ETV Bharat / jagte-raho

জালনোট দিয়ে সোনার দুল, ধরা পড়ে জুটল গণপ্রহার

সোনার দুল নিয়ে বাইকে করে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে মুন্না খান। তাকে ধাওয়া করা হয় । এরপর হাতেনাতে ধরা হয় তাকে । এরপরই শুরু হয় গণ-প্রহার ।

barasat
barasat
author img

By

Published : Oct 31, 2020, 10:23 PM IST

বারাসত, 31 অক্টোবর : জালনোট কারবারিকে হাতেনাতে ধরলেন সোনার দোকানদার । প্রায় 28 হাজার 500 টাকার জালনোট মেলে মুন্না খান নামে এই ব্যক্তির থেকে । এরপরই তাকে লাইটপোস্টে বেঁধে চলে গণপ্রহার । বারাসত নবপল্লি সার্কুলার রোডের ঘটনা ।

জনতার হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ । এর পিছনে আন্তঃরাজ্য জালনোটের কারবারিদের হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

বারাসত নবপল্লি সার্কুলার রোডের পাশেই সোনার দোকান সঞ্জয় মজুমদারের । প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও তিনি দোকান খোলেন । সেই সময় সোনার দুল কিনতে দোকানে প্রবেশ করে এক ক্রেতা । দোকান মালিককে প্রথমে সে কমদামের একজোড়া সোনার দুল দেখাতে বলে । সেই মতো 29 হাজার টাকার একজোড়া সোনার দুল দেখান দোকান মালিক । কিন্তু দুলের দাম তার সাধ্যের বাইরে ছিল । তাই আরও কম দামের সোনার দুল দেখাতে বলে সে । 28 হাজার 500 টাকা বিল হলে কিনতে রাজি হয়ে যায় ওই ক্রেতা । সবমিলিয়ে 29 হাজার টাকা দোকান মালিকের হাতে দেয় । সব ক'টি 500 টাকার নোট ছিল । একটি নোট বাদ দিয়ে বাকি সব 500 টাকার নোটই ছিল জাল ।

কী পরিস্থিতি বারাসতে ?

হাতে টাকা নিয়ে বুঝতে পারেন দোকান মালিক সঞ্জয় । এরই মধ্যে সোনার দুল নিয়ে বাইকে করে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে মুন্না । তাকে ধাওয়া করা হয় । এরপর হাতেনাতে ধরা হয় তাকে । এরপরই শুরু হয় গণ-প্রহার । রীতিমতো রাস্তার ধারে লাইটপোস্টে বেঁধে চলে মারধর । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ । তাকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বারাসত থানায় । পরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে ।

এই বিষয়ে সঞ্জয় বলেন, "প্রথমে ওই ক্রেতা সোনার দুলের জন্য 29 হাজার টাকা দিয়েছিল । সেই নোটগুলি সবই আসল ছিল । পরে সে ওই নোটগুলি চেয়ে নেয় । নোটগুলি পালটে 500 টাকার জাল নোট তুলে দেয় । একটি নোট বাদ দিয়ে বাকি 28 হাজার 500 টাকার সবকটি নোটই ছিল জাল । হাতে নিয়ে তা দেখে বুঝতে অসুবিধে হয়নি । "

বিষয়টি নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী বিজু বসু বলেন, "নবপল্লি সার্কুলার রোডের মতো জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনা ভাবাই যায় না । আমাদের ধারণা এর পিছনে জালনোটের বড়সড় কোনও চক্রের হাত রয়েছে । পুলিশের উচিত তাদেরও খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া । "

বারাসত থানার পুলিশ জানায়, ধৃতকে জেরা করে জানা গেছে তার নাম মুন্না খান । দক্ষিণ 24 পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা । যে বাইকটি নিয়ে সে বারাসতে এসেছিল , তার রেজিস্ট্রেশন রয়েছে ইব্রাহিম খানের নামে । তাঁর খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে । ঘটনার পিছনে আন্তঃরাজ্য জালনোট কারবারিদের হাত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"

বারাসত, 31 অক্টোবর : জালনোট কারবারিকে হাতেনাতে ধরলেন সোনার দোকানদার । প্রায় 28 হাজার 500 টাকার জালনোট মেলে মুন্না খান নামে এই ব্যক্তির থেকে । এরপরই তাকে লাইটপোস্টে বেঁধে চলে গণপ্রহার । বারাসত নবপল্লি সার্কুলার রোডের ঘটনা ।

জনতার হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ । এর পিছনে আন্তঃরাজ্য জালনোটের কারবারিদের হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

বারাসত নবপল্লি সার্কুলার রোডের পাশেই সোনার দোকান সঞ্জয় মজুমদারের । প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও তিনি দোকান খোলেন । সেই সময় সোনার দুল কিনতে দোকানে প্রবেশ করে এক ক্রেতা । দোকান মালিককে প্রথমে সে কমদামের একজোড়া সোনার দুল দেখাতে বলে । সেই মতো 29 হাজার টাকার একজোড়া সোনার দুল দেখান দোকান মালিক । কিন্তু দুলের দাম তার সাধ্যের বাইরে ছিল । তাই আরও কম দামের সোনার দুল দেখাতে বলে সে । 28 হাজার 500 টাকা বিল হলে কিনতে রাজি হয়ে যায় ওই ক্রেতা । সবমিলিয়ে 29 হাজার টাকা দোকান মালিকের হাতে দেয় । সব ক'টি 500 টাকার নোট ছিল । একটি নোট বাদ দিয়ে বাকি সব 500 টাকার নোটই ছিল জাল ।

কী পরিস্থিতি বারাসতে ?

হাতে টাকা নিয়ে বুঝতে পারেন দোকান মালিক সঞ্জয় । এরই মধ্যে সোনার দুল নিয়ে বাইকে করে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে মুন্না । তাকে ধাওয়া করা হয় । এরপর হাতেনাতে ধরা হয় তাকে । এরপরই শুরু হয় গণ-প্রহার । রীতিমতো রাস্তার ধারে লাইটপোস্টে বেঁধে চলে মারধর । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ । তাকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বারাসত থানায় । পরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে ।

এই বিষয়ে সঞ্জয় বলেন, "প্রথমে ওই ক্রেতা সোনার দুলের জন্য 29 হাজার টাকা দিয়েছিল । সেই নোটগুলি সবই আসল ছিল । পরে সে ওই নোটগুলি চেয়ে নেয় । নোটগুলি পালটে 500 টাকার জাল নোট তুলে দেয় । একটি নোট বাদ দিয়ে বাকি 28 হাজার 500 টাকার সবকটি নোটই ছিল জাল । হাতে নিয়ে তা দেখে বুঝতে অসুবিধে হয়নি । "

বিষয়টি নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী বিজু বসু বলেন, "নবপল্লি সার্কুলার রোডের মতো জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনা ভাবাই যায় না । আমাদের ধারণা এর পিছনে জালনোটের বড়সড় কোনও চক্রের হাত রয়েছে । পুলিশের উচিত তাদেরও খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া । "

বারাসত থানার পুলিশ জানায়, ধৃতকে জেরা করে জানা গেছে তার নাম মুন্না খান । দক্ষিণ 24 পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা । যে বাইকটি নিয়ে সে বারাসতে এসেছিল , তার রেজিস্ট্রেশন রয়েছে ইব্রাহিম খানের নামে । তাঁর খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে । ঘটনার পিছনে আন্তঃরাজ্য জালনোট কারবারিদের হাত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.