কলম্বো, 9 জুলাই: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe) ৷ দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি ৷
এদিকে, খোঁজ নেই শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের (President Gotabaya Rajapaksa) ? কোথায় আছেন দেশের প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক ব্যবস্থাপনার প্রধান ? আপাতত এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে শ্রীলঙ্কাবাসী ৷ শুক্রবার রাতেই গা-ঢাকা দিয়েছেন গোতাবায়া ৷ সূত্রের দাবি, জনরোষ যে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে, তা আগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল ৷ সেই কারণে আগেভাগেই প্রেসিডেন্টকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সূত্রের দাবি, নিরাপত্তার স্বার্থেই সেনাবাহিনীর সদর দফতরে গোতাবায়া রাজাপক্ষের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ তবে, এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রকাশ্য়ে আনা হয়নি ৷
শনিবার সোশ্য়াল মিডিয়া একটি ভিডিয়ো ফুটেজ ভাইরাল হয় ৷ ঘটনাস্থল কলম্বো বন্দর ৷ সেখানে গজবাহু নামে নৌবাহিনীর একটি জাহাজকে নোঙর করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে ৷ আর দেখা গিয়েছে কিছু ব্যক্তিকে ৷ যাঁরা কার্যত ছুটে ছুটে পেল্লায় আকারের ব্যাগ, বাক্স জাহাজে তুলে দিচ্ছেন ! সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই ব্যাগ, বাক্সে আদতে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রই ভরা ছিল ৷ এবং ওই জাহাজে চড়েই নিজের বর্তমান ঠিকানায় পৌঁছে গিয়েছন তিনি ৷ বন্দরের এক আধিকারিকও নাকি এই দাবির সত্যতা স্বীকার করেছেন ৷
আরও পড়ুন: Sri Lanka Crisis: প্রেসিডেন্টের সুইমিং পুলে প্রতিবাদীদের সাঁতার ! ভাইরাল ভিডিয়ো
জল্পনা তৈরি হয়েছে আরও একটি ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়েও ৷ সেটি কলম্বোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৷ সেখানে একটি বিমানকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে ৷ সূত্রের খবর, কোনও একজন ভিআইপি যাত্রীর জন্যই নাকি এই বিমানটি সেখানে অপেক্ষা করছিল ৷ বিমানের কাছে একটি গাড়িকেও এসে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে ৷ তাহলে কি বিমানে চড়েই নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে গিয়েছেন গোতাবায়া ? তাহলে নৌবাহিনীর জাহাজে কে ছিলেন ? এই সব প্রশ্নের উত্তর আপাতত অধরা ৷
দেশের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে এসব জল্পনার মধ্যেই শনিবারই একটি জরুরি বৈঠকে বসেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe) ৷ প্রাথমিকভাবে সেই বৈঠকেই পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি ৷ রনিলের প্রস্তাব ছিল, বর্তমান সরকার ভেঙে সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হোক ৷ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে এই প্রস্তাব পেশ করা হয় ৷ তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে রনিলের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করা হয় ৷