ETV Bharat / international

Prime Minister of Britain: ব্রিটেনের আমনাগরিকরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন না

ব্রিটিশ সংবিধান অনুসারে, আগামী দু'বছর ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের কোনও প্রয়োজন নেই ৷ তবে, ইদানীংকালে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বদল হচ্ছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া (Prime Minister of Britain) নিয়ে আমব্রিটিশদের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে বলে দাবি সূত্রের ৷

Prime Minister of Britain is not chosen directly by Britons
Prime Minister of Britain: ব্রিটেনের আমনাগরিকরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন না
author img

By

Published : Oct 24, 2022, 6:15 PM IST

লন্ডন, 24 অক্টোবর: একের পর এক বদলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ অথচ নির্বাচনের কোনও বালাই নেই ! সাম্প্রতিককালে এটাই ঘটছে ব্রিটিশ রাজনীতি (British Politics) এবং প্রশাসনের শীর্ষস্তরে ৷ যদিও বিরোধী লেবার পার্টির (Labour Party) দাবি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ বদল বন্ধ করে অবিলম্বে ভোট করানোর হোক দেশে ৷ শাসন ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভরা (Conservative Party) অবশ্য সেসবে কান দিতে নারাজ ৷ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল হলেও ক্ষমতা হাত থেকে যেতে দিতে চায় না তারা ৷ আর এক্ষেত্রে ব্রিটেনের সরকারি গঠনতন্ত্র এবং সংসদীয় গণতন্ত্রও তাঁদের সহায়ক হয়েছে ৷

ব্রিটেনের আমজনতা তাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে না:

ব্রিটিশ নাগরিকরা সরাসরি তাঁদের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister of Britain) নির্বাচন করেন না ৷ ব্রিটেনে মোট 650টি স্থানীয় কেন্দ্র রয়েছে ৷ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব কে করবেন, সেটাই ঠিক করে ব্রিটিশ জনতা ৷ ব্রিটেনে এই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই হলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য বা এমপি ৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই এমপি-রা দেশের বড় কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য হন ৷ যে দলের এমপি সংখ্যা সবথেকে বেশি, তারাই সরকার গঠন করে এবং সেই দলের প্রধান নেতা দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ৷ এক্ষেত্রে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেমনটা হয় না ৷ এর জন্য নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করে ওয়াকিবহাল মহল ৷

আরও পড়ুন: দীপাবলিতেই কি ব্রিটেনে ঋষি-রাজ ? তুঙ্গে জল্পনা

রাজনৈতিক দলগুলির নেতা নির্বাচনের নিয়ম:

1922 সাল থেকে 2022 ৷ এই 100 বছরে ব্রিটেনে যাঁরাই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন, তাঁরা হয় কনজারভেটিভ আর তা না-হয় লেবার পার্টির সদস্য ৷ অর্থাৎ বাকি সমস্ত দলের তুলনায় ব্রিটিশ রাজনীতি ও প্রশাসনে এই দুই দলেরই আধিপত্য রয়েছে ৷ এর মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির ক্ষেত্রে প্রথমেই দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কোনও এক নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে নেতা বা নেত্রী হিসাবে বেছে নেওয়ার বার্তা দেন ৷ যদি সেই ব্যক্তির কাছে দলীয় সহকর্মীদের যথাযথ সমর্থন থাকে, তাহলে তিনিই হন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ৷ আর যদি তা না-হয়, তাহলে দফায় দফায় ভোটাভুটির মাধ্যমে অন্তিম পর্যায়ে দু'জন প্রার্থীকে বেছে নেওয়া হয় ৷ সেই দু'জনের মধ্যে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা ঠিক করেন দলের সাধারণ সদস্যরা ৷ প্রায় 1 লক্ষ 80 হাজার সদস্য এই দু'জনের মধ্যে একজনকে ভোট দিয়ে বেছে নেন ৷ শেষবার এই ভোটভুটিতেই ঋষি সুনাককে হারিয়ে দিয়েছিলেন লিজ ট্রাস ৷ লেবার পার্টির নেতা বাছাইয়ের প্রক্রিয়া এর থেকে অনেক বেশি জটিল ৷

শীঘ্রই কি ব্রিটেনে ভোট হবে ?

ব্রিটিশ সংবিধান অনুসারে, আগামী দু'বছর ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের কোনও প্রয়োজন নেই ৷ তবে, ইদানীংকালে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বদল হচ্ছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আমব্রিটিশদের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে বলে দাবি সূত্রের ৷

লন্ডন, 24 অক্টোবর: একের পর এক বদলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ অথচ নির্বাচনের কোনও বালাই নেই ! সাম্প্রতিককালে এটাই ঘটছে ব্রিটিশ রাজনীতি (British Politics) এবং প্রশাসনের শীর্ষস্তরে ৷ যদিও বিরোধী লেবার পার্টির (Labour Party) দাবি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ বদল বন্ধ করে অবিলম্বে ভোট করানোর হোক দেশে ৷ শাসন ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভরা (Conservative Party) অবশ্য সেসবে কান দিতে নারাজ ৷ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল হলেও ক্ষমতা হাত থেকে যেতে দিতে চায় না তারা ৷ আর এক্ষেত্রে ব্রিটেনের সরকারি গঠনতন্ত্র এবং সংসদীয় গণতন্ত্রও তাঁদের সহায়ক হয়েছে ৷

ব্রিটেনের আমজনতা তাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে না:

ব্রিটিশ নাগরিকরা সরাসরি তাঁদের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister of Britain) নির্বাচন করেন না ৷ ব্রিটেনে মোট 650টি স্থানীয় কেন্দ্র রয়েছে ৷ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব কে করবেন, সেটাই ঠিক করে ব্রিটিশ জনতা ৷ ব্রিটেনে এই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই হলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য বা এমপি ৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই এমপি-রা দেশের বড় কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য হন ৷ যে দলের এমপি সংখ্যা সবথেকে বেশি, তারাই সরকার গঠন করে এবং সেই দলের প্রধান নেতা দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ৷ এক্ষেত্রে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেমনটা হয় না ৷ এর জন্য নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করে ওয়াকিবহাল মহল ৷

আরও পড়ুন: দীপাবলিতেই কি ব্রিটেনে ঋষি-রাজ ? তুঙ্গে জল্পনা

রাজনৈতিক দলগুলির নেতা নির্বাচনের নিয়ম:

1922 সাল থেকে 2022 ৷ এই 100 বছরে ব্রিটেনে যাঁরাই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন, তাঁরা হয় কনজারভেটিভ আর তা না-হয় লেবার পার্টির সদস্য ৷ অর্থাৎ বাকি সমস্ত দলের তুলনায় ব্রিটিশ রাজনীতি ও প্রশাসনে এই দুই দলেরই আধিপত্য রয়েছে ৷ এর মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির ক্ষেত্রে প্রথমেই দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কোনও এক নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে নেতা বা নেত্রী হিসাবে বেছে নেওয়ার বার্তা দেন ৷ যদি সেই ব্যক্তির কাছে দলীয় সহকর্মীদের যথাযথ সমর্থন থাকে, তাহলে তিনিই হন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ৷ আর যদি তা না-হয়, তাহলে দফায় দফায় ভোটাভুটির মাধ্যমে অন্তিম পর্যায়ে দু'জন প্রার্থীকে বেছে নেওয়া হয় ৷ সেই দু'জনের মধ্যে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা ঠিক করেন দলের সাধারণ সদস্যরা ৷ প্রায় 1 লক্ষ 80 হাজার সদস্য এই দু'জনের মধ্যে একজনকে ভোট দিয়ে বেছে নেন ৷ শেষবার এই ভোটভুটিতেই ঋষি সুনাককে হারিয়ে দিয়েছিলেন লিজ ট্রাস ৷ লেবার পার্টির নেতা বাছাইয়ের প্রক্রিয়া এর থেকে অনেক বেশি জটিল ৷

শীঘ্রই কি ব্রিটেনে ভোট হবে ?

ব্রিটিশ সংবিধান অনুসারে, আগামী দু'বছর ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের কোনও প্রয়োজন নেই ৷ তবে, ইদানীংকালে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বদল হচ্ছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আমব্রিটিশদের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে বলে দাবি সূত্রের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.