বর্ধমান, 29 অক্টোবর : আগাম বেতন চেয়ে না পাওয়ায় মালিকের স্ত্রীকে খুন করল চালক । স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন চিকিৎসক সুব্রত নাগ । বর্ধমান শহরের খোসবাগান এলাকার ঘটনা । অভিযুক্ত চালক তপন দাসকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ । মৃত মহিলার নাম মৌসুমি নাগ ।
চিকিৎসকের বাড়ির এক পরিচারিকা বলেন, আক্রান্ত চিকিৎসকের গাড়ি চালায় তপন ৷ বিকেল নাগাদ সে কলিং বেল বাজায় ৷ সেই সময় দোতলা থেকে নিজেই দরজা খুলতে আসেন মৌসুমি নাগ । তাঁর কাছে অগ্রিম বেতন চায় তপন ৷ তখন মৌসুমি নাগ বলেন, যেহেতু এখনও অক্টোবর শেষ হয়নি । তাই তাঁর পক্ষে আজকে টাকা দেওয়া সম্ভব নয় । তখন তপন বলে, 2 মাসের অগ্রিম বেতন দিতে হবে ৷ না হলে সে কাজ করবে না ৷ তখন মৌসুমি নাগ বলেন, ঠিক আছে ৷ কাজ করতে হবে না ৷
ওই পরিচারিকা বলেন, এ কথা শোনার পর হঠাৎ একটা লাঠি বের করে মৌসুমি নাগের মাথায় একের পর এক আঘাত করতে থাকে তপন । শুধু তাই নয়, তাঁকে চড় লাথি মারে । রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি সেখানেই সংজ্ঞা হারান । স্ত্রীকে বাঁচাতে এলে চিকিৎসক সুব্রত নাগকেও মারধর করে তপন ৷ ঘরের দরজায় চাবিও লাগিয়ে দেয় ৷ সেইসময় বাড়ির মালি, অন্যরা বাঁচাতে এলে সবাইকে খুনের হুমকি দেয় তপন ৷ দরজায় চাবি দেওয়া থাকায় প্রথমে কেউ ঢুকতে পারেনি ৷ পরে ওই চালককে আটকে রাখে সবাই ৷ পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে ৷ আর মৌসুমি নাগকে বর্ধমান মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
জানা গেছে, প্রায় কুড়ি বছর ধরে এই বাড়িতে চালকের কাজ করছে তপন দাস । মাঝেমাঝেই সে টাকা চেয়ে তা না পেয়ে খুনের হুমকি দিত । এর আগেও মৌসুমি নাগকে গলা টিপে মাথায় নোড়া দিয়ে খুনের চেষ্টা করেছিল সে । বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছিল ৷ তবে তপনকে কাজ থেকে সরাননি চিকিৎসক সুব্রত নাগ ৷ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷