ETV Bharat / international

Boat Caught Fire: কঙ্গো নদীতে নৌকায় আগুন লেগে অন্তত 16 জনের মৃত্যু

Boat Caught Fire in Western Congo: কঙ্গো নদীতে জ্বালানি বহনকারী নৌকায় আগুন ৷ নিহত অন্তত 16 ৷ 11 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ ওই দেশের পশ্চিম অংশে এই ঘটনা ঘটে ৷ অন্যদিকে কঙ্গোর উত্তরভাগ জ্বলছে বিদ্রোহের আগুন ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 24, 2023, 7:39 AM IST

Boat Caught Fire
Boat Caught Fire

কিনশাসা (কঙ্গো), 24 অক্টোবর: কঙ্গো নদীতে একটি নৌকায় আগুন লেগে সোমবার কমপক্ষে 16 জন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে । সেখানকার প্রাদেশিক ডেপুটি পাপি এপিয়ানা জানান, নৌকাটি জ্বালানি বহন করছিল এবং কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার পূর্বাঞ্চল থেকে এমবান্দাকা শহরে যাচ্ছিল । অন্তত 11 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও কেউ নিখোঁজ আছেন কি না, তা স্পষ্ট নয় ।

এই নিয়ে পরপর দু’দিনে কঙ্গো নদীতে দু’টি দুর্ঘটনা ঘটল ৷ এর আগে সেখানে একটি নৌকা ডুবে যায় ৷ সেই ঘটনায় অন্তত 40 জনের মৃত্যু হয় ৷ তার পর এই দুর্ঘটনায় অন্তত 16 জনের মৃত্যু হল ৷ মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, কঙ্গো নদীতে এবং দেশের হ্রদগুলিতে দুর্ঘটনা অন্যতম কারণ অস্থায়ী নৌকাগুলি প্রায়শই ওভারলোড করা হয় ।

তাছাড়া ওই দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনসংখ্যার অধিকাংশই ভালো রাস্তার অভাবের কারণে এবং কম ব্যয়বহুল হওয়ায় যাতায়াতের জন্য নদী ব্যবহার করে । সেই কারণে যাত্রীবহনকারী নৌকাগুলিতে ওভারলোডের সংখ্যা বেশি হয় ৷ তার জেরে দুর্ঘটনাও হামেশাই হয় ৷

অনেক সময় জ্বালানি বা পণ্য পরিবহণের নৌকাতেও সাধারণ যাত্রীরা উঠে পড়েন ৷ তার পর যাতায়াত করেন ৷ সোমবারের দুর্ঘটনায় তেমনই কিছু হয়ে থাকতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন ৷ সেই কারণেই জ্বালানি বহনকারী নৌকায় আগুন লেগে এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷

কঙ্গোর পশ্চিমে যখন এই ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে, তখন ওই দেশের উত্তর কিভু প্রদেশের রুতশুরু এলাকায় রবিবার রাতে কমপক্ষে 30 জন নিহত হয়েছেন বলে খবর ৷ সেখানকার বহু বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ । রুতশুরু টেরিটরি ইয়ুথ কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাস্টিন কালগেসেরে জানিয়েছেন, এম23 বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে ।

এম23 বিদ্রোহী গোষ্ঠী মূলত কঙ্গোলিজ জাতিগত তুতসিদের সমন্বয়ে গঠিত ৷ 10 বছর আগে এই গোষ্ঠী প্রচারের আলোয় আসে যখন এরা রোয়ান্ডার সীমান্তে পূর্ব কঙ্গোর বৃহত্তম শহর গোমা দখল করে । 2009 সালের 23 মার্চ এদের সঙ্গে কঙ্গো সরকারের একটি শান্তি চুক্তিও হয়৷ কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে তা বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ ওঠে ৷ যদিও গত দশ বছর ধরে এই গোষ্ঠী নিষ্ক্রিয় ছিল ৷ গত বছরের শেষ দিকে তাদের বিদ্রোহী কার্যকলাপ আবার বৃদ্ধি পায় বলে অভিযোগ ৷

এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়া ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা ৷ এর জেরে বহু মানুষ নিহত হয়েছেন ৷ অনেককে গৃহহীন হতে হয়েছে ৷ রবিবার তেমনই একটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল ৷

আরও পড়ুন: জ্বালানি শেষের মুখে, অচল হতে পারে ভেন্টিলেটর; গভীর সংকটে গাজার কয়েকশো শিশুর জীবন

কিনশাসা (কঙ্গো), 24 অক্টোবর: কঙ্গো নদীতে একটি নৌকায় আগুন লেগে সোমবার কমপক্ষে 16 জন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে । সেখানকার প্রাদেশিক ডেপুটি পাপি এপিয়ানা জানান, নৌকাটি জ্বালানি বহন করছিল এবং কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার পূর্বাঞ্চল থেকে এমবান্দাকা শহরে যাচ্ছিল । অন্তত 11 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও কেউ নিখোঁজ আছেন কি না, তা স্পষ্ট নয় ।

এই নিয়ে পরপর দু’দিনে কঙ্গো নদীতে দু’টি দুর্ঘটনা ঘটল ৷ এর আগে সেখানে একটি নৌকা ডুবে যায় ৷ সেই ঘটনায় অন্তত 40 জনের মৃত্যু হয় ৷ তার পর এই দুর্ঘটনায় অন্তত 16 জনের মৃত্যু হল ৷ মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, কঙ্গো নদীতে এবং দেশের হ্রদগুলিতে দুর্ঘটনা অন্যতম কারণ অস্থায়ী নৌকাগুলি প্রায়শই ওভারলোড করা হয় ।

তাছাড়া ওই দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনসংখ্যার অধিকাংশই ভালো রাস্তার অভাবের কারণে এবং কম ব্যয়বহুল হওয়ায় যাতায়াতের জন্য নদী ব্যবহার করে । সেই কারণে যাত্রীবহনকারী নৌকাগুলিতে ওভারলোডের সংখ্যা বেশি হয় ৷ তার জেরে দুর্ঘটনাও হামেশাই হয় ৷

অনেক সময় জ্বালানি বা পণ্য পরিবহণের নৌকাতেও সাধারণ যাত্রীরা উঠে পড়েন ৷ তার পর যাতায়াত করেন ৷ সোমবারের দুর্ঘটনায় তেমনই কিছু হয়ে থাকতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন ৷ সেই কারণেই জ্বালানি বহনকারী নৌকায় আগুন লেগে এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷

কঙ্গোর পশ্চিমে যখন এই ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে, তখন ওই দেশের উত্তর কিভু প্রদেশের রুতশুরু এলাকায় রবিবার রাতে কমপক্ষে 30 জন নিহত হয়েছেন বলে খবর ৷ সেখানকার বহু বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ । রুতশুরু টেরিটরি ইয়ুথ কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাস্টিন কালগেসেরে জানিয়েছেন, এম23 বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে ।

এম23 বিদ্রোহী গোষ্ঠী মূলত কঙ্গোলিজ জাতিগত তুতসিদের সমন্বয়ে গঠিত ৷ 10 বছর আগে এই গোষ্ঠী প্রচারের আলোয় আসে যখন এরা রোয়ান্ডার সীমান্তে পূর্ব কঙ্গোর বৃহত্তম শহর গোমা দখল করে । 2009 সালের 23 মার্চ এদের সঙ্গে কঙ্গো সরকারের একটি শান্তি চুক্তিও হয়৷ কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে তা বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ ওঠে ৷ যদিও গত দশ বছর ধরে এই গোষ্ঠী নিষ্ক্রিয় ছিল ৷ গত বছরের শেষ দিকে তাদের বিদ্রোহী কার্যকলাপ আবার বৃদ্ধি পায় বলে অভিযোগ ৷

এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়া ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা ৷ এর জেরে বহু মানুষ নিহত হয়েছেন ৷ অনেককে গৃহহীন হতে হয়েছে ৷ রবিবার তেমনই একটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল ৷

আরও পড়ুন: জ্বালানি শেষের মুখে, অচল হতে পারে ভেন্টিলেটর; গভীর সংকটে গাজার কয়েকশো শিশুর জীবন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.