লোপবুরি (থাইল্যান্ড), 27 নভেম্বর: শীতকাল এসে গিয়েছে ৷ আর শীত মানেই পিকনিকের মরশুম ৷ তবে শুধু আমাদের জন্যই নয় ৷ বাঁদরেরাও দেদার পিকনিক শুরু করেছে ৷ এ দেশে নয় ৷ থাইল্যান্ডে ৷ সেখানকার লোপবুরিতে বার্ষিক প্রথা মেনে শুরু হয়েছে মাংকি ফিস্ট ফেস্টিভ্যাল (Monkey Feast Festival)৷
কেন্দ্রীয় থাইল্যান্ডের বার্ষিক মাংকি ফিস্ট ফেস্টিভ্যালে রবিবার বাঁদরদের জন্য ছিল এলাহি আয়োজন ৷ সকালের ব্যস্ত ট্র্যাফিকের মধ্যেই প্রাচীন তিন প্যাগোডার প্রাঙ্গণের বাইরে হাতে ট্রে নিয়ে সার বেঁধে রাখা বাঁদরের মূর্তি ৷ সেই সময় স্বেচ্ছাসেবীরা সত্যিকারের বাঁদরদের জন্য রাস্তা জুড়ে খাবার তৈরি করছিলেন ৷ ব্যাঙ্কক থেকে প্রায় 150 কিলোমিটার উত্তরে হল এই মাংকি ফিস্ট ফেস্টিভ্যাল ৷ বাঁদরের দল চারপাশে ছুটে বেড়াচ্ছে ৷ একে অপরের সঙ্গে মারামারি করছে ৷ আর এ সব দেখে ভিড় বেড়েছে স্থানীয়দের ৷
অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করে ভোজটি মন্দিরের দিকে নিয়ে আসা হলেও তার উপর হামলে পড়তে বাঁদরদের বেশি কসরত করতে হয়নি ৷ হাপুস-হুপুস করে খাওয়া দাওয়া শুরু করে দেয় বাঁদরের দল ৷ এই উত্সবে বিনোদনের যাবতীয় রসদ নিয়ে হাজির হন আয়োজকরা ৷ উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা ইয়ং ইউথ কিটওয়াতানুসন্ত বলেন, "এই বাঁদর ভোজ উৎসব একটি সফল ইভেন্ট, যা প্রতি বছর আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে লোপবুরির পর্যটনকে তুলে ধরতে সাহায্য করে ৷"
আরও পড়ুন: কড়া শীত-লোডশেডিং-পুতিনের বোমা ! ত্রিমুখী নিশানার মুখেও স্বাধীনতার স্বপ্নে অবিচল ইউক্রেন
আগে লোপবুরিতে প্রায় 300 বাঁদরের বাস ছিল ৷ এখন সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে 4000 ৷ এটি বাঁদরদের শহর হিসাবেই পরিচিত, যার অর্থ বাঁদর এবং মানুষের একসঙ্গে শান্তিতে সহবস্থান । বাঁদরদের ফিস্ট দেখতে এসে থাইল্যান্ডে কর্মরত ক্যালিফোর্নিয়ার ইংরেজি শিক্ষক আয়েশা ভাট বললেন, "আমার পিঠে একটা বাঁদর এসেছিল ৷ আমি যখন সেলফি তোলার চেষ্টা করলাম, তখন সেটি আমার চোখ থেকে সানগ্লাসটি খুলে নিয়ে একটি ল্যাম্পপোস্টের মাথায় চলে যায় ৷ সেটি খাওয়ারও চেষ্টা করছিল !" স্পেনের কাডিজ থেকে আসা পর্যটক কার্লোস রডওয়ে বললেন, "ওদের যত্ন নিতে হবে ৷ ওদের ছেড়ে রাখাই ভালো । তবে খুব কাছাকাছি যাওয়া ঠিক না ৷"
এই উৎসব লোপবুড়ির একটি বার্ষিক ঐতিহ্য এবং পর্যটন আনার জন্য বাঁদরদের প্রতি সম্মান দেখানোর একটি উপায় হিসাবে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয় । এ বছরের থিম "বাঁদররা বাঁদরকে খাওয়াচ্ছে"৷