ব্যাঙ্কক, 19 মে: গত সপ্তাহান্তে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোকার তাণ্ডবে মায়ানমারে কমপক্ষে 54 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ 185,000 টিরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি । ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগের অসুবিধা রয়েছে ৷ সেখানকার পরিকাঠামোও দুর্বল ৷ পাশাপাশি তথ্যের উপর সামরিক সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে হতাহত এবং ধ্বংসের প্রকৃত পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয় বিশ্ববাসীর কাছে ।
ঘূর্ণিঝড় মোকা রবিবার বঙ্গোপসাগর থেকে প্রবল বাতাস এবং বৃষ্টিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশের এক কোণে এবং পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিস্তৃত অংশে আছড়ে পড়ে । এটি রাখাইনের সিটওয়ে টাউনশিপের কাছে স্থলভাগে যখন আছড়ে পড়ে, তখন তার গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় 209 কিলোমিটার (130 মাইল) ৷ এরপর এই ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয় ৷
রাষ্ট্রসংঘের কো-অর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটোরিয়ান অ্যাফেয়ার্সের অফিস জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে ব্যাপকভাবে বাড়িঘর ও পরিকাঠামো ধ্বংস হয়েছে । এখানে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন আশ্রয়, বিশুদ্ধ জল, খাদ্য সহায়তা এবং স্বাস্থ্যসেবা ৷ প্লাবিত এলাকায় জলবাহিত রোগের বিস্তারের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ৷
রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা আরও বলেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেও ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছে, যেখানে বাড়িঘর উড়ে গিয়েছে বা ভেসে গিয়েছে । প্রবল বাতাস এবং বৃষ্টি কাচিন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য শিবিরগুলিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ৷ ত্রাণসামগ্রী বহনকারী তিনটি ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ বৃহস্পতিবার মায়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেছে এবং চতুর্থ জাহাজ শুক্রবার পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর । ইয়াঙ্গুন ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত এলাকার দক্ষিণে এবং এখানে একটি প্রধান আন্তর্জাতিক বন্দর রয়েছে ।
জাহাজগুলি জরুরি খাদ্য সামগ্রী, তাঁবু, প্রয়োজনীয় ওষুধ, জলের পাম্প, বহনযোগ্য জেনারেটর, জামাকাপড়, স্যানিটারি এবং স্বাস্থ্যবিধির জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছে বলে টুইটে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর ৷ এই অঞ্চলে জলবায়ু-সম্পর্কিত বিপর্যয়ের পর প্রথম তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত ৷
আরও পড়ুন: মোকার তাণ্ডবে তছনছ পশ্চিম মায়ানমার, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ; আহত 700