দোহা, 22 নভেম্বর: 70 বছর আগে, সাদ ইসমাইল আল জসিম পারস্য উপসাগরের 40 ফুট (13 মিটার) গভীর জলে ঝাঁপ দিতেন ৷ মুক্তোর গুচ্ছ খুঁজে পাওয়ার আশায় ঝিনুকের সন্ধানে গভীর জলে দীর্ঘক্ষণ শ্বাস আটকে রাখতেন ৷ সেই সাদ ইসমাইল আল জসিম সেই সমুদ্রতীরে একটি 1,100-ফুট (335-মিটার) ইয়টের আকারে একটি ভাসমান হোটেল তৈরি করেথছেন ৷ যেখানে বর্তমানে হাজার হাজার ফুটবল অনুরাগী ভিড় করেন ৷ যা ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ কাতারের বিবর্তনের অন্যতম নিদর্শন (Stunning Transformation World Cup Host Qatar) ৷ আর উপসাগরীয় আরব প্রতিবেশীদের মতো তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি করত না কাতার ৷ তখন সেই দেশের মূল বাণিজ্যিক মাধ্যম ছিল মুক্ত ৷
সেই সাদ ইসমাইল আল জসিমের বয়স বর্তমানে 87 বছর ৷ কাতারের পেশাদার মুক্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে সর্বশেষ তিনি ৷ সাদ ইসমাইল আল জসিম বলেন, ‘‘আমাদের যাত্রায় তিন থেকে চার মাস সময় লাগত ৷ আমরা বোটে খাওয়া, পান করা, ঘুমানো সব করতাম ৷’’ গত কয়েক শতাব্দী ধরে মুক্ত গয়না তৈরির কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে ৷ কিন্তু, উপসাগরীয় অঞ্চলে পাওয়া প্রাকৃতিক বস্তুগুলির মতো কোনটিকেই সূক্ষ্ম হিসাবে বিবেচনা করা হয়নি ৷ এমনটাই মনে করেন সাহিত্যিক মাইকেল কুইনটেন মর্টন ৷ যিনি মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস নিয়ে ‘মাস্টার অফ পার্ল: এ হিস্টরি অফ কাতার’ বইটি লিখেছিলেন ৷
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির কাছে হার আর্জেন্তিনার, ভিএআর-এ পাকড়াও মেসি-মার্তিনেজের অফসাইড গোল
কুড়ির দশকের শুরুতে কাতার মুক্ত সরবরাহের অন্যতম কেন্দ্র ছিল ৷ কাতার থেকে ইউরোপের সব দেশে মুক্ত রফতানি করা হত ৷ এমনকি তৎকালীন বোম্বে, বাগদাদ-সহ একাধিক দেশে কাতারের মুক্ত যেত জাহাজে ৷ আর বেশি অর্থ রোজগারের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে দিনের পর দিন সময় কাটাতেন ৷ গভীর জলে ডুব দিতেন ৷ কোমরে পাথর বেঁধে প্রায় 40 ফুট গভীরে ডুব দিতেন মুক্তর খোঁজে৷