আনকারা, 21 ফেব্রুয়ারি: এক সোমবারের পর আরেক সোমবার ৷ ফের কেঁপে উঠল তুরস্ক-সিরিয়া ৷ সোমবার বিকেলে স্থানীয় সময় 5টা নাগাদ জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্কের দক্ষিণে অবস্থিত হাতায় প্রদেশ ৷ রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল 6.4 ৷ এর মাত্র 3 মিনিট পরেই 5.8 তীব্রতার দ্বিতীয় ভূমিকম্প ৷ কেন্দ্রস্থল হাতায় প্রদেশের ডেফন শহর (Town of Defne, in Turkey’s Hatay province) ৷ প্রথম ভূকম্পনটি মাটির 16.7 কিলোমিটার (10.4 মাইল) গভীরে হয়েছে ৷ আর দ্বিতীয়টি 7 কিমি (4.3 কিমি) ৷ দু'টি কম্পনই অনেক দূর পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে ৷
20 ফেব্রুয়ারি বিকেলের এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কমপক্ষে 3 জন মারা গিয়েছেন ৷ আহতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত 213 ৷ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী সুলেমান সোলু ৷ এবারেও বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে ৷ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে রয়েছেন ৷ সিরিয়াতেও এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে ৷ মন্ত্রী জানিয়েছেন, তল্লাশি চলছে এবং উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে ৷ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এএফএডি দেশবাসীকে সতর্ক করেছে, কেউ যেন সমুদ্র উপকূলে না যায় ৷ কারণ এই ভূমিকম্পের পর সমুদ্রে জলস্তরের মাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে এবং তা 50 সেন্টিমিটার (1.6 ফুট) পর্যন্ত হতে পারে ৷ প্রসঙ্গত তুরস্ক ভূমধ্যসাগর উপকূলে অবস্থিত ৷ তুরস্ক ও সিরিয়া ভূকম্পন প্রবণ এলাকা ৷
আরও পড়ুন: ধ্বংসলীলার 5 দিন পর জীবন্ত উদ্ধার একই পরিবারের 5 সদস্য !
সিরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আলেপ্পোতে ফের ঘরবাড়ি ভেঙে কমপক্ষে 6 জন জখম হয়েছেন ৷ উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার হোয়াইট হেলমেটস গ্রুপ জানিয়েছে, 20 ফেব্রুয়ারি বিকেলের ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা 130 জনেরও বেশি ৷ এমনিতেই 6 ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছিল ৷ যে ক'টি টিকে রয়েছে তাতেও ফাটল ধরেছে ৷ তাই আতঙ্কে রয়েছে বিপর্যস্ত এলাকার বাসিন্দা ৷
6 ফেব্রুয়ারি কাকভোরে 7.8 তীব্রতার ও তার ন'ঘণ্টার মধ্যে 7.5 তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দক্ষিণ তুরস্ক ও উত্তর সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চল ৷ সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, দু'টি ভূমিকম্পের পরবর্তী-কম্পন (After Shock) হয়েছে প্রায় 6 হাজার ৷ মৃতের সংখ্যা 45 হাজার ছাড়িয়েছে ৷ মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার দু'সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই আবার কেঁপে উঠল তুরস্ক ৷
আরও পড়ুন: 128 ঘণ্টা আটকে ধ্বংস্তূপের নীচে, তারপরও চনমনে একরত্তি !