ওয়াশিংটন, 25 অক্টোবর: ইজরায়েল নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে ৷ বন্ধু দেশের পাশে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় ইজরায়েলের আক্রমণ-জল্পনার মধ্যে এমনটাই বললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷ 7 অক্টোবর হামাস জঙ্গিরা ইজরায়েলে হামলা করে ৷ তা থেকেই যুদ্ধের শুরু ৷ এই ঘটনায় 1 হাজার 400 জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। 2007 সাল থেকে গাজায় শাসন করছে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস ৷ তার বিরুদ্ধে ইজরায়েল ব্যাপকভাবে পালটা আক্রমণ শুরু করেছে।
মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে ছবি তোলার সময় বাইডেনকে ইজরায়েল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কি গাজায় স্থলাভিযান চালানোর জন্য ইজরায়েলকে অপেক্ষা করতে অনুরোধ করছেন? উত্তরে বাইডেন বলেন, "ইজরায়েল তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারে।" গত সপ্তাহে, ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট গাজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন ৷ হামাসকে সেখান থেকে উৎখাদের জন্য তিনটি পর্যায় বিশিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান ।
ইয়োভ বলেন, "পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছিল। এরপর স্থলে আক্রমণ এবং অবশেষে গাজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে।" গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, এখন পর্যন্ত প্যালেস্তাইনের 5 হাজারেরও বেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন ৷ যার মধ্যে 2 হাজারেরও বেশি শিশু এবং 1 হাজার 100 জন মহিলা রয়েছেন ৷ সেইসঙ্গে সাংবাদিক, চিকিৎসাকর্মী-সহ 16 হাজার জনেরও বেশি আহত হয়েছেন ।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি, স্থলাভিযানের আগে গাজায় বোমাবর্ষণ ইজরায়েলি সেনার
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের কোর্ডিনেটর জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, আমেরিকা নিশ্চিত করবে যেন আত্মরক্ষার জন্য ইজরায়েলের কাছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও ক্ষমতা থাকে। আমরা সবরকম মানবিক সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি ৷ পাশাপাশি গাজা থেকে বন্দি ও আটকে পড়া লোকদের যথাযথভাবে বের করে আনার চেষ্টাও চালিয়ে যাব ৷"