ETV Bharat / jagte-raho

70 লাখ মুক্তিপণ দাবি, ছক কষে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার পুলিশের - Buisnessman was Kidnapped in Sonarpur

ব্যবসার কথা বলতে হোটেলে গেছিলেন । তারপর অপহরণ করা হয় তাঁকে । পুলিশের সাজানো ছকে উদ্ধার তিনি ।

ধৃত অপহরণকারীরা
author img

By

Published : Sep 15, 2019, 10:18 PM IST

সোনারপুর, 15 সেপ্টেম্বর : শুক্রবার বাড়িতে একটি ফোন আসে । জানানো হয় অপহরণ করা হয়েছে বাড়ির ছেলেকে । ফিরে পেতে হলে দিতে হবে 70 লাখ টাকা । ছেলেকে ফিরে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন মা । অপরহরণকারীদের ধরতে কষা হয় ছক । সেইমতো অপহরণকারীদের বলা জায়গায় নকল 70 লাখ টাকা নিয়ে যান অপহৃতের মা ও মাসি । কিন্তু সেখানে যে পুলিশ লুকিয়ে ছিলেন তা আন্দাজ করতে পারেনি অপহরণকারীরা । মুক্তিপণ নিয়ে পালানোর সময় দু'জন অপহরণকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ । তারপর সিনেমার কায়দায় ডানলপ থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীকে ।

সোনারপুর থানার শেরউড আবাসনের বাসিন্দা অভিষেক মুখার্জি । পেশায় রিয়েল এস্টেটে ব্যবসায়ী । বাণিজ্যিক বিষয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবার (12 সেপ্টেম্বর) ধর্মতলার একটি হোটেলে গেছিলেন তিনি । সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিষেকের পূর্ব পরিচিতি ব্যক্তি পার্থ । তার সূত্র ধরেই হোটেলে আলাপ হয় অভিষেক বল্লভ, পুরুষোত্তম ভার্মা ও বিশ্বজিতের সঙ্গে । তাদের সঙ্গে অভি ও রঞ্জন নামে দু'জন দেহরক্ষীও ছিল । হোটেল সূত্রে জানা যায়, কোনও বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয় । সেইসময় হোটেলের অন্যদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তাই বেরিয়ে যেতে বলা হয় । হোটেল কর্তৃপক্ষের কথা মতো বেরিয়ে যায় তারা । গেটের সামনে এসে দাঁড়ায় প্রেস লেখা একটি গাড়ি । তাতে অভিষেককে তুলতে গেলে চিৎকার শুরু করেন তিনি । লোকেরা জড়ো হলে জানানো হয়, অভিষেক একটা ঝামেলায় জড়িত । আর অন্যরা সাংবাদিক হওয়ায় সে বিষয়ে জানতেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অভিষেককে ।

গাড়িতে উঠতেই বেঁধে দেওয়া হয় অভিষেকের চোখ । অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ডানলপের একটি জায়গায় । পথে মারধর করা হয় অভিষেককে । সাদা কাগজে অভিষেকের থেকে 70 লাখ টাকা পাওনা আছে বলে লিখিয়ে নেয় অপহরণকারীরা । তারপর ওই ব্যবসায়ীকে দিয়ে বাড়িতে ফোন করানো হয় । দাবি করা হয় 70 লাখ মুক্তিপণের । শুক্রবার(13 সেপ্টেম্বর) সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃতের মা ।

ঘটনার তদন্ত শুরু করে সোনারপুর থানার পুলিশ । সাজানো হয় ছক । দু'হাজার টাকা আসল নোট ও বাকি জাল নোট দিয়ে ব্যবস্থা করা হয় মুক্তিপণ হিসেবে 70 লাখ টাকার । সেই টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের বলা ডানলপের একটি জায়গায় যান অভিষেকের মা ও মাসি । সেখানে অটোতে অভিষেককে নিয়ে পৌঁছায় প্রিয়াংশু পোল্লে ও জগন্নাথ গুপ্তা নামে অপহরণকারীদের দু'জন । অন্যদিকে অপহরণকারীদের বলা জায়গায় আগে থেকেই লুকিয়ে ছিল পুলিশ । মুক্তিপণের টাকা নিয়ে দুই অপহরণকারী প্রিয়াংশু ও জগন্নাথ পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধরে ফেলে । উদ্ধার করে অভিষেককে । গ্রেপ্তার করা হয় ওই দুই অপহরণকারীকে । তাদের 7 দিনের পুলিশি হেপাজত চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে ।

ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অভিষেক বল্লভ, পুরুষোত্তম ভার্মা, পার্থ ও বিশ্বজিত সহ মোট পাঁচ জন পলাতক । তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ । তাদের প্রাথমিক অনুমান, এই ঘটনায় একট চক্র কাজ করছিল ।

সোনারপুর, 15 সেপ্টেম্বর : শুক্রবার বাড়িতে একটি ফোন আসে । জানানো হয় অপহরণ করা হয়েছে বাড়ির ছেলেকে । ফিরে পেতে হলে দিতে হবে 70 লাখ টাকা । ছেলেকে ফিরে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন মা । অপরহরণকারীদের ধরতে কষা হয় ছক । সেইমতো অপহরণকারীদের বলা জায়গায় নকল 70 লাখ টাকা নিয়ে যান অপহৃতের মা ও মাসি । কিন্তু সেখানে যে পুলিশ লুকিয়ে ছিলেন তা আন্দাজ করতে পারেনি অপহরণকারীরা । মুক্তিপণ নিয়ে পালানোর সময় দু'জন অপহরণকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ । তারপর সিনেমার কায়দায় ডানলপ থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীকে ।

সোনারপুর থানার শেরউড আবাসনের বাসিন্দা অভিষেক মুখার্জি । পেশায় রিয়েল এস্টেটে ব্যবসায়ী । বাণিজ্যিক বিষয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবার (12 সেপ্টেম্বর) ধর্মতলার একটি হোটেলে গেছিলেন তিনি । সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিষেকের পূর্ব পরিচিতি ব্যক্তি পার্থ । তার সূত্র ধরেই হোটেলে আলাপ হয় অভিষেক বল্লভ, পুরুষোত্তম ভার্মা ও বিশ্বজিতের সঙ্গে । তাদের সঙ্গে অভি ও রঞ্জন নামে দু'জন দেহরক্ষীও ছিল । হোটেল সূত্রে জানা যায়, কোনও বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয় । সেইসময় হোটেলের অন্যদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তাই বেরিয়ে যেতে বলা হয় । হোটেল কর্তৃপক্ষের কথা মতো বেরিয়ে যায় তারা । গেটের সামনে এসে দাঁড়ায় প্রেস লেখা একটি গাড়ি । তাতে অভিষেককে তুলতে গেলে চিৎকার শুরু করেন তিনি । লোকেরা জড়ো হলে জানানো হয়, অভিষেক একটা ঝামেলায় জড়িত । আর অন্যরা সাংবাদিক হওয়ায় সে বিষয়ে জানতেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অভিষেককে ।

গাড়িতে উঠতেই বেঁধে দেওয়া হয় অভিষেকের চোখ । অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ডানলপের একটি জায়গায় । পথে মারধর করা হয় অভিষেককে । সাদা কাগজে অভিষেকের থেকে 70 লাখ টাকা পাওনা আছে বলে লিখিয়ে নেয় অপহরণকারীরা । তারপর ওই ব্যবসায়ীকে দিয়ে বাড়িতে ফোন করানো হয় । দাবি করা হয় 70 লাখ মুক্তিপণের । শুক্রবার(13 সেপ্টেম্বর) সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃতের মা ।

ঘটনার তদন্ত শুরু করে সোনারপুর থানার পুলিশ । সাজানো হয় ছক । দু'হাজার টাকা আসল নোট ও বাকি জাল নোট দিয়ে ব্যবস্থা করা হয় মুক্তিপণ হিসেবে 70 লাখ টাকার । সেই টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের বলা ডানলপের একটি জায়গায় যান অভিষেকের মা ও মাসি । সেখানে অটোতে অভিষেককে নিয়ে পৌঁছায় প্রিয়াংশু পোল্লে ও জগন্নাথ গুপ্তা নামে অপহরণকারীদের দু'জন । অন্যদিকে অপহরণকারীদের বলা জায়গায় আগে থেকেই লুকিয়ে ছিল পুলিশ । মুক্তিপণের টাকা নিয়ে দুই অপহরণকারী প্রিয়াংশু ও জগন্নাথ পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধরে ফেলে । উদ্ধার করে অভিষেককে । গ্রেপ্তার করা হয় ওই দুই অপহরণকারীকে । তাদের 7 দিনের পুলিশি হেপাজত চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে ।

ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অভিষেক বল্লভ, পুরুষোত্তম ভার্মা, পার্থ ও বিশ্বজিত সহ মোট পাঁচ জন পলাতক । তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ । তাদের প্রাথমিক অনুমান, এই ঘটনায় একট চক্র কাজ করছিল ।

Intro:সিনেমার কায়দায় অপহৃত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল সোনারপুর থানার পুলিশ। মোটা টাকা মুক্তিপণ চেয়ে রিয়েলএস্টেট ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। ব্যবসায়ীর নাম অভিষেক মুখার্জি। তিনি সোনারপুর থানা এলাকার অভিজাত আবাসন শেরউড এর বাসিন্দা। ১২ই সেপ্টেম্বর বানিজ্যিক বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন ধর্মতলার একটি বেসরকারি (পিয়ারলেস) হোটেলে। এই হোটেলে তার সাথে বৈঠকে বসেন অভিষেক বল্লভ, পুরুষোত্তম ভার্মা, পার্থ, বিশ্বজিত। এছাড়া অভি ও রঞ্জন নামে দুজন বাউন্সারও ছিল। তার পুর্ব পরিচিত পার্থ ব্যানার্জির সুত্র ধরেই বাকিদের সাথে আলাপ হয় তার। সংবাদমাধ্যমের মালিক পরিচয় দিয়ে প্রেস লেখা গাড়িতে এই হোটেল থেকেই চোখবন্ধ করে তাকে অপহরণ করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় ডানলপের এক জায়গায়। সেখানে একটি কাগজে অভিষেকের কাছ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা পাওনা আছে বলে লিখিয়ে নেওয়া হয়। ১৩ তারিখ অভিষেককে গাড়িতে করে ডায়মন্ডহারবার এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার পথে তাকে ব্যাপক মারধোর করা হয়। ডায়মন্ডহারবারে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে ফোন করান। এবং মুক্তিপন দাবী করেন। ১৩ তারিখ সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিষেকের মা। ঘটনার তদন্তে নেমে ১৪ বিকেলে ডানলপ এলাকা থেকে অপহৃত কে উদ্ধার করে পুলিশ। মুক্তিপনের টাকা সহ পুলিশের সাথেই ডানকুনিতে যায় অভিষেকের মা ও মাসি। তারা আলাদা একটা গাড়িতে ছিলেন। কার্যত সিনেমার কায়দায় অপহৃতকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। তারা হলেন প্রিয়াংশু পল্লে ও জগন্নাথ গুপ্তা। এই ঘটনায় মুল অভিযুক্ত অভিষেক বল্লভ সহ মোট ৫ জন পলাতক তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩৬৪এ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ৭ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।

বাইট১ - অভিষেক মুখার্জি, অপহৃত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী।
বাইট২ - মনীষা মুখার্জি, অপহৃতার মা।
বাইট৩ - ইন্দ্রজিত বসু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বারুইপুর পুলিশ জেলা।

Body:সিনেমার কায়দায় অপহৃত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল সোনারপুর থানার পুলিশ। মোটা টাকা মুক্তিপণ চেয়ে রিয়েলএস্টেট ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। ব্যবসায়ীর নাম অভিষেক মুখার্জি। তিনি সোনারপুর থানা এলাকার অভিজাত আবাসন শেরউড এর বাসিন্দা। ১২ই সেপ্টেম্বর বানিজ্যিক বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন ধর্মতলার একটি বেসরকারি (পিয়ারলেস) হোটেলে। এই হোটেলে তার সাথে বৈঠকে বসেন অভিষেক বল্লভ, পুরুষোত্তম ভার্মা, পার্থ, বিশ্বজিত। এছাড়া অভি ও রঞ্জন নামে দুজন বাউন্সারও ছিল। তার পুর্ব পরিচিত পার্থ ব্যানার্জির সুত্র ধরেই বাকিদের সাথে আলাপ হয় তার। সংবাদমাধ্যমের মালিক পরিচয় দিয়ে প্রেস লেখা গাড়িতে এই হোটেল থেকেই চোখবন্ধ করে তাকে অপহরণ করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় ডানলপের এক জায়গায়। সেখানে একটি কাগজে অভিষেকের কাছ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা পাওনা আছে বলে লিখিয়ে নেওয়া হয়। ১৩ তারিখ অভিষেককে গাড়িতে করে ডায়মন্ডহারবার এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার পথে তাকে ব্যাপক মারধোর করা হয়। ডায়মন্ডহারবারে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে ফোন করান। এবং মুক্তিপন দাবী করেন। ১৩ তারিখ সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিষেকের মা। ঘটনার তদন্তে নেমে ১৪ বিকেলে ডানলপ এলাকা থেকে অপহৃত কে উদ্ধার করে পুলিশ। মুক্তিপনের টাকা সহ পুলিশের সাথেই ডানকুনিতে যায় অভিষেকের মা ও মাসি। তারা আলাদা একটা গাড়িতে ছিলেন। কার্যত সিনেমার কায়দায় অপহৃতকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। তারা হলেন প্রিয়াংশু পল্লে ও জগন্নাথ গুপ্তা। এই ঘটনায় মুল অভিযুক্ত অভিষেক বল্লভ সহ মোট ৫ জন পলাতক তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩৬৪এ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ৭ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।

বাইট১ - অভিষেক মুখার্জি, অপহৃত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী।
বাইট২ - মনীষা মুখার্জি, অপহৃতার মা।
বাইট৩ - ইন্দ্রজিত বসু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বারুইপুর পুলিশ জেলা।

Conclusion:সিনেমার কায়দায় অপহৃত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল সোনারপুর থানার পুলিশ। মোটা টাকা মুক্তিপণ চেয়ে রিয়েলএস্টেট ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। ব্যবসায়ীর নাম অভিষেক মুখার্জি। তিনি সোনারপুর থানা এলাকার অভিজাত আবাসন শেরউড এর বাসিন্দা। ১২ই সেপ্টেম্বর বানিজ্যিক বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন ধর্মতলার একটি বেসরকারি (পিয়ারলেস) হোটেলে। এই হোটেলে তার সাথে বৈঠকে বসেন অভিষেক বল্লভ, পুরুষোত্তম ভার্মা, পার্থ, বিশ্বজিত। এছাড়া অভি ও রঞ্জন নামে দুজন বাউন্সারও ছিল। তার পুর্ব পরিচিত পার্থ ব্যানার্জির সুত্র ধরেই বাকিদের সাথে আলাপ হয় তার। সংবাদমাধ্যমের মালিক পরিচয় দিয়ে প্রেস লেখা গাড়িতে এই হোটেল থেকেই চোখবন্ধ করে তাকে অপহরণ করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় ডানলপের এক জায়গায়। সেখানে একটি কাগজে অভিষেকের কাছ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা পাওনা আছে বলে লিখিয়ে নেওয়া হয়। ১৩ তারিখ অভিষেককে গাড়িতে করে ডায়মন্ডহারবার এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার পথে তাকে ব্যাপক মারধোর করা হয়। ডায়মন্ডহারবারে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে ফোন করান। এবং মুক্তিপন দাবী করেন। ১৩ তারিখ সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিষেকের মা। ঘটনার তদন্তে নেমে ১৪ বিকেলে ডানলপ এলাকা থেকে অপহৃত কে উদ্ধার করে পুলিশ। মুক্তিপনের টাকা সহ পুলিশের সাথেই ডানকুনিতে যায় অভিষেকের মা ও মাসি। তারা আলাদা একটা গাড়িতে ছিলেন। কার্যত সিনেমার কায়দায় অপহৃতকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। তারা হলেন প্রিয়াংশু পল্লে ও জগন্নাথ গুপ্তা। এই ঘটনায় মুল অভিযুক্ত অভিষেক বল্লভ সহ মোট ৫ জন পলাতক তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩৬৪এ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ৭ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।

বাইট১ - অভিষেক মুখার্জি, অপহৃত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী।
বাইট২ - মনীষা মুখার্জি, অপহৃতার মা।
বাইট৩ - ইন্দ্রজিত বসু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বারুইপুর পুলিশ জেলা।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.