ওয়াশিংটন, 21 অক্টোবর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন শুক্রবার ভারত থেকে কানাডিয়ান কূটনীতিকদের বহিষ্কারের বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করল ৷ দুই দেশের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, তারা আশা করছে নয়াদিল্লি 1961 সালের ভিয়েনা কনভেনশনের চুক্তি অনুযায়ী কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়গুলিকে মেনে চলবে ৷ মোটের উপর খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুতে পালটা ভারতের উপর চাপ তৈরির চেষ্টাই করল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য দেশ ৷ শুক্রবারের মধ্যে তাদের কূটনৈতিক চুক্তি প্রত্যাহার করার হুমকি দিয়েছিল কানাডা ৷ এর পরেই ভারত থেকে তাদের 41 জন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর দেশ ৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘‘ভারত থেকে কানাডার কূটনীতিকদের চলে যাওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন ৷ ভারত সরকারের দাবির প্রতিক্রিয়ায় কানাডা সে দেশে তাদের কূটনৈতিক উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে ৷’’ তিনি এও বলেন, "এই মতভেদের সমাধানের জন্য কূটনীতিকদের দুই দেশের থাকাটা প্রয়োজন ৷"
ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘‘আমরা ভারত সরকারকে অনুরোধ করছি কানাডাকে কূটনৈতিক উপস্থিতি হ্রাস করার জন্য আর যাতে বাধ্য না করে ৷ সেই সঙ্গে কানাডার তরফে যে তদন্ত চলছে তাতে, সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেছি ৷’’ মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘আমরা আশা করি ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে 1961 সালের ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে তার দায়বদ্ধতা বজায় রাখবে ৷ সেই সঙ্গে কানাডার কূটনৈতিক মিশনের স্বীকৃত সদস্য হিসেবে অনাক্রম্যতা পালন করবে ৷’’
আরও পড়ুন: চাকরির ক্ষেত্রে ভিসা-নীতিতে বদল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
আর এ নিয়ে ব্রিটেনের তরফে কানাডার সঙ্গে বিদেশনীতি নিয়ে ভারতের অবস্থানের বিরোধিতা করা হয়েছে ৷ এমনকি কানাডার 41 জন কূটনীতিকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেছে ৷ পাশাপাশি, যে মতপার্থক্য দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে, তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে ৷ শুক্রবার এ নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘দুই দেশের মধ্যে এই মতপার্থক্য মেটাতে সংশ্লীষ্ট রাজধানীগুলিতে কূনীতিকদের উপস্থিতি খুব জরুরি ৷ আমরা ভারত সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তে একেবারেই সহমত নই ৷ যার কারণ, বিশাল সংখ্যার কানাডিয়ান কূটনীতিকদের ভারত থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৷’’
(খবর সূত্র- সংবাদসংস্থা পিটিআই)