মুম্বই : একদিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মুম্বইয়ের একাধিক দোকান থেকে 24 বোতল অ্যাসিড কিনলেন দীপিকা পাডুকোন । তবে নিজে দোকানে যাননি অভিনেত্রী । তাঁর টিমের সদস্যদের দিয়ে সেগুলি কেনান । কোনও বিক্রেতা অনায়াসেই ক্রেতার কাছে অ্যাসিড বিকিয়ে দিলেন । আবার কোনও বিক্রেতা নিময়মাফিক ক্রেতার থেকে পরিচয়পত্র দাবি করলেন । ক্যামেরাবন্দী করা হয়েছে গোটা ঘটনা । কিন্তু, হঠাৎ করে এত বোতল অ্যাসিড নিয়ে কী করলেন দীপিকা ?
আসলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি একটি পদক্ষেপ নেন দীপিকা ও তাঁর টিমের সদস্যরা । আর এর জন্য তাঁর টিমের সদস্যদের শহরের বিভিন্ন অংশে পাঠানো হয় অ্যাসিড কেনার জন্য । কেউ ব্যবসায়ী, কেউ কলেজ পড়ুয়া, কেউ গৃহবধূ ও কাউকে মদ্যপ সাজিয়ে দোকানে পাঠানো হয় । আর তাঁদের গতিবিধি শুট করা হয় গোপন ক্যামেরায় । দেখা যায় বেশিরভাগ বিক্রেতা অনায়াসেই অ্যাসিড ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন । ক্রেতার পরিচয়পত্র দেখারও চেষ্টা করছেন না । একমাত্র একজন বিক্রেতাই ক্রেতার পরিচয়পত্র দেখার দাবি জানান । আর এইভাবেই একইদিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে 24 বোতল কেনা সম্ভব হয় মুম্বইয়ের বিভিন্ন দোকান থেকে ।
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
ভিডিয়োতে দীপিকা বলেন, "অ্যাসিড বিক্রির সবথেকে বড় কারণ হল অ্যাসিড নিজেই । যদি এটা বিক্রি না হয় তাহলে কেউ আক্রান্তও হবে না ।" আর 24 বোতল অ্যাসিড কেনার পর ভিডিয়োতে দীপিকা বলেন, "বিশ্বাস হচ্ছে না যে একইদিনে আমরা 24 বোতল অ্যাসিড কিনতে সফল হয়েছি । যেখানে সুপ্রিম কোর্ট অ্যাসিড বিক্রির উপর কড়া নির্দেশ জাড়ি করেছে । যদি কাউকে বেআইনিভাবে অ্যাসিড বিক্রি করতে দেখেন তাহলে বিক্রেতাদের পাশাপাশি আমাদেরও দায়িত্ব বিষয়টি পুলিশকে জানানো ।"
10 জানুয়ারি মুক্তি পায় 'ছপাক'। সেখানে অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের চরিত্রে অভিনয় করেন দীপিকা । মাত্র 15 বছর বয়সে লক্ষ্মীর উপর অ্যাসিড হামলা চালায় নাইম খান নামে এক ব্যক্তি । অ্যাসিড আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর লড়াইয়ের কাহিনি তুলে ধরা হয় ছবিতে । ছবিটি পরিচালনা করেন মেঘনা গুলজ়ার । দীপিকার পাশাপাশি রয়েছেন ভিক্রান্ত ম্যাসিও ।