ETV Bharat / international

WHO Accuses China: করোনার উৎস রাকুন ডগস, তথ্য গোপনের অভিযোগ! চিনকে ভর্ৎসনা হুর - withholding origin of coronavirus

সম্প্রতি কোভিড-19 ভাইরাসের উৎস সম্পর্কিত একটি গবেষণা আপলোড করেছিল চিন ৷ কিন্তু পরে আর তা অনলাইনে খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ করোনার উৎস সম্ভবত রাকুন ডগস নামের কুকুরের একটি প্রজাতি ৷ কিন্তু চিন তা গোপন করছে, অভিযোগ করল হু (China hiding database over covid 19 origin raccoon dog DNA) ৷

World Health Organisation
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
author img

By

Published : Mar 18, 2023, 9:20 AM IST

ওয়াশিংটন, 18 মার্চ: করোনার উৎস কী ? সেই গবেষণার কথা গোপন করেছে চিন ৷ তাই বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশটিকে ভর্ৎসনা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৷ একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী শুক্রবার (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) হু চিনের আধিকারিকদের প্রশ্ন করেছে, 3 বছর আগে এই অতিমারি নিয়ে গবেষণা তারা কেন গোপন করছে ? এর কারণ কী ? এদিকে জানুয়ারি মাসে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট অনলাইনে প্রকাশিত হলেও তা আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না (The World Health Organisation rebuke China Officials over withholding origin of coronavirus) ৷

এই অনলাইন তথ্যটি নেট মাধ্যম থেকে উধাও হওয়ার আগে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল তা ডাউনলোড করে ৷ ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা তথ্যগুলি বিশ্লেষণ করতে আরম্ভ করেন ৷ এই দলটির মতে, ওই রিপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সম্ভবত অতিমারির উৎস বিশেষ প্রজাতির কুকুর (Raccoon Dogs) ৷ এই কুকুরগুলির বেআইনি ব্যবসা হত চিনের ইউহানের হুয়ানান সিফুড হোলসেল মার্কেটে (Huanan seafood market in early 2020 in Wuhan) ৷ আর 2019 সালে এখান থেকেই কোভিড-19 সংক্রমণের সূচনা হয় ৷

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি এই বিশেষজ্ঞ দলটি ৷ কারণ, এই কুকুরের জিনোম সিকোয়েন্সিং মুছে ফেলা হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম (Tedros Adhanom Ghebreyesus) বলেন, "এই তথ্যগুলি তিন বছর আগে আমাদের দেওয়া উচিত ছিল ৷ এবার এই প্রমাণগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু সেগুলি যত দ্রুত সম্ভব আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে পাঠানো উচিত ৷" তিনি আরও জানান, সম্প্রতি চিনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের এই ডেটাবেসে জেনেটিক সিকোয়েন্স আপলোড করেছিলেন ৷

বিশেষজ্ঞ দল এই তথ্য খতিয়ে দেখে জানাচ্ছে, শেয়ালের মতো দেখতে বিশেষ কুকুর প্রজাতির প্রাণী রাকুন ডগস ৷ এই প্রাণীর থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে৷ তারা প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় ৷ এরপর এই প্রাণীদেরথেকেই হয়তো মানুষের মধ্যে এই মারণ ভাইরাস ছড়িয়েছে ৷ 2020 সালের প্রথম দিকে উহান প্রদেশের হুয়ানান সিফুড মার্কেট থেকে এর নমুনাগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন: কোভিডের উৎস চিন ? দেশের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট এড়িয়ে গেল মার্কিন প্রশাসন

ওয়াশিংটন, 18 মার্চ: করোনার উৎস কী ? সেই গবেষণার কথা গোপন করেছে চিন ৷ তাই বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশটিকে ভর্ৎসনা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৷ একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী শুক্রবার (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) হু চিনের আধিকারিকদের প্রশ্ন করেছে, 3 বছর আগে এই অতিমারি নিয়ে গবেষণা তারা কেন গোপন করছে ? এর কারণ কী ? এদিকে জানুয়ারি মাসে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট অনলাইনে প্রকাশিত হলেও তা আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না (The World Health Organisation rebuke China Officials over withholding origin of coronavirus) ৷

এই অনলাইন তথ্যটি নেট মাধ্যম থেকে উধাও হওয়ার আগে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল তা ডাউনলোড করে ৷ ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা তথ্যগুলি বিশ্লেষণ করতে আরম্ভ করেন ৷ এই দলটির মতে, ওই রিপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সম্ভবত অতিমারির উৎস বিশেষ প্রজাতির কুকুর (Raccoon Dogs) ৷ এই কুকুরগুলির বেআইনি ব্যবসা হত চিনের ইউহানের হুয়ানান সিফুড হোলসেল মার্কেটে (Huanan seafood market in early 2020 in Wuhan) ৷ আর 2019 সালে এখান থেকেই কোভিড-19 সংক্রমণের সূচনা হয় ৷

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি এই বিশেষজ্ঞ দলটি ৷ কারণ, এই কুকুরের জিনোম সিকোয়েন্সিং মুছে ফেলা হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম (Tedros Adhanom Ghebreyesus) বলেন, "এই তথ্যগুলি তিন বছর আগে আমাদের দেওয়া উচিত ছিল ৷ এবার এই প্রমাণগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু সেগুলি যত দ্রুত সম্ভব আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে পাঠানো উচিত ৷" তিনি আরও জানান, সম্প্রতি চিনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের এই ডেটাবেসে জেনেটিক সিকোয়েন্স আপলোড করেছিলেন ৷

বিশেষজ্ঞ দল এই তথ্য খতিয়ে দেখে জানাচ্ছে, শেয়ালের মতো দেখতে বিশেষ কুকুর প্রজাতির প্রাণী রাকুন ডগস ৷ এই প্রাণীর থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে৷ তারা প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় ৷ এরপর এই প্রাণীদেরথেকেই হয়তো মানুষের মধ্যে এই মারণ ভাইরাস ছড়িয়েছে ৷ 2020 সালের প্রথম দিকে উহান প্রদেশের হুয়ানান সিফুড মার্কেট থেকে এর নমুনাগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন: কোভিডের উৎস চিন ? দেশের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট এড়িয়ে গেল মার্কিন প্রশাসন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.