ETV Bharat / jagte-raho

কলকাতায় উদ্ধার 2 কোটিরও বেশি মূল্যের ইয়াবা, গ্রেপ্তার 1

পঞ্চসায়র থানা এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করে STF-র গোয়েন্দারা । তল্লাশি চালাতেই তার কাছে উদ্ধার হয় এক লাখ 10 হাজার পিস ইয়াবা ট‍্যাবলেট । যার বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি 20 লাখ টাকা‌ । গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে ৷

1 arrested in Kolkata with Yaba tablet
2 কোটির বেশি মূল্যের ইয়াবা
author img

By

Published : Jan 13, 2020, 4:30 PM IST

কলকাতা, 13 জানুয়ারি : মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত । সেখান থেকে নানা পথে মাদক পৌঁছে যাচ্ছে কলকাতা শহরে ‌। এই শহরে ব্যবহার হচ্ছে সেই মাদক । আবার কখনও তা পৌঁছে যাচ্ছে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে । এভাবেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মাদক চক্র । এরকমই এক চক্রের হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স । প্রায় দুই কোটি 20 লাখ টাকার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করা হয় একজনকে ।

STF সূত্রে জানা গেছে, গতকাল গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে বড় অঙ্কের মাদক ঢুকেছে শহরে । সেই মতো নজর রাখা হয়েছিল সর্বত্র । সেই সূত্রে পঞ্চসায়র থানা এলাকা থেকে আবু তাহের নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে গোয়েন্দারা । তল্লাশি চালাতেই তার কাছে উদ্ধার হয় এক লাখ 10 হাজার পিস ইয়াবা ট‍্যাবলেট । যার বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি 20 লাখ টাকা‌ । তারপরই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । সে মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা । কলকাতায় পর পর উদ্ধার হচ্ছে ইয়াবা । গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে এরকমই বড় অঙ্কের ইয়াবা উদ্ধার হয়েছিল ।

1 arrested in Kolkata with Yaba tablet
উদ্ধার 2 কোটির বেশি মূল্যের ইয়াবা, গ্রেপ্তার ব্যক্তি

প্রসঙ্গত, গত বছর 25 ডিসেম্বর আনন্দপুর থানা এলাকার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন ট্রেডের কাছে চৌভাগা ক‍্যানাল সাউথ রোডে আটক করা হয়েছিল তিনজনকে । তাদের নাম আমির খান (27), সৈয়দ কাজু দেওয়ান (51) ও মহম্মদ পসমউদ্দিন(54) । আমির মণিপুরের লিলঙের বাসিন্দা । কাজুর বাড়ি অসমের বাইহাতা ছাড়িলি এলাকায় । পসমউদ্দিন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা । তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছিল 1.070 গ্রাম হেরোইন । যার বাজার দর প্রায় তিন কোটি টাকা । উদ্ধার হয় এক লাখ কুড়ি হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট । যার বাজার দর 2.4 কোটি টাকা । তৎক্ষণাৎ তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

উল্লেখ্য ইয়াবার উৎপত্তিস্থল থাইল্যান্ড । বাংলাদেশের বহু যুবক এই নেশার কবলে পড়ে সর্বশান্ত । কলকাতাতেও আসছে এই মাদক । ব্যবহার করা হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে । এই ট‍্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন ও ক্যাফেইনের মিশ্রণে । এটি কখনও ব্রাউন সুগার কিংবা হিরোইনের সঙ্গে ইনহেইল করা হয় । কখনও ট্যাবলেটের মতো জলের সঙ্গে গিলে ফেলা হয় ।

গোয়েন্দাদের সন্দেহ, কলকাতার নির্দিষ্ট ব্যক্তির থেকে মাদক নিয়ে তাহের চলে যেত মুর্শিদাবাদে । সেখান থেকে এই মাদক সীমান্ত পার হয়ে চলে যেত বাংলাদেশ । তাহেরের সঙ্গে কলকাতায় কোনও ড্রাগ মাফিয়াদের যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা । পাশাপাশি কীভাবে সেই মাদক বাংলাদেশ পাঠাত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

কলকাতা, 13 জানুয়ারি : মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত । সেখান থেকে নানা পথে মাদক পৌঁছে যাচ্ছে কলকাতা শহরে ‌। এই শহরে ব্যবহার হচ্ছে সেই মাদক । আবার কখনও তা পৌঁছে যাচ্ছে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে । এভাবেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মাদক চক্র । এরকমই এক চক্রের হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স । প্রায় দুই কোটি 20 লাখ টাকার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করা হয় একজনকে ।

STF সূত্রে জানা গেছে, গতকাল গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে বড় অঙ্কের মাদক ঢুকেছে শহরে । সেই মতো নজর রাখা হয়েছিল সর্বত্র । সেই সূত্রে পঞ্চসায়র থানা এলাকা থেকে আবু তাহের নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে গোয়েন্দারা । তল্লাশি চালাতেই তার কাছে উদ্ধার হয় এক লাখ 10 হাজার পিস ইয়াবা ট‍্যাবলেট । যার বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি 20 লাখ টাকা‌ । তারপরই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । সে মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা । কলকাতায় পর পর উদ্ধার হচ্ছে ইয়াবা । গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে এরকমই বড় অঙ্কের ইয়াবা উদ্ধার হয়েছিল ।

1 arrested in Kolkata with Yaba tablet
উদ্ধার 2 কোটির বেশি মূল্যের ইয়াবা, গ্রেপ্তার ব্যক্তি

প্রসঙ্গত, গত বছর 25 ডিসেম্বর আনন্দপুর থানা এলাকার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন ট্রেডের কাছে চৌভাগা ক‍্যানাল সাউথ রোডে আটক করা হয়েছিল তিনজনকে । তাদের নাম আমির খান (27), সৈয়দ কাজু দেওয়ান (51) ও মহম্মদ পসমউদ্দিন(54) । আমির মণিপুরের লিলঙের বাসিন্দা । কাজুর বাড়ি অসমের বাইহাতা ছাড়িলি এলাকায় । পসমউদ্দিন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা । তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছিল 1.070 গ্রাম হেরোইন । যার বাজার দর প্রায় তিন কোটি টাকা । উদ্ধার হয় এক লাখ কুড়ি হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট । যার বাজার দর 2.4 কোটি টাকা । তৎক্ষণাৎ তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

উল্লেখ্য ইয়াবার উৎপত্তিস্থল থাইল্যান্ড । বাংলাদেশের বহু যুবক এই নেশার কবলে পড়ে সর্বশান্ত । কলকাতাতেও আসছে এই মাদক । ব্যবহার করা হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে । এই ট‍্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন ও ক্যাফেইনের মিশ্রণে । এটি কখনও ব্রাউন সুগার কিংবা হিরোইনের সঙ্গে ইনহেইল করা হয় । কখনও ট্যাবলেটের মতো জলের সঙ্গে গিলে ফেলা হয় ।

গোয়েন্দাদের সন্দেহ, কলকাতার নির্দিষ্ট ব্যক্তির থেকে মাদক নিয়ে তাহের চলে যেত মুর্শিদাবাদে । সেখান থেকে এই মাদক সীমান্ত পার হয়ে চলে যেত বাংলাদেশ । তাহেরের সঙ্গে কলকাতায় কোনও ড্রাগ মাফিয়াদের যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা । পাশাপাশি কীভাবে সেই মাদক বাংলাদেশ পাঠাত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

Intro:কলকাতা, 13 জানুয়ারি: মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত। সেখান থেকে নানা পথে মাদক পৌঁছে যাচ্ছে কলকাতা শহরে‌। এই শহরে ব্যবহার হচ্ছে সেই মাদক। আবার কখনো তা পৌঁছে যাচ্ছে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশ। এভাবেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মাদক চক্র। এমনই এক চক্রের হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। প্রায় 2 কোটি 20 লাখ টাকার ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার করা হল একজনকে। সে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।



Body:STF সূত্রে জানা গেছে, গতকাল গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে বড়সড় অংকের মাদক ঢুকেছে শহরে। সেইমতো নজর রাখা হয়েছিল সর্বত্র। সেই সূত্রে পঞ্চসায়র থানা এলাকা থেকে আবু তাহের নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে গোয়েন্দারা। কাজের মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা। তার কাছে উদ্ধার হয় 1 লাখ 10 হাজার পিস ইয়াবা ট‍্যাবলেট। যার বাজারমূল্য প্রায় 2 কোটি 20 লাখ টাকা‌। তারপরেই তাহেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কলকাতায় পর পর উদ্ধার হচ্ছে ইয়াবা। গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে এমনই বড় অংকের ইয়াবা উদ্ধার হয়েছিল।



Conclusion:গত 25 ডিসেম্বর আনন্দপুর থানা এলাকার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন ট্রেডের কাছে চৌভাগা ক‍্যানাল সাউথ রোডে আটক করা হয় তিনজনকে। তাদের নাম আমির খান(27), সৈয়দ কাজু দেওয়ান(51), মহম্মদ পসমউদ্দিন(54)। আমির মণিপুরের লিলংয়ের বাসিন্দা। কাজুর বাড়ি অসমের বাইহাতা ছাড়িলি এলাকায়। আর পসমউদ্দিন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্ধা। তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় 1.070 গ্রাম হেরোইন। যার বাজার দর প্রায় তিন কোটি টাকা। উদ্ধার হয়েছে এক লাখ কুড়ি হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। যার বাজার দর 2.4 কোটি টাকা। তৎক্ষণাৎ তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

ইয়াবার উৎপত্তিস্থল থাইল্যান্ড। বাংলাদেশের বহু যুবক এই নেশার কবলে পড়ে সর্বশান্ত। কলকাতাতেও আসছে এই মাদক। ব্যবহার করা হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে। এই ট‍্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন এবং ক্যাফেইনের মিশ্রণে। এটি কখনো ব্রাউন সুগার কিংবা হিরোইনের সঙ্গে ইনহেইল করা হয়। কখনো ট্যাবলেট এর মতই জলের সঙ্গে গিলে ফেলা হয়। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, কলকাতার নির্দিষ্ট ব্যক্তির থেকে মাদক নিয়ে তাহের চলে যেত মুর্শিদাবাদে। সেখান থেকে এই মাদক সীমান্ত পার হয়ে চলে যেত বাংলাদেশ। তাহেরের সঙ্গে কলকাতায় কোন ড্রাগ মাফিয়াদের যোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কিভাবে সেই মাদক বাংলাদেশ পাঠাতো তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.