ETV Bharat / sitara

মৃত্যুবার্ষিকীতে মহম্মদ রফিকে স্মরণ কলকাতার পানওয়ালার

1940 সাল থেকে 1980 সাল । কয়েক দশক ধরে হিন্দি ছবির জগতে রাজ করেছেন মহম্মদ রফি । মৃত্যুর এতগুলো বছর পরও তাঁর গান মানুষের মুখে মুখে । কলকাতার এই পান দোকান থেকেই পান খেতেন মহম্মদ রফি । তাই তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোকানে থাকল স্পেশাল অনেক কিছু ।

মহম্মদ রফি
author img

By

Published : Jul 31, 2019, 5:19 PM IST

Updated : Sep 19, 2019, 10:28 PM IST

কলকাতা : সংগীত জগতে মহম্মদ রফি একটা যুগ । মানুষ এখনও তাঁর গানের ভক্ত । আজকের দিনে 1980 সালে মৃত্যু হয়েছিল এই কিংবদন্তির । আজ তাঁর মৃত্যু দিনে সকলের সঙ্গে কলকাতার এই পানওয়ালাও তাঁকে স্মরণ করছে । সকাল থেকে বাজছে তাঁর গান । দোকানের চারিদিকে তাঁর ছবি ।

কলকাতা কর্পোরেশন বিল্ডিংয়ের উলটো ফুটপাত । এলিট সিনেমা হলের কাছে একটি পানের দোকান । শহরের প্রত্যেক ফুটপাতে যেমন পানের দোকান থাকে, ঠিক সেরকমই। তবে একটু আলাদা । এই পানের দোকানটিতে ঢুকলেই দেখা যাবে মহম্মদ রফির ছবি । যা হাতে গুনে হয়তো শেষ হয়না । সঙ্গে সবসময় বাজছে তাঁর গান । কেমন চলছে সেই পানের দোকান ? আজ মহম্মদ রফির মৃত্যুবার্ষিকীতেই বা স্পেশাল কিছু থাকছে কি দোকানে ? জানতে ETV ভারত সিতারা পৌঁছে গিয়েছিল সেখানে ।

ধর্মতলার এই পানের দোকানটির বয়স কত তা বলা খুবই মুশকিল । তবে তা যে ব্রিটিশ আমল থেকে চলছে তা বললেন দোকানের বর্তমান মালিক । কলকাতা এলেই এই দোকান থেকেই পান খেতেন ভারতের অন্য়তম কিংবদন্তি গায়ক মহম্মদ রফি । আজ 40 তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোকানে আয়োজন করা হল প্রতিযোগিতার । ঠিক উত্তর দিতে পারলেই থাকবে মনের মতো পান ।

রফি সাহেবের বড় ভক্ত ছিলেন মহম্মদ মুনিরুদ্দিন । এতটাই তাঁর ভক্ত ছিলেন কলকাতা থেকে মুম্বই চলে যেতেন দেখা করতে । সেখানে বন্ধুত্ব হয় গায়ক মহম্মদ রফি ও পান দোকানের মালিক মহম্মদ মুনিরুদ্দিনের । তারপর থেকে সেই বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হতে থাকে । তাই কলকাতা এলেই এই দোকানে ঢুঁ মারতেন রফি সাহেব ।

আজ রফি সাহেব নেই । তবে তাঁদের বন্ধুত্ব রয়ে গেছে । 1980 সালে চিরবিদায় নিলেও আজও সকাল সন্ধ্যা দোকানে বাজতে থাকে রফি সাহেবের গান । মহম্মদ মুনিরুদ্দিনেরও বয়স হয়েছে অনেক । তাই এবার সেভাবে না হলেও ছোটো করে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন তাঁরা ।

মহম্মদ রফি 1924 সালের 24 ডিসেম্বর পঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন । গানের প্রতি ভালোবাসা দেখে তাঁর দাদা মহম্মদ হামিদ তাঁকে উস্তাদ আব্দুল বাহিদ খানের কাছে নিয়ে যান । মহম্মদ রফি 13 বছর বয়স থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইছেন ।

'তেরা খিলোনা টুটা' ছবিতে গান গেয়ে হিন্দি ছবির জগতে পথ চলা শুরু রফির । তারপর 'শহিদ', 'মেলা অর দুলারি' ছবিতে গান গেয়ে জনপ্রিয় হন তিনি । তাঁর গানের মধ্যে 'অ্যা দুনিয়া কে রখবালে', 'ইয়ে হ্যায় বম্বে মেরি জান', 'সর জো তেরা চকরায়ে', 'হম কিসী সে কম নেহি', 'চাহে কোই মুঝে জঙ্গলী কহে', 'ম্যায় জট ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা', 'হম কালে হ্যায় তো কেয়া হুয়া দিলবালে হ্যায়' খুবই জনপ্রিয় ।

দেখুন ভিডিয়ো

কলকাতা : সংগীত জগতে মহম্মদ রফি একটা যুগ । মানুষ এখনও তাঁর গানের ভক্ত । আজকের দিনে 1980 সালে মৃত্যু হয়েছিল এই কিংবদন্তির । আজ তাঁর মৃত্যু দিনে সকলের সঙ্গে কলকাতার এই পানওয়ালাও তাঁকে স্মরণ করছে । সকাল থেকে বাজছে তাঁর গান । দোকানের চারিদিকে তাঁর ছবি ।

কলকাতা কর্পোরেশন বিল্ডিংয়ের উলটো ফুটপাত । এলিট সিনেমা হলের কাছে একটি পানের দোকান । শহরের প্রত্যেক ফুটপাতে যেমন পানের দোকান থাকে, ঠিক সেরকমই। তবে একটু আলাদা । এই পানের দোকানটিতে ঢুকলেই দেখা যাবে মহম্মদ রফির ছবি । যা হাতে গুনে হয়তো শেষ হয়না । সঙ্গে সবসময় বাজছে তাঁর গান । কেমন চলছে সেই পানের দোকান ? আজ মহম্মদ রফির মৃত্যুবার্ষিকীতেই বা স্পেশাল কিছু থাকছে কি দোকানে ? জানতে ETV ভারত সিতারা পৌঁছে গিয়েছিল সেখানে ।

ধর্মতলার এই পানের দোকানটির বয়স কত তা বলা খুবই মুশকিল । তবে তা যে ব্রিটিশ আমল থেকে চলছে তা বললেন দোকানের বর্তমান মালিক । কলকাতা এলেই এই দোকান থেকেই পান খেতেন ভারতের অন্য়তম কিংবদন্তি গায়ক মহম্মদ রফি । আজ 40 তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোকানে আয়োজন করা হল প্রতিযোগিতার । ঠিক উত্তর দিতে পারলেই থাকবে মনের মতো পান ।

রফি সাহেবের বড় ভক্ত ছিলেন মহম্মদ মুনিরুদ্দিন । এতটাই তাঁর ভক্ত ছিলেন কলকাতা থেকে মুম্বই চলে যেতেন দেখা করতে । সেখানে বন্ধুত্ব হয় গায়ক মহম্মদ রফি ও পান দোকানের মালিক মহম্মদ মুনিরুদ্দিনের । তারপর থেকে সেই বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হতে থাকে । তাই কলকাতা এলেই এই দোকানে ঢুঁ মারতেন রফি সাহেব ।

আজ রফি সাহেব নেই । তবে তাঁদের বন্ধুত্ব রয়ে গেছে । 1980 সালে চিরবিদায় নিলেও আজও সকাল সন্ধ্যা দোকানে বাজতে থাকে রফি সাহেবের গান । মহম্মদ মুনিরুদ্দিনেরও বয়স হয়েছে অনেক । তাই এবার সেভাবে না হলেও ছোটো করে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন তাঁরা ।

মহম্মদ রফি 1924 সালের 24 ডিসেম্বর পঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন । গানের প্রতি ভালোবাসা দেখে তাঁর দাদা মহম্মদ হামিদ তাঁকে উস্তাদ আব্দুল বাহিদ খানের কাছে নিয়ে যান । মহম্মদ রফি 13 বছর বয়স থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইছেন ।

'তেরা খিলোনা টুটা' ছবিতে গান গেয়ে হিন্দি ছবির জগতে পথ চলা শুরু রফির । তারপর 'শহিদ', 'মেলা অর দুলারি' ছবিতে গান গেয়ে জনপ্রিয় হন তিনি । তাঁর গানের মধ্যে 'অ্যা দুনিয়া কে রখবালে', 'ইয়ে হ্যায় বম্বে মেরি জান', 'সর জো তেরা চকরায়ে', 'হম কিসী সে কম নেহি', 'চাহে কোই মুঝে জঙ্গলী কহে', 'ম্যায় জট ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা', 'হম কালে হ্যায় তো কেয়া হুয়া দিলবালে হ্যায়' খুবই জনপ্রিয় ।

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:কলকাতায় কর্পোরেশন বিল্ডিংয়ের বিপরীতে, এলিট সিনেমা হলের কাছেই রয়েছে একটি পানের দোকান। যেমন পানের দোকান থাকে কলকাতার প্রত্যেকটি ফুটপাতের গায়ে। কিন্তু এই পানের দোকানটি অন্যগুলির চেয়ে আলাদা। আলাদা কারণ, কলকাতায় এলে এই পানের দোকান থেকেই পান খেতেন সুরের সম্রাট ভারতের অন্যতম কিংবদন্তি গায়ক মোহাম্মদ রফি। কেমন চলছে সেই পানের দোকান। খোঁজ নিল ETV ভারত সিতারা।


Body:এসপ্ল্যানেডের ব্যস্ততম রাস্তা। সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে দু'ধারে। মানুষ চলছে না, ছুটছে। ব্যস্ততার মাঝেও থামছে একটি দোকানে। মুখে পুরে দিচ্ছে মিষ্টি ঠান্ডা পান। ঠিক যেমনটা থামতেন গায়ক মোহাম্মদ রফি।

অনেক পুরনো দিনের কথা। মোহাম্মদ রফি কলকাতায় আসছেন যখন তার বন্ধু পানওয়ালার এই দোকানেই খেতেন মিষ্টি পাতার পান। মুম্বইতে সাক্ষাৎ,সেখান থেকে বন্ধুত্ব মোহাম্মদ রফি ও মোহাম্মদ মুনিরুদ্দিনের। আর বন্ধুত্ব রক্ষার খাতিরে প্রত্যেক সময় দোকানে গিয়ে ঢু মারা রাফি। আজ রফি নেই। ১৯৮০ সালের আজকের দিনেই চিরবিদায় নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আজও সকাল সন্ধা সেই দোকানে বাজে রফির গান। এখন মুনিরুদ্দীনের উদ্দিন এর জায়গায় দোকান চালায় তাঁর ছেলে।


Conclusion:দেখুন ভিডিও :
Last Updated : Sep 19, 2019, 10:28 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.