কলকাতা : 'শিকারা : দা আনটোল্ড স্টোরি অফ কাশ্মীরি পণ্ডিত' মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার । এই ছবি বানাতে সময় লেগেছে টানা 11 বছর । এমনকী, এটিকে নিজের অন্যতম সেরা ছবি বলে মনে করেন পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া । সম্প্রতি ছবির প্রচারে কলকাতায় এসে একথা জানান তিনি । পরিচালক ছাড়াও ছিলেন আদিল খান ও সাদিয়া ।
ছবি প্রসঙ্গে বিধু বিনোদ চোপড়া বলেন, "কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা ছাড়ার কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে । তাও প্রায় 30 বছর আগের কথা । আর ছবিটি তৈরি করতে আমার সময় লেগেছিল টানা 11 বছর । ছবিটি করতে গিয়ে বিভিন্ন বিষয় আমাকে পরিবর্তন করতে হয়েছে । কারণ আমি যেই কাশ্মীরে বড় হয়েছি এটা সেই একই কাশ্মীর নয় । আমি মনে করি যে এটা আমার অন্যতম সেরা ছবি ।"
তবে যে কোনও ছবি করার আগে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তৈরি করে নেন বিধু বিনোদ চোপড়া । 'পরিণীতা' ছবির আগে বিদ্যা বালনকে 6 মাস কলকাতায় থাকতে বলেছিলেন তিনি । যাতে বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে একাধিক বিষয় জানতে পারেন বিদ্যা । তারপরই ছবির শুটিং শুরু করেন পরিচালক । একইভাবে আদিল ও সাদিয়াকে 6 মাস কাশ্মীরে রেখেছিলেন তিনি । যাতে কাশ্মীরিদের আদবকায়দা রপ্ত করতে পারেন তাঁরা ।
একসময় কাশ্মীরে থাকতেন বিধু বিনোদ চোপড়া । সেখান থেকে চলে আসার ফলে নিজের বাড়ি হারান তিনি । যদিও তাঁদের কখনও শরণার্থী শিবিরে থাকতে হয়নি । তবে ছবিতে ওই শিবিরের মধ্যে যে টমেটো বিলি করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল তা একেবারেই সঠিক বলে জানিয়েছেন পরিচালক । এমনকী, টমেটো শেষ হয়ে গেলে সেখানে পরিবার পিছু আধ খানা টমেটো দেওয়া হত বলেও জানান তিনি ।
প্রথমে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল নভেম্বরে । কিন্তু, তখন কাশ্মীরের উপর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহার করা হয় । এরপর অনেকেই পরিচালককে বলেছিলেন তিনি পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এই সময় ছবি মুক্তি করতে চাইছেন । তখন ছবির মুক্তি পিছিয়ে দেন তিনি । এ প্রসঙ্গে বিধু বিনোদ চোপড়া বলেন, "ভালোই হয়েছে ওই সময় ছবিটি মুক্তি পায়নি । যদিও আপনারা দেখেছেন ছবিটি ভাঙার নয়, গড়ার কথা বলে ।"