জেনেভা, 10 অক্টোবর: গত 7 অক্টোবর থেকে শুরু হয় দক্ষিণ ইজরায়েলে হামাসের হামলা। পরপর কয়েক হাজার রকেট উড়ে আসে ইজরায়েলের দিকে। এরপর থেকে বিগত তিনদিন ধরে চলছে সংঘর্ষ। এরপরই সরকারিভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গাজা ভূখণ্ডে পালটা আক্রমণ চালায় ইজরায়েলি বায়ুসেনা। সেই হামলায় এখনও পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নির্বিচার বোমা হামলার পর প্যালেস্তাইনের গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করার ঘোষণা করেছে ইজরায়েল। আর তা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ৷ তিনি বলেন, "গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত।"
-
The @UN must be allowed access to deliver urgent humanitarian assistance to Palestinian civilians trapped & helpless in the Gaza Strip.
— António Guterres (@antonioguterres) October 9, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
I appeal to the international community to mobilize immediate humanitarian support for this effort. pic.twitter.com/Y3VmubuhtV
">The @UN must be allowed access to deliver urgent humanitarian assistance to Palestinian civilians trapped & helpless in the Gaza Strip.
— António Guterres (@antonioguterres) October 9, 2023
I appeal to the international community to mobilize immediate humanitarian support for this effort. pic.twitter.com/Y3VmubuhtVThe @UN must be allowed access to deliver urgent humanitarian assistance to Palestinian civilians trapped & helpless in the Gaza Strip.
— António Guterres (@antonioguterres) October 9, 2023
I appeal to the international community to mobilize immediate humanitarian support for this effort. pic.twitter.com/Y3VmubuhtV
তেল আভিভের সংবাদমাধ্যম বলছে, এখনও পর্যন্ত হাজার বারেরও বেশি গাজায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। ফেলা হয়েছে কয়েক হাজার টন বোমা। এতে বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত গাজায় ভয়ানক মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। এর পাশাপাশি সেখানে খাবার, জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে। সোমবার জাতিসংঘ ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৷ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার এক বিবৃতিতচে বলেন, "এই সংঘাত বাড়তে থাকলে আরও নিরপরাধ প্রাণ হারাতে পারে ৷"
আগামী দিনগুলিতে গাজা ভূখণ্ডে 'মানবিক পরিস্থিতির' আরও অবনতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব। তিনি আরও জানিয়েছেন, পণ্য সরবরাহের অনুমতি না-দিলে গাজা উপত্যকা নতুন মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। সেখানের বাসিন্দারা বলছেন যে, শনিবার থেকে গাজা উপত্যকায় কোনও ত্রাণ পৌঁছেনি, এবং সোমবার ইজরায়েল এই অঞ্চলে 'সম্পূর্ণ অবরোধ' ঘোষণা করেছে ৷ তাঁরা বলছেন যে বিদ্যুৎ, খাবার, জ্বালানি এবং জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।
উল্লেখ্য, গাজায় প্রায় 23 লাখ মানুষ বসবাস করে, যাদের 80 শতাংশ সাহায্যের উপর নির্ভর করে। ইজরায়েলের পালটা হামলায় সেখানে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। শনিবার সকালে হামলা শুরুর পর থেকে ইজরায়েল গাজায় খাদ্য ও ওষুধসহ সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও 24 থেকে 72 ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ সতর্ক করে বলেছে যে, অবশিষ্ট জ্বালানি দিয়ে হাতে গোনা কয়েকদিন মাত্র চলা যাবে। এমনকী গাজার বাসিন্দারা আগে থেকেই ব্যাপক খাবারের নিরাপত্তাহীনতা, চলাচলে বিধিনিষেধ এবং জলের সংকটে ভুগছিল।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতি! হামাসের হামলায় ইজরায়েলে প্রাণ গেল 800 জনের, পালটা গাজায় মৃত 500