ETV Bharat / international

Maldives presidential inauguration: মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানে প্রোটোকল অনুযায়ী ভারত-চিন সমান স্তরে প্রতিনিধিত্ব করবে

বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে 16 থেকে 18 নভেম্বর কেন্দ্রীয় আর্থ ও সায়েন্সমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু মালদ্বীপ সফর করবেন ৷” বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “মালদ্বীপ হল ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভারত মহাসাগর অঞ্চলের প্রতিবেশী (আইওআর) ৷ শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর 'প্রতিবেশী প্রথম নীতি'-তে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে ৷” অনুষ্ঠানে ভারতের এই উচ্চ-স্তরের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব দুই দেশের মধ্যে প্রকৃত সহযোগিতা এবং শক্তিশালী সম্পর্ককে আরও গভীর করবে বলেও বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 15, 2023, 10:58 PM IST

Etv Bharat
Etv Bharat

নয়াদিল্লি, 15 নভেম্বর: মালদ্বীপের নতুন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুর শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য কেন্দ্রীয় আর্থ ও সায়েন্সমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুকে নিযুক্ত করা হয়েছে ৷ এরই সঙ্গে, 17 নভেম্বর মালেতে কূটনৈতিক প্রোটোকল অনুসারে ভারত এবং চিন উভয়ই সমান স্তরে প্রতিনিধিত্ব করবে বলেও জানা গিয়েছে।

বুধবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে 16 থেকে 18 নভেম্বর কেন্দ্রীয় আর্থ ও সায়েন্সমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু মালদ্বীপ সফর করবেন ৷” বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “মালদ্বীপ হল ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভারত মহাসাগর অঞ্চলের প্রতিবেশী (আইওআর) ৷ শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর 'প্রতিবেশী প্রথম নীতি'-তে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে ৷” অনুষ্ঠানে ভারতের এই উচ্চ-স্তরের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব দুই দেশের মধ্যে প্রকৃত সহযোগিতা এবং শক্তিশালী সম্পর্ককে আরও গভীর করবে বলেও বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে ৷

অন্যদিকে, বেইজিং ঘোষণা করার দুই দিন পর এই বিবৃতি এসেছে যে, স্টেট কাউন্সিলর শেন ইকিন মালেতে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে চিনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। রিজিজু এবং শেন উভয়ই তাদের নিজের দেশের হয়ে বৈদেশিক বিষয় পরিচালনার সঙ্গে অবশ্য সরাসরি জড়িত নন। মন্ত্রী হিসেবে রিজিজুর দায়িত্ব হল বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান, সমুদ্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ভূকম্পনবিদ্যাকে সমন্বিতভাবে দেখাশোনা করা ৷ অন্যদিকে, শেন মানবসম্পদ বিষয়ক, সামাজিক বিষয়, নাগরিক বিষয়ক, নারী ও শিশু বিষয়ক এবং জাতিগত বিষয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার চিনপন্থী অবস্থানের জন্য পরিচিত মুইজু-এর পদগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনার মধ্যে রিজিজু ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। 2018 সালে, মোদি মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম সোলিহের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ৷

মুইজ্জু সেপ্টেম্বরের শেষে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সোলিহকে পরাজিত করেছিলেন। মুইজ্জু পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) এবং মালদ্বীপের প্রগ্রেসিভ পার্টি (পিপিএম)-এর যৌথ প্রার্থী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে পিপিএম-এর ইয়ামিনকে পিএনসি এবং পিপিএম-এর যৌথ প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল। কিন্তু মানি লন্ডারিং মামলায় 11 বছরের জেল হওয়ায় তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য হয়ে পড়েন। ফলস্বরূপ, পিএনসি-র মুইজ্জু যৌথ পিএনসি-পিপিএম প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হন।

2013 এবং 2018 সালের মধ্যে ইয়ামিন যখন রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তখন ভারত এবং মালদ্বীপের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছিল ৷ 2018 সালে সোলিহ ক্ষমতায় আসার পরেই নয়াদিল্লি এবং মালের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হয়েছিল ৷ ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা নয়াদিল্লির জন্য উদ্বেগের আরেকটি কারণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও মালদ্বীপের উন্নয়নের প্রতি মনোযোগী থাকতে হবে। দক্ষিণ এশিয়া এবং আশেপাশের সামুদ্রিক সীমানায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারতকে অবশ্যই ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি স্পেসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে ৷ প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইয়ামিন চিনকে দ্বীপগুলো লিজ দেওয়ার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করেছিলেন। দীর্ঘমেয়াদে, চিন যদি দ্বীপপুঞ্জের ইজারা দেওয়া দ্বীপগুলির একটিকে নৌ ঘাঁটিতে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করে, তবে এটি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা প্রভাব ফেলবে ৷

আরও পড়ুন:

ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধে পণবন্দিদের বিনিময় প্রক্রিয়া আদতে জটিল হবে, মত বিশেষজ্ঞরা

যুদ্ধবিরতির ডাক জোরালো হচ্ছে, হামাস নির্মূলের পরিকল্পনা স্পষ্ট নয় নেতানিয়াহুর

নয়াদিল্লি, 15 নভেম্বর: মালদ্বীপের নতুন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুর শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য কেন্দ্রীয় আর্থ ও সায়েন্সমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুকে নিযুক্ত করা হয়েছে ৷ এরই সঙ্গে, 17 নভেম্বর মালেতে কূটনৈতিক প্রোটোকল অনুসারে ভারত এবং চিন উভয়ই সমান স্তরে প্রতিনিধিত্ব করবে বলেও জানা গিয়েছে।

বুধবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে 16 থেকে 18 নভেম্বর কেন্দ্রীয় আর্থ ও সায়েন্সমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু মালদ্বীপ সফর করবেন ৷” বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “মালদ্বীপ হল ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভারত মহাসাগর অঞ্চলের প্রতিবেশী (আইওআর) ৷ শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর 'প্রতিবেশী প্রথম নীতি'-তে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে ৷” অনুষ্ঠানে ভারতের এই উচ্চ-স্তরের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব দুই দেশের মধ্যে প্রকৃত সহযোগিতা এবং শক্তিশালী সম্পর্ককে আরও গভীর করবে বলেও বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে ৷

অন্যদিকে, বেইজিং ঘোষণা করার দুই দিন পর এই বিবৃতি এসেছে যে, স্টেট কাউন্সিলর শেন ইকিন মালেতে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে চিনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। রিজিজু এবং শেন উভয়ই তাদের নিজের দেশের হয়ে বৈদেশিক বিষয় পরিচালনার সঙ্গে অবশ্য সরাসরি জড়িত নন। মন্ত্রী হিসেবে রিজিজুর দায়িত্ব হল বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান, সমুদ্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ভূকম্পনবিদ্যাকে সমন্বিতভাবে দেখাশোনা করা ৷ অন্যদিকে, শেন মানবসম্পদ বিষয়ক, সামাজিক বিষয়, নাগরিক বিষয়ক, নারী ও শিশু বিষয়ক এবং জাতিগত বিষয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার চিনপন্থী অবস্থানের জন্য পরিচিত মুইজু-এর পদগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনার মধ্যে রিজিজু ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। 2018 সালে, মোদি মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম সোলিহের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ৷

মুইজ্জু সেপ্টেম্বরের শেষে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সোলিহকে পরাজিত করেছিলেন। মুইজ্জু পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) এবং মালদ্বীপের প্রগ্রেসিভ পার্টি (পিপিএম)-এর যৌথ প্রার্থী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে পিপিএম-এর ইয়ামিনকে পিএনসি এবং পিপিএম-এর যৌথ প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল। কিন্তু মানি লন্ডারিং মামলায় 11 বছরের জেল হওয়ায় তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য হয়ে পড়েন। ফলস্বরূপ, পিএনসি-র মুইজ্জু যৌথ পিএনসি-পিপিএম প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হন।

2013 এবং 2018 সালের মধ্যে ইয়ামিন যখন রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তখন ভারত এবং মালদ্বীপের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছিল ৷ 2018 সালে সোলিহ ক্ষমতায় আসার পরেই নয়াদিল্লি এবং মালের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হয়েছিল ৷ ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা নয়াদিল্লির জন্য উদ্বেগের আরেকটি কারণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও মালদ্বীপের উন্নয়নের প্রতি মনোযোগী থাকতে হবে। দক্ষিণ এশিয়া এবং আশেপাশের সামুদ্রিক সীমানায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারতকে অবশ্যই ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি স্পেসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে ৷ প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইয়ামিন চিনকে দ্বীপগুলো লিজ দেওয়ার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করেছিলেন। দীর্ঘমেয়াদে, চিন যদি দ্বীপপুঞ্জের ইজারা দেওয়া দ্বীপগুলির একটিকে নৌ ঘাঁটিতে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করে, তবে এটি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা প্রভাব ফেলবে ৷

আরও পড়ুন:

ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধে পণবন্দিদের বিনিময় প্রক্রিয়া আদতে জটিল হবে, মত বিশেষজ্ঞরা

যুদ্ধবিরতির ডাক জোরালো হচ্ছে, হামাস নির্মূলের পরিকল্পনা স্পষ্ট নয় নেতানিয়াহুর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.