লন্ডন, 27 নভেম্বর: ক্ষমতায় আসতে না আসতেই বিতর্কে জড়ালেন ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক (Rishi Sunak) ৷ শোনা যাচ্ছে, ঋষি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর তাঁর 10 নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সরকারি বাসভবনের বাগানের জন্য একটি মহার্ঘ্য মূর্তি কেনা হয়েছে ৷ ব্রোঞ্জের ওই মূর্তিটি তৈরি করেছেন একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ শিল্পী ৷ আর সেই মূর্তি কেনার জন্য সরকারের তরফে খরচ করা হয়েছে 13 লক্ষ ব্রিটিশ পাউন্ড ! একদিকে যখন দেশের মানুষ চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, ঠিক সেই সময় তাঁদেরই করের টাকা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের বাগানের জন্য মূর্তি কেনা হচ্ছে ! সরকারের এমন আচরণে মেনে নিতে পারছেন না ব্রিটিশরা ৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সর্বস্তরে সমালোচনা শুরু হয়েছে ৷
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ব্রিটিশ শিল্পী এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন, তাঁর নাম হেনরি মুর ৷ 1980 সালে এটি তৈরি করেন তিনি ৷ সূত্রের দাবি, গত মাসে আয়োজিত একটি নিলামে এই মূর্তিটি কেনা হয়েছে ৷ আর তার জন্য যাবতীয় খরচ বহন করেছে ব্রিটিশ সরকার ৷
আরও পড়ুন: 'আপনাদের জন্য দিন-রাত লড়ে যাব', দায়িত্বভার গ্রহণ করে ব্রিটেনবাসীকে বললেন সুনাক
এই ঘটনা সামনে আসার পরই এ নিয়ে সরকারের সমালোচনা শুরু হয়েছে ৷ এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক যেমন এই প্রসঙ্গে বলেন, "ওই মূর্তিটি একটি অনবদ্য ভাস্কর্যের নিদর্শন ৷ এক অসাধারণ শিল্পকর্ম ৷ কিন্তু, এমন একটি মহার্ঘ্য বস্তু কেনার জন্য জনগণের করের টাকা ব্যবহার করা হল ! এটা কখনও মানা যায় না ৷ বিশেষ করে বর্তমানে দেশে অর্থনীতির যা হাল, তাতে এমন অকারণ খরচ কোনও মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না ৷"
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ইতিমধ্যেই রাজনীতির কারবারিরা এই ঘটনা থেকে নিজেদের দূরত্ব তৈরি করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন ৷ তাঁদের দাবি, এটি একেবারেই সরকারি সিদ্ধান্ত ৷ এর সঙ্গে কোনও রাজনীতিকের সম্পর্ক নেই ৷ কোনও রাজনীতিবিদ সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত নন ৷ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার এই মহামূল্যবান মূর্তিটি চাকাওয়ালা ট্রলি গাড়িতে বসিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নিয়ে আসা হয় ৷ সেই সময় সেটি আংশিকভাবে ঢাকা ছিল ৷ কিন্তু, তাতে বিতর্ক ঢাকা যায়নি ৷