ETV Bharat / jagte-raho

আগাম বেতন না পেয়ে চিকিৎসকের স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন চালকের - আগাম বেতন না পেয়ে খুন

আগাম বেতন দিতে রাজি হয়নি ৷ সেজন্য মালিকের স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করল চালক ৷ বর্ধমান শহরের খোসবাগান এলাকার ঘটনা ।

মৃত মহিলা
author img

By

Published : Oct 29, 2019, 4:25 AM IST

Updated : Oct 29, 2019, 8:11 AM IST

বর্ধমান, 29 অক্টোবর : আগাম বেতন চেয়ে না পাওয়ায় মালিকের স্ত্রীকে খুন করল চালক । স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন চিকিৎসক সুব্রত নাগ । বর্ধমান শহরের খোসবাগান এলাকার ঘটনা । অভিযুক্ত চালক তপন দাসকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ । মৃত মহিলার নাম মৌসুমি নাগ ।

চিকিৎসকের বাড়ির এক পরিচারিকা বলেন, আক্রান্ত চিকিৎসকের গাড়ি চালায় তপন ৷ বিকেল নাগাদ সে কলিং বেল বাজায় ৷ সেই সময় দোতলা থেকে নিজেই দরজা খুলতে আসেন মৌসুমি নাগ । তাঁর কাছে অগ্রিম বেতন চায় তপন ৷ তখন মৌসুমি নাগ বলেন, যেহেতু এখনও অক্টোবর শেষ হয়নি । তাই তাঁর পক্ষে আজকে টাকা দেওয়া সম্ভব নয় । তখন তপন বলে, 2 মাসের অগ্রিম বেতন দিতে হবে ৷ না হলে সে কাজ করবে না ৷ তখন মৌসুমি নাগ বলেন, ঠিক আছে ৷ কাজ করতে হবে না ৷

দেখুন ভিডিয়ো

ওই পরিচারিকা বলেন, এ কথা শোনার পর হঠাৎ একটা লাঠি বের করে মৌসুমি নাগের মাথায় একের পর এক আঘাত করতে থাকে তপন । শুধু তাই নয়, তাঁকে চড় লাথি মারে । রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি সেখানেই সংজ্ঞা হারান । স্ত্রীকে বাঁচাতে এলে চিকিৎসক সুব্রত নাগকেও মারধর করে তপন ৷ ঘরের দরজায় চাবিও লাগিয়ে দেয় ৷ সেইসময় বাড়ির মালি, অন্যরা বাঁচাতে এলে সবাইকে খুনের হুমকি দেয় তপন ৷ দরজায় চাবি দেওয়া থাকায় প্রথমে কেউ ঢুকতে পারেনি ৷ পরে ওই চালককে আটকে রাখে সবাই ৷ পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে ৷ আর মৌসুমি নাগকে বর্ধমান মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷

জানা গেছে, প্রায় কুড়ি বছর ধরে এই বাড়িতে চালকের কাজ করছে তপন দাস । মাঝেমাঝেই সে টাকা চেয়ে তা না পেয়ে খুনের হুমকি দিত । এর আগেও মৌসুমি নাগকে গলা টিপে মাথায় নোড়া দিয়ে খুনের চেষ্টা করেছিল সে । বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছিল ৷ তবে তপনকে কাজ থেকে সরাননি চিকিৎসক সুব্রত নাগ ৷ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷

বর্ধমান, 29 অক্টোবর : আগাম বেতন চেয়ে না পাওয়ায় মালিকের স্ত্রীকে খুন করল চালক । স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন চিকিৎসক সুব্রত নাগ । বর্ধমান শহরের খোসবাগান এলাকার ঘটনা । অভিযুক্ত চালক তপন দাসকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ । মৃত মহিলার নাম মৌসুমি নাগ ।

চিকিৎসকের বাড়ির এক পরিচারিকা বলেন, আক্রান্ত চিকিৎসকের গাড়ি চালায় তপন ৷ বিকেল নাগাদ সে কলিং বেল বাজায় ৷ সেই সময় দোতলা থেকে নিজেই দরজা খুলতে আসেন মৌসুমি নাগ । তাঁর কাছে অগ্রিম বেতন চায় তপন ৷ তখন মৌসুমি নাগ বলেন, যেহেতু এখনও অক্টোবর শেষ হয়নি । তাই তাঁর পক্ষে আজকে টাকা দেওয়া সম্ভব নয় । তখন তপন বলে, 2 মাসের অগ্রিম বেতন দিতে হবে ৷ না হলে সে কাজ করবে না ৷ তখন মৌসুমি নাগ বলেন, ঠিক আছে ৷ কাজ করতে হবে না ৷

দেখুন ভিডিয়ো

ওই পরিচারিকা বলেন, এ কথা শোনার পর হঠাৎ একটা লাঠি বের করে মৌসুমি নাগের মাথায় একের পর এক আঘাত করতে থাকে তপন । শুধু তাই নয়, তাঁকে চড় লাথি মারে । রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি সেখানেই সংজ্ঞা হারান । স্ত্রীকে বাঁচাতে এলে চিকিৎসক সুব্রত নাগকেও মারধর করে তপন ৷ ঘরের দরজায় চাবিও লাগিয়ে দেয় ৷ সেইসময় বাড়ির মালি, অন্যরা বাঁচাতে এলে সবাইকে খুনের হুমকি দেয় তপন ৷ দরজায় চাবি দেওয়া থাকায় প্রথমে কেউ ঢুকতে পারেনি ৷ পরে ওই চালককে আটকে রাখে সবাই ৷ পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে ৷ আর মৌসুমি নাগকে বর্ধমান মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷

জানা গেছে, প্রায় কুড়ি বছর ধরে এই বাড়িতে চালকের কাজ করছে তপন দাস । মাঝেমাঝেই সে টাকা চেয়ে তা না পেয়ে খুনের হুমকি দিত । এর আগেও মৌসুমি নাগকে গলা টিপে মাথায় নোড়া দিয়ে খুনের চেষ্টা করেছিল সে । বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছিল ৷ তবে তপনকে কাজ থেকে সরাননি চিকিৎসক সুব্রত নাগ ৷ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷

Intro:আগাম বেতন চেয়ে না পেয়ে ডাক্তারের স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করল ড্রাইভার

সন্তোষ দাস, বর্ধমান


আগাম বেতন চেয়ে না পাওয়ায় মনিবের স্ত্রীকে খুন করল ড্রাইভার। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন তার স্বামী ডাঃ সুব্রত নাগ। বর্ধমান শহরের খোসবাগান এলাকার ঘটনা। অভিযুক্ত ড্রাইভার তপন দাসকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। মৃত গৃহবধূর নাম মৌসুমী নাগ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে এদিন বিকেল নাগাদ কলিং বেল টেপে ড্রাইভার তপন দাস। সেই সময় বাড়ি দোতলা থেকে নিজেই দরজা খুলতে যান মৌসুমী নাগ। এর পরেই তপন নামে ওই ড্রাইভার তার কাছে অগ্রিম বেতন চান তখন মৌসুমী নাগ তাকে জানান যেহেতু এখনও অক্টোবর শেষ হয়নি। তাই তার পক্ষে আজকে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এ কথা শোনার পর এই হঠাৎ একটা লাঠি বের করে মৌসুমী নাগের মাথায় একের পর এক আঘাত করতে থাকে তপন। শুধু তাই নয় তাকে চড় লাথি মারা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি সেখানেই সংজ্ঞা হারান। এদিকে মৌসুমী দেবীর চিৎকারে বাড়ির কাজের পরিচারিকা নেমে আসে। কিন্তু তারা প্রথমে তাকে বাধা দিতে পারেনি। এরপরে ঘরের মালি ও অন্যান্য লোকেরা তপন দাসকে আটকে রাখে। বাড়ির পরিচারিকা বলেন প্রায় কুড়ি বছর ধরে এই বাড়িতে ড্রাইভারের কাজ করছে তপন দাস। মাঝেমাঝেই সে টাকা চেয়ে তা না পেয়ে খুনের হুমকি দিত। এর আগেও মৌসুমী নাগকে গলাটিপে মাথায় নোড়া দিয়ে খুন করার চেষ্টা করেছিল সে। বিষয়টি থানা পুলিশ হয়েছিল। কিন্তু তারা ওই ড্রাইভারকে কাছ থেকে সরিয়ে দেয় নি। ওই পরিচারিকা বলেন ম্যাডামের চিৎকার শুনে আমি নিজেই এখন নেমে আসি তখন তপন লাঠি দেখিয়ে বলে যে নিচে নামবে তাকেও সে খুন করবে। এরপরে বাড়ি মালি সহ অন্যান্য লোকেরা তাকে ধরে ফেলে এবং পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।Body:আগাম বেতন Conclusion:না পেয়ে খুন
Last Updated : Oct 29, 2019, 8:11 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.