মস্কো, 24 জুন: নিজের সাজানো অস্ত্রে নিজেই ঘায়েল হওয়ার পথে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । ক্রমশ ক্রেমলিনের দিকে এগিয়ে আসছে একদা তাঁরই অনুগত সৈনিকরা । চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনের সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে বড় অভিযান শুরু করেছিল বিদ্রোহী ওয়াগনার বাহিনী । শনিবার ইয়েভজেনি প্রিগোজিন তাঁর সৈন্যদের ইউক্রেন থেকে বের করে রাশিয়ার দক্ষিণের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে নিয়ে গিয়েছিলেন । ক্রমশ সেই সৈন্যদল এগোচ্ছে মস্কোর দিকে । তারপরেই কার্যত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন পুতিন ।
ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার সশস্ত্র বিদ্রোহের সংগঠকদের কঠোর শাস্তির হুশিয়ারী দিয়েছেন । পুতিন এদিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বিদ্রোহকে 'পিঠে ছুরি মারা' বলে জানিয়েছেন । দু'দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা তাঁর নেতৃত্বের জন্য এটি ছিল সবচেয়ে বড় হুমকি । ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রিগোজিনের ব্যক্তিগত সেনাবাহিনী মস্কো থেকে 660 মাইল (1,000 কিলোমিটারের বেশি) দক্ষিণে অবস্থিত একটি শহর রোস্তভ-অন-ডনে সামরিক সদর দফতর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ।
আঞ্চলিক গভর্নর ইগর আর্টামনভ বলেন, "মস্কো থেকে প্রায় 360 কিলোমিটার দক্ষিণে রাশিয়ার লিপেটস্ক প্রদেশে ওয়াগনার সৈন্য প্রবেশ করেছে । যদিও সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে ।" প্রসঙ্গত, প্রিগোজিনের মালিকানাধীন ভাড়াটে যোদ্ধারা ইউক্রেন সীমান্তের অদূরে রোস্তভ-অন-ডন শহরের দখল নিয়েছিল । ওই এলাকা থেকে মস্কোর দূরত্ব প্রায় হাজার কিলোমিটার ।
প্রিগোজিন শনিবার একটি অডিয়ো-বার্তায় দাবি করেন, মস্কোর উদ্দেশে তাঁদের অভিযান চলবে । প্রিগোজিন বলেন, "আমরা আমাদের পথে একজনকেও প্রাণে মারিনি । একটিও গুলি খরচ না-করেই সামরিক সদর দফতর দখল করেছে ।" ইতিমধ্যেই ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস, প্রিগোজিনকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ৷ ক্রেমলিনও ইতিমধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী শাসনের কথা ঘোষণা করেছে । সীমিত স্বাধীনতা এবং রাজধানীতে নিরাপত্তা বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছে ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর মিশর সফর দু'দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি কার্যকরে গতি আনবে, জানালেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত