ETV Bharat / science-and-technology

Chandrayaan-3: চারদিন পরেই ‘রেড লেটার ডে’, তার আগে 'ব্যর্থতা ভিত্তিক নকশা'তেই ভরসা রাখছে ইসরো

চন্দ্রপৃষ্ঠের যেখানে ল্যান্ডারটি ছুঁতে পারে সেই জায়গাটিকে আরও বড় করা হয়েছে । এটি আগে 500 মিটার বাই 500 মিটার ছিল, কিন্তু এখন এটি 2.5 কিলোমিটার বাই 4 কিলোমিটার। এই পরিবর্তন সফ্টওয়্যারটিকে ল্যান্ডারের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আরও জায়গা দেবে । লিখেছেন গিরিশ লিঙ্গান্না, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক...৷

chandrayaan
'ব্যর্থতা-ভিত্তিক নকশা'তেই ভরসা রাখছে ইসরো
author img

By

Published : Aug 20, 2023, 10:31 AM IST

Updated : Aug 20, 2023, 10:39 AM IST

বেঙ্গালুরু, 20 অগস্ট: আর মাত্র চারদিন ৷ তারপরেই ‘রেড লেটার ডে’ ৷ প্রোপালশন মডিউল ও ল্যান্ডার আলাদা হওয়ার পর চন্দ্রযান-3 এর কক্ষপথকে ধীরে ধীরে হ্রাস করছেন বিজ্ঞানীরা ৷ একই সঙ্গে এটিকে চন্দ্রের মেরুতে প্রতিস্থাপন করার শেষ পর্যায়ের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে । তারমধ্যেই ইসরো জানিয়ে দিল, 'ব্যর্থতা-ভিত্তিক নকশা' সমস্ত ঝড়-ঝাপটা সহ্য করতে প্রস্তুত ৷

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) চন্দ্রযান-3 মিশনের জন্য নির্বাচিত 'ব্যর্থতা-ভিত্তিক নকশা'-তে আস্থা প্রকাশ করেছে ৷ ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ 15 অগস্ট একটি ভার্চুয়াল ভাষণে জানান, 'বিক্রম' ল্যান্ডারের সম্পূর্ণ নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে এটি যাবতীয় সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে ৷ চন্দ্রযান-3-এর ব্যর্থতা ভিত্তিক নকশা সফল অবতরণ নিশ্চিত করে । এমনকী যদি সবকিছু ব্যর্থ হয়, যদি সমস্ত সেন্সর কাজ করা বন্ধ করে দেয়, বিক্রম অবতরণ করবে । এভাবে এটি ডিজাইন করা হয়েছে, প্রোপালশন সিস্টেমটিও যথাযথভাবে বার্তা পাঠানোর কাজ করবে ।’’

প্রোপালশন মডিউলের এর ভূমিকা কী ?

প্রোপালশন মডিউলটি চন্দ্রের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বর্ণালী এবং পোলারিমেট্রিক পরিমাপ অধ্যয়ন করবে । ফলে চাঁদের কাছে ভারতের স্যাটেলাইট সংখ্যা এখন দু’য়ের বদলে তিন ৷ এই মডিউল ল্যান্ডার এবং রোভারকে ইনজেকশন কক্ষপথ থেকে 100 কিলোমিটার চন্দ্র কক্ষপথ পর্যন্ত বহন করবে। স্পেকট্রো-পোলারিমেট্রি অফ হ্যাবিটেট প্ল্যানেটারি আর্থ (শেপ) পেলোডও বহন করছে এটি। ইসরো জানিয়েছে, শেপ-এর লক্ষ্য বিভিন্ন এক্সো-প্ল্যানেটের অনুসন্ধান করা যা বাসযোগ্য (অর্থাৎ, এক্সো প্ল্যানেটে প্রাণের উপস্থিতি খোঁজা)।

সোমনাথ বলেন, ‘‘পেরিলিউন (চাঁদের নিকটতম বিন্দু) 30 কিলোমিটার এবং অ্যাপুলুন (চাঁদের সবচেয়ে দূরবর্তী বিন্দু) 100 কিলোমিটার । অবতরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ল্যান্ডারের গতিবেগ কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া যখন এটি 30 কিলোমিটার উচ্চতা থেকে চূড়ান্ত অবস্থানে অবতরণ শুরু করবে । মহাকাশযানটিকে অনুভূমিক থেকে উল্লম্ব দিকে স্থানান্তর করার ধাপটিই সবচেয়ে জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ ।’’

তিনি জানান, ইসরোর আরেকটি চ্যালেঞ্জ হল এটা নিশ্চিত করা যাতে শক্তি খরচ কম হয় ৷ দূরত্বের সঠিক গণনা এবং সমস্ত অ্যালগরিদম সঠিকভাবে কাজ করলেই এটি সম্ভব হবে । তিনি বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত করেছি যে প্রতি সেকেন্ডে তিন মিটার পর্যন্ত অবতরণের বেগ চন্দ্রযান-3 এর কোনও ক্ষতি করবে না ।’’

ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান-2 অবতরণকালে ল্যান্ডারে থাকা পাঁচটি বিপরীতমুখী রকেট, যাদের চাঁদের কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে এটিকে ধীর করে দেওয়ার কথা ছিল, সঠিকভাবে কাজ করেনি । ধীরগতির পরিবর্তে, তারা আসলে ল্যান্ডারটিকে চন্দ্রপৃষ্ঠের দিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়েছিল । তারপরেই এবার চন্দ্রপৃষ্ঠের যে স্থানে ল্যান্ডারটি নামতে পারে সেই জায়গাটিকে আরও বড় করা হয়েছে । এটি আগে 500 মিটার বাই 500 মিটার ছিল ৷ কিন্তু এখন এটি 2.5 কিলোমিটার বাই 4 কিলোমিটার । এই পরিবর্তন সফটওয়্যারটিকে ল্যান্ডারের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আরও জায়গা দেবে ।

আরও পড়ুন: চাঁদের আরও কাছাকাছি ‘বিক্রম’, পাঠাল চন্দ্রপৃষ্ঠের একাধিক ছবি

বেঙ্গালুরু, 20 অগস্ট: আর মাত্র চারদিন ৷ তারপরেই ‘রেড লেটার ডে’ ৷ প্রোপালশন মডিউল ও ল্যান্ডার আলাদা হওয়ার পর চন্দ্রযান-3 এর কক্ষপথকে ধীরে ধীরে হ্রাস করছেন বিজ্ঞানীরা ৷ একই সঙ্গে এটিকে চন্দ্রের মেরুতে প্রতিস্থাপন করার শেষ পর্যায়ের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে । তারমধ্যেই ইসরো জানিয়ে দিল, 'ব্যর্থতা-ভিত্তিক নকশা' সমস্ত ঝড়-ঝাপটা সহ্য করতে প্রস্তুত ৷

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) চন্দ্রযান-3 মিশনের জন্য নির্বাচিত 'ব্যর্থতা-ভিত্তিক নকশা'-তে আস্থা প্রকাশ করেছে ৷ ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ 15 অগস্ট একটি ভার্চুয়াল ভাষণে জানান, 'বিক্রম' ল্যান্ডারের সম্পূর্ণ নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে এটি যাবতীয় সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে ৷ চন্দ্রযান-3-এর ব্যর্থতা ভিত্তিক নকশা সফল অবতরণ নিশ্চিত করে । এমনকী যদি সবকিছু ব্যর্থ হয়, যদি সমস্ত সেন্সর কাজ করা বন্ধ করে দেয়, বিক্রম অবতরণ করবে । এভাবে এটি ডিজাইন করা হয়েছে, প্রোপালশন সিস্টেমটিও যথাযথভাবে বার্তা পাঠানোর কাজ করবে ।’’

প্রোপালশন মডিউলের এর ভূমিকা কী ?

প্রোপালশন মডিউলটি চন্দ্রের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বর্ণালী এবং পোলারিমেট্রিক পরিমাপ অধ্যয়ন করবে । ফলে চাঁদের কাছে ভারতের স্যাটেলাইট সংখ্যা এখন দু’য়ের বদলে তিন ৷ এই মডিউল ল্যান্ডার এবং রোভারকে ইনজেকশন কক্ষপথ থেকে 100 কিলোমিটার চন্দ্র কক্ষপথ পর্যন্ত বহন করবে। স্পেকট্রো-পোলারিমেট্রি অফ হ্যাবিটেট প্ল্যানেটারি আর্থ (শেপ) পেলোডও বহন করছে এটি। ইসরো জানিয়েছে, শেপ-এর লক্ষ্য বিভিন্ন এক্সো-প্ল্যানেটের অনুসন্ধান করা যা বাসযোগ্য (অর্থাৎ, এক্সো প্ল্যানেটে প্রাণের উপস্থিতি খোঁজা)।

সোমনাথ বলেন, ‘‘পেরিলিউন (চাঁদের নিকটতম বিন্দু) 30 কিলোমিটার এবং অ্যাপুলুন (চাঁদের সবচেয়ে দূরবর্তী বিন্দু) 100 কিলোমিটার । অবতরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ল্যান্ডারের গতিবেগ কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া যখন এটি 30 কিলোমিটার উচ্চতা থেকে চূড়ান্ত অবস্থানে অবতরণ শুরু করবে । মহাকাশযানটিকে অনুভূমিক থেকে উল্লম্ব দিকে স্থানান্তর করার ধাপটিই সবচেয়ে জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ ।’’

তিনি জানান, ইসরোর আরেকটি চ্যালেঞ্জ হল এটা নিশ্চিত করা যাতে শক্তি খরচ কম হয় ৷ দূরত্বের সঠিক গণনা এবং সমস্ত অ্যালগরিদম সঠিকভাবে কাজ করলেই এটি সম্ভব হবে । তিনি বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত করেছি যে প্রতি সেকেন্ডে তিন মিটার পর্যন্ত অবতরণের বেগ চন্দ্রযান-3 এর কোনও ক্ষতি করবে না ।’’

ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান-2 অবতরণকালে ল্যান্ডারে থাকা পাঁচটি বিপরীতমুখী রকেট, যাদের চাঁদের কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে এটিকে ধীর করে দেওয়ার কথা ছিল, সঠিকভাবে কাজ করেনি । ধীরগতির পরিবর্তে, তারা আসলে ল্যান্ডারটিকে চন্দ্রপৃষ্ঠের দিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়েছিল । তারপরেই এবার চন্দ্রপৃষ্ঠের যে স্থানে ল্যান্ডারটি নামতে পারে সেই জায়গাটিকে আরও বড় করা হয়েছে । এটি আগে 500 মিটার বাই 500 মিটার ছিল ৷ কিন্তু এখন এটি 2.5 কিলোমিটার বাই 4 কিলোমিটার । এই পরিবর্তন সফটওয়্যারটিকে ল্যান্ডারের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আরও জায়গা দেবে ।

আরও পড়ুন: চাঁদের আরও কাছাকাছি ‘বিক্রম’, পাঠাল চন্দ্রপৃষ্ঠের একাধিক ছবি

Last Updated : Aug 20, 2023, 10:39 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.