অশোকনগর, 10 ডিসেম্বর : মেয়েকে কুপিয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বাবা ৷ অভিযুক্তকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় তার পিসি । রবিবার গভীর রাতে হাওড়ার বেলুড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷
ধৃতের নাম দুলাল মজুমদার ৷ মাত্র দু'মাস আগে তাঁর মেয়ে বর্ণালী বাড়ির অমতে কানু হালদার নামে এক যুবককে বিয়ে করেন ৷ রবিবার সকালে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যায় দুলাল ৷ চড়াও হয় মেয়ের উপর ৷ দা দিয়ে মেয়েকে কোপায় বলে অভিযোগ । মেয়ের শাশুড়ি বাধা দিতে গেলে দুলাল তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ৷ এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুলাল ৷ আশ্রয় নেয় বেলুড়ে পিসির বাড়িতে ৷ কিন্তু, দুলালের অস্বাভাবিক আচরণে সন্দেহ হয় পিসি লক্ষ্মী রায়ের । তিনি অশোকনগরে বর্ণালীর বাড়িতে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানতে পারেন ৷ তারপর ভাইপো দুলালকে ঘরে আটকে বেলুড় থানায় খবর দেন ৷ বেলুর থানা থেকে অশোকনগর থানায় খবর দেওয়া হয় ৷ রাতেই অশোকনগর থানার পুলিশ বেলুড়ে গিয়ে দুলালকে গ্রেপ্তার করে ৷ গতকাল তাকে বারাসত আদালতে তোলা হয় ৷ বিচারক তাকে 14 দিন জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ৷
এদিকে, বর্ণালীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । বর্ণালীর শাশুড়ি সরস্বতী হালদার বলেন, "আমার ছেলেকে ভালোবেসে বর্ণালী বিয়ে করেছে বলে দুলালের রাগ । আমাদের বাড়িতে ঢুকে বউমাকে ডাকে । বউমা আমার পিছনে লুকিয়েছিল । আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় । তারপর দা দিয়ে কোপায় । আমরা চাই দুলালের কঠোর শাস্তি হোক ।" ঘটনার পর বর্ণালীর স্বামী কানু মজুমদার তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও করেছিলেন ৷