২০০৩ সালের 'বুম' থেকে ২০১৯ সালের 'ভারত'- এই লম্বা জার্নিটা সহজ ছিল না ক্যাটরিনা কইফের পক্ষে। 'বুম' ছবিতে মেঘনা রেড্ডির পরিবর্তে একেবারে শেষ মুহূর্তে বাধ্য হয়ে নেওয়া হয়েছিল ক্যাটরিনাকে। ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। তবে বলিউড পেয়ে যায় একটি নতুন মুখ, যে মুখ সহজে ভোলা যায় না।
হাজার ব্যর্থতা সত্ত্বেও থেমে যাননি ক্যাটরিনা। বিভিন্ন ওঠানামার মধ্যে দিয়েই তিনি নিজের জায়গা তৈরি করেছেন বলিউডে। হাজার সমালোচনার মাধ্যমে নিজেকে উন্নত করেছেন। হয়ে উঠেছেন পরিচালকের বিশ্বাসযোগ্য অভিনেত্রী।
২০০৫ সালে 'ম্যায়নে পেয়ার কিয়া' ছবিই ক্যাটরিনাকে প্রথম বক্স অফিস সাফল্য দেয়। তবে ২০০৬ সালে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে 'হামকো দিওয়ানা কর গয়ে' ছবিটি আবার দর্শককে খুশি করতে ব্যর্থ হয়।
এরকম সাফল্য-ব্যর্থতার মধ্যে দিয়েই এগিয়েছে ক্যাটরিনার ক্যারিয়ার। কখনই তিনি ক্যারিয়ারে সেটলড হতে পারেননি। এই সাফল্য তো এই ব্যর্থতা। তার মধ্য়েও ২০১৭ সালটা ক্যাটরিনার ক্যারিয়ারে একটি টার্নিং পয়েন্ট বলা যেতে পারে।
তারপরই আর কোনও ফিরে তাকানো নেই। 'জ়িন্দেগি না মিলেগি দোবারা', 'এক থা টাইগার', 'যব তক হ্যায় জান','ধুম ৩', 'টাইগার জ়িন্দা হ্যায়'- এই সমস্ত ছবির মধ্যে দিয়ে ক্যাটরিনা নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন বলিউডে। সমালোচকদের মন্তব্যকে নিজের শক্তিতে পরিণত করে এন্টারটেনার থেকে হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী।
২০১৮ সালটা আবার ক্যাটরিনার পক্ষে খুবই ডিসাস্ট্রাস ছিল। কারণ 'ঠাগস অফ হিন্দোস্তান' আর 'জ়িরো' ছবি দু'টোই মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। তবে ২০১৯ সালে 'ভারত'-এর বিপুল সাফল্য পুষিয়ে দেয় ব্যর্থতার যন্ত্রণাকে।
অভিনেত্রী, ডান্সার, বলিউড বিউটি ক্যাটরিনা কাইফকে জন্মদিনে ETV ভারত সিতারার অনেক শুভেচ্ছা। তিনি এভাবেই এগিয়ে যান আলোর পথে।