কালনা, 16 জুন : জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কামরুজ্জামানকে ফের দুইদিনের হেপাজতে নিল পুলিশ। গতকাল তাকে আদালতে তোলা হয় । সেই সময় তাকে দেখতে আদালত চত্বরে ভিড় জমে যায়।
অভিযুক্তর আইনজীবী শুভ্র রায় তাঁর মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন জানালে তা নাকচ করে দেন বিচারক উজ্জ্বল ঘোষ । এই মামলার তদন্তকারী অফিসার হাসান পারভেজ় অভিযুক্তকে হেপাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন জানালে তা মঞ্জুর করে আদালত । ১৭ জুলাই ফের তাকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন বিচারক ।
একাধিক মহিলার গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন ও চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত কামরুজ্জামান সরকার । অভিযোগ বাড়িতে ঢুকে সে মহিলাদের গলায় লোহার চেন পেঁচিয়ে খুন করত এবং চুরি করে পালাত । শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন জানিয়ে বিচারককে বলেন, "কালনা থানার গোয়ারা গ্রামে ২২ মে এক মহিলাকে খুনের ঘটনায় আমার মক্কেলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে । পুলিশ দাবি করে ওই মহিলার মৃতদেহের পাশে একটি ভোটার আইকার্ড ও একটি জামার বোতাম উদ্ধার হয় । তারই ভিত্তিতে নাদনঘাট থানার নসরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চর গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয় । ইতিমধ্যে সে ১২ দিন পুলিশ হেপাজতে ছিল । পুলিশের দাবি, ধৃত সিরিয়াল কিলার । কিন্তু পুলিশের বক্তব্যে ফারাক রয়েছে । তাই আমার মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক । "
অন্যদিকে সরকারপক্ষের আইনজীবী অপূর্ব দাস জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন । বিচারক উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর অভিযুক্তের জামিন নামঞ্জুর করেন ।