ওয়াশিংটন : 11 এপ্রিল ঐতিহাসিক উড়ানের আগে লাল গ্রহের মাটিতে নেমেছে নাসার মার্স হেলিকপ্টার ‘ইনজেনুইটি’। পারসিভিয়ারেন্স রোভারের পেটের মধ্যে চেপে মঙ্গলে পৌঁছেছে ইনজেনুইটি । 18 ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের অবতরণ করেছে পারসিভিয়ারেন্স ।
ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনায় নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির তরফে শনিবার রাতে ট্যুইট করে জানানো হয়, “মার্স হেলিকপ্টারের টাচডাউন হয়েছে । পারসিভিয়ারেন্সে চেপে তার 293 মিলিয়ন মাইলের (471 মিলিয়ন কিলোমিটার) যাত্রা শেষ হয়েছে তখন, যে সময় সে রোভারের পেট থেকে চার ইঞ্চি (10 সেমি) লাফ জমিয়ে মঙ্গলের পৃষ্ঠে নেমেছে ।”
আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছিল, মঙ্গলে হেলিকপ্টার উড়ানের প্রথম প্রয়াসের দিন 8 এপ্রিল থেকে পিছিয়ে 11 এপ্রিল করা হয়েছে ।
মঙ্গলে নিয়ন্ত্রিত উড়ান পৃথিবীর তুলনায় অনেকটাই বেশি কঠিন ।লাল গ্রহের মোটামুটি মাধ্যাকর্ষণ থাকলেও (পৃথিবীর একের তিন অংশ), তার বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ঘনত্বের তুলনায় মাত্র 1 শতাংশ ।
মঙ্গলপৃষ্ঠে দিনের বেলার পৃথিবীর তুলনায় মাত্র অর্ধেক পরিমাণ সৌরশক্তি পৌঁছয়, আর রাতের বেলায় তাপমাত্রা মাইনাস 90 ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যায়, যার জেরে অসুরক্ষিত ইলেট্রনিক যন্ত্রাংশ ঠাণ্ডায় জমে গিয়ে চিড় ধরে যেতে পারে ।
পারসিভিয়ারেন্সের মধ্যে জায়গা পাওয়ার জন্য ইনজেনুইটি কপ্টারকে আকারে ছোট হতে হয়েছে ।
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের ওড়ার জন্য তাকে হালকা হতে হয়েছে । মঙ্গলের রাতে প্রবল ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতে তাকে অভ্যন্তীরণ হিটার চালু রাখতে হবে, এবং তার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় করে রাখা দরকার ।
আরও পড়ুন : মঙ্গলগ্রহে প্রথমবার হেলিকপ্টার ওড়ানোর পরিকল্পনা পিছিয়ে দিল নাসা
এই কপ্টারের কর্মক্ষমতার পুরো পরীক্ষা -- রোটার থেকে সোলার প্যানেল, ইলেকট্রিক্যাল হিটার ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ -- জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির বায়ুশূন্য কক্ষে ।