনুযায়ী, মৃতের ঘনিষ্ঠরা ছাড়া আর কাউকেই মর্গে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয় না । আর এবার এই বিষয়টি জানতে চেয়ে মহারাষ্ট্রের মানবাধিকার কমিশনের তরফে নোটিস পাঠানো হয় বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (BMC) ও মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে ।
সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁকে শেষবার দেখতে মর্গে গিয়েছিলেন রিয়া । সেকথা নিজেও স্বীকার করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী । তাঁর বক্তব্য, সুশান্তের কাছে ক্ষমা চাইতে যান তিনি । আর এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে । এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে মানবাধিকার কমিশনের দপ্তরে । এরপরই বিষয়টি জানতে চেয়ে BMC ও মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে স্বতপ্রণোদিতভাবে নোটিস পাঠান মানবাধিকার কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমএ সইদ । সুশান্তের মৃত্যুর পর কেন আইন লঙ্ঘন করে রিয়াকে হাসপাতালের মর্গে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হল, সে বিষয়ে 31 অগাস্টের মধ্যে কারণ দেখাতে বলা হয় তাদের ।
আরও পড়ুন : সুশান্তের পা ছুঁয়ে সরি বলেছিলাম : রিয়া
এরপরই BMC-র তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, মর্গে ঢোকার জন্য রিয়াকে কোনওরকম অনুমতি দেননি তাঁরা । তাহলে কীভাবে রিয়াকে মর্গে ঢুকতে দেওয়া হল তা কুপার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চায় মানবাধিকার কমিশন । সেই মতো গতকাল দুপুরে কুপার হাসপাতালে ডিন পিনাকি গুজ্জর এবং ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সুখদেব মানবধিকার কমিশনের দপ্তরে পৌঁছান । সূত্রের খবর যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা । তাঁদের উত্তরে খুশি হননি সইদ । আর সেই কারণে ওই সময় মর্গের বাইরে ও ভিতরে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের সবার নাম ও বক্তব্য বিস্তারিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে BMC-কে ।
এদিকে এখনও পর্যন্ত এই নোটিসের জবাব দেয়নি মহারাষ্ট্র পুলিশ । আর তাই নোটিসের উত্তর দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে গতকাল ফের একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের তরফে ।