ETV Bharat / science-and-technology

Dead Satellite to Crash: পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে কৃত্রিম উপগ্রহ, তবে মানবসমাজের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই; জানাল নাসা

পৃথিবীতে ফিরে আসছে নাসার তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ রিউভেন ব়্যামাটি হাই এনার্জি সোলার স্পেকট্রোস্কোপিক ইমেজার বা আরএইচইএসএসআই ৷ তার এই ঘরে ফেরা সম্পর্কে কী বলছে নাসা ? মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগেরই বা বক্তব্য কী ?

Dead Satellite RHESSI to be Crashed on earth very soon
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Apr 18, 2023, 8:57 PM IST

ওয়াশিংটন, 18 এপ্রিল: 21 বছর পর পৃথিবীতে ফিরছে নাসার তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ রিউভেন ব়্যামাটি হাই এনার্জি সোলার স্পেকট্রোস্কোপিক ইমেজার ৷ সংক্ষেপে যার নাম আরএইচইএসএসআই ৷ নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 2002 সালে এই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল ৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বৃহস্পতিবারই (20 এপ্রিল, 2023- ভারতীয় সময় অনুসারে) মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে আরএইচইএসএসআই ৷ পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ থেকে সৌরশিখা এবং সূর্যের ভর নির্গমন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করাই ছিল তার দায়িত্ব ৷ টানা 16 বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করেছে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি ৷ তার এই পরিষেবায় উপকৃত হয়েছেন অসংখ্য মহাকাশ বিজ্ঞানী ও পদার্থবিদ ৷ কিন্তু, উৎক্ষেপণের 16 বছর পর 2018 সালে এই উপগ্রহটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন নাসার বিজ্ঞানীরা ৷ ফলে সেটিকে বাতিল করে দিতে হয় ৷

অবশেষে সেই বাতিল কৃত্রিম উপগ্রহ ফিরে আসছে তার জন্মভূমে ৷ আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আরএইচইএসএসআই-এর গতিবিধির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখছে ৷ এটির ওজন প্রায় 660 পাউন্ড ৷ পর্যবেক্ষকদের হিসাব বলছে, বুধবার স্থানীয় সময় রাত 9টা 30 মিনিটে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ফিরবে আরএইচইএসএসআই ৷ ভারতীয় সময় অনুসারে সেটা হবে, বৃহস্পতিবার সকাল 7টা ৷ তবে, এই সময়সীমার বদল হতে পারে ৷ নাসার অনুমান, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার পরই এই কৃত্রিম উপগ্রহে আগুন লেগে যাবে ৷ তারপর ভৃপৃষ্ঠে (অথবা জলভাগে) আছড়ে পড়বে সেটি ৷ তবে, এই সংঘাতের পরও আরএইচইএসএসআই-এর কিছু অংশ অক্ষত থেকে যেতে পারে ৷ এই প্রসঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, "এই ঘটনায় পৃথিবীতে বসবাসকারী কারও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম ৷ সেই সম্ভাবনার পরিমাণ 2 হাজার 467 ভাগের একভাগ ৷"

আরও পড়ুন: এবার আরও স্পষ্ট হবে ব্রহ্মাণ্ডের ছবি !

গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘ 16 বছর ধরে আরএইচইএসএসআই যে তথ্যভাণ্ডার পৃথিবীতে পাঠিয়েছে, তা এক অমূল্য সম্পদ ৷ তা বিশ্লেষণ করে সৌরশিখা ও সূর্যের ভর সংক্রান্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, এই মহাজাগতিক ঘটনাসমষ্টি মুহূর্তে সূর্যের বায়ুণ্ডলের মধ্যে বহু মেগা টন টিএনটি বিস্ফোরণের সমতুল্য শক্তি নির্গমন করতে পারে ৷ তাতে যেকোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ এবং বৈদ্যুতিন পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে ৷ বস্তুত, অসংখ্য তথ্য জোগাড়ের পরও মহাজাগতিক এই ঘটনা সম্পর্কে সবকিছু জেনে উঠতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা ৷

ওয়াশিংটন, 18 এপ্রিল: 21 বছর পর পৃথিবীতে ফিরছে নাসার তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ রিউভেন ব়্যামাটি হাই এনার্জি সোলার স্পেকট্রোস্কোপিক ইমেজার ৷ সংক্ষেপে যার নাম আরএইচইএসএসআই ৷ নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 2002 সালে এই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল ৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বৃহস্পতিবারই (20 এপ্রিল, 2023- ভারতীয় সময় অনুসারে) মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে আরএইচইএসএসআই ৷ পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ থেকে সৌরশিখা এবং সূর্যের ভর নির্গমন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করাই ছিল তার দায়িত্ব ৷ টানা 16 বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করেছে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি ৷ তার এই পরিষেবায় উপকৃত হয়েছেন অসংখ্য মহাকাশ বিজ্ঞানী ও পদার্থবিদ ৷ কিন্তু, উৎক্ষেপণের 16 বছর পর 2018 সালে এই উপগ্রহটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন নাসার বিজ্ঞানীরা ৷ ফলে সেটিকে বাতিল করে দিতে হয় ৷

অবশেষে সেই বাতিল কৃত্রিম উপগ্রহ ফিরে আসছে তার জন্মভূমে ৷ আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আরএইচইএসএসআই-এর গতিবিধির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখছে ৷ এটির ওজন প্রায় 660 পাউন্ড ৷ পর্যবেক্ষকদের হিসাব বলছে, বুধবার স্থানীয় সময় রাত 9টা 30 মিনিটে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ফিরবে আরএইচইএসএসআই ৷ ভারতীয় সময় অনুসারে সেটা হবে, বৃহস্পতিবার সকাল 7টা ৷ তবে, এই সময়সীমার বদল হতে পারে ৷ নাসার অনুমান, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার পরই এই কৃত্রিম উপগ্রহে আগুন লেগে যাবে ৷ তারপর ভৃপৃষ্ঠে (অথবা জলভাগে) আছড়ে পড়বে সেটি ৷ তবে, এই সংঘাতের পরও আরএইচইএসএসআই-এর কিছু অংশ অক্ষত থেকে যেতে পারে ৷ এই প্রসঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, "এই ঘটনায় পৃথিবীতে বসবাসকারী কারও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম ৷ সেই সম্ভাবনার পরিমাণ 2 হাজার 467 ভাগের একভাগ ৷"

আরও পড়ুন: এবার আরও স্পষ্ট হবে ব্রহ্মাণ্ডের ছবি !

গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘ 16 বছর ধরে আরএইচইএসএসআই যে তথ্যভাণ্ডার পৃথিবীতে পাঠিয়েছে, তা এক অমূল্য সম্পদ ৷ তা বিশ্লেষণ করে সৌরশিখা ও সূর্যের ভর সংক্রান্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, এই মহাজাগতিক ঘটনাসমষ্টি মুহূর্তে সূর্যের বায়ুণ্ডলের মধ্যে বহু মেগা টন টিএনটি বিস্ফোরণের সমতুল্য শক্তি নির্গমন করতে পারে ৷ তাতে যেকোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ এবং বৈদ্যুতিন পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে ৷ বস্তুত, অসংখ্য তথ্য জোগাড়ের পরও মহাজাগতিক এই ঘটনা সম্পর্কে সবকিছু জেনে উঠতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.