গাজা, 20 নভেম্বর: গাজা স্ট্রিপে প্যালেস্তিনীয়দের মৃত্যুর হার ক্রমশ বাড়ছে ৷ হামাস জঙ্গি সংগঠন ও ইজরায়েল সেনার যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত 13 হাজারের উপর প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যু হয়েছে বলে সেখানকার সরকারি মিডিয়া অফিসের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে ৷ সেখানে বলা হয়েছে, 7 অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস ও ইজরায়েল সেনার যুদ্ধে 13 হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ যার মধ্যে 5 হাজার 500 শিশু, 3 হাজার 500 মহিলা রয়েছেন ৷ আর গুরুতর আহতের সংখ্যা 30 হাজারের বেশি বলে জানিয়েছেন মিডিয়া অফিসের ডিরেক্টর জেনারেল ইসমাইল আল-তাওয়াবতা ৷
রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত 6 হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ বলে জানিয়েছেন মিডিয়া অফিসের ডিরেক্টর জেনারেল ইসমাইল ৷ যাদের মধ্যে প্রায় 4 হাজার শিশু ও মহিলা রয়েছে ৷ জিনহুয়া সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজা প্রশাসন মনে করছে, এরা সকলেই ইজরায়েল বায়ুসেনার হামলায় ধসে পড়া বহুতলগুলির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে ৷ গত 7 অক্টোবর হামাসের তরফে আকাশপথে দক্ষিণ ইজরায়েলে গোলাবর্ষণ শুরু হয় ৷ যে হামলার জেরে ইজরায়েলে একাধিক শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ৷ যার প্রত্যুত্তরে ইজরায়েল পালটা যুদ্ধ ঘোষণা করে ৷ শুরু হয় একের পর এক হামলা ৷ গত 26 অক্টোবর থেকে স্থলভাগেও হামলা শুরু করে ইজরায়েলি সেনা ৷ যার ফলস্বরূপ অসংখ্য প্যালেস্তিনীয়দের মৃত্যু হয়েছে ৷
ইজরায়েল সেনার হাত থেকে বাঁচতে হামাসের জঙ্গিরা অন্তত 1200 নীরিহ প্রাণ কেড়েছে ৷ আর দু’শোর বেশি মানুষকে বন্দি করেছে তারা ৷ বিশেষত, গাজার হাসপাতালগুলিকে নিজেদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করছে হামাসের জঙ্গি নেতারা ৷ হাসপাতালগুলিতে নিজেদের গোপন আস্তানা তৈরি করেছে ৷ সেখান থেকেই ইজরায়েল সেনার সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছে হামাস ৷ উল্লেখ্য, গত 17 নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল গাজার প্রধান হাসপাতালে যায় ৷ সেখান থেকে 32টি প্রি-ম্যাচিওর সদ্যজাতকে উদ্ধার করেছে ৷ তাদের উদ্ধার করে মিশরে পাঠানো হয়েছে ৷
ওই হাসপাতালে 292 জন অন্যান্য রোগীও ভরতি রয়েছেন ৷ যেখানে যুদ্ধের আতংকে মানসিক সমস্যায় ভোগা ও আহতরা ভরতি রয়েছেন ৷ ইজরায়েল সেনা গত সপ্তাহেই গাজার পার্লামেন্ট দখল করেছে ৷ আর যত শহরের ভিতরে প্রবেশ করেছে, তত বেশি গোপন টানেলের হদিশ পেয়েছে তারা ৷ এখনও পর্যন্ত মোট 35টি টানেলর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে উত্তর গাজায় ৷ সেগুলির ভিতর থেকে প্রচুর পরিমাণ সামরিক অস্ত্র উদ্ধার করেছে ইজরায়েল সেনা ৷
আরও পড়ুন: