নয়াদিল্লি, 10 জানুয়ারি: ভারত-বিরোধী মন্তব্য কেন করা হল, সেই নিয়ে মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীকে ওই দেশের সংসদে ডেকে প্রশ্ন করা হোক ৷ এমনই দাবি করেছেন মলদ্বীপের এক সাংসদ মিকেল আহমেদ নাসিম ৷ এই দাবি তিনি জানিয়েছেন ওই দেশের সংসদের স্পিকার মহম্মদ আসলামের কাছে ৷ পাশাপাশি যে ডেপুটি মিনিস্টার ভারত সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন, গত সোমবার তাঁরও অপসারণ দাবি করেছিলেন মিকেল আহমেদ নাসিম ৷
ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে মলদ্বীপের সংসদ ৷ কিন্তু সেখানে ফেব্রুয়ারি মাসে পরবর্তী অধিবেশন হবে বলে পূর্ব নির্ধারিত হয়ে রয়েছে ৷ নাসিম জানিয়েছেন, তার আগে যাতে একটা বিশেষ অধিবেশন ডাকা যায়, সেই চেষ্টা শুরু করেছেন ৷
মলদ্বীপের তিনজন উপমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভারত বিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল ৷ তাঁদের সাসপেন্ডও করা হয় ৷ কিন্তু এই পদক্ষেপকে যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন ওই সাংসদ ৷ তিনি বলেন, "আমি মনে করি সরকার যা করেছে, তা যথেষ্ট নয় । পরিস্থিতির গুরুত্ব যা, তাতে সরকারের উচিত আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া এবং ওই উপমন্ত্রীদের বরখাস্ত করা ৷’’ তিনি আরও বলেন, "এক্ষেত্রে আমি মনে করি সাসপেনশন যথেষ্ট নয় । আমি মনে করি ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি খুব শক্তিশালী ও মূল্যবান সম্পর্ক রয়েছে । এবং আমি মনে করি শাসক দলকে মলদ্বীপের যা বেশি প্রয়োজন, তা বিবেচনা করা দরকার ।’’
প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর প্রথম বিদেশ সফরে বেরিয়েছেন মহম্মদ মুইজু ৷ চিন সফরে গিয়েছেন তিনি৷ যদিও মলদ্বীপের দীর্ঘদিনের রেওয়াজ প্রেসিডেন্ট তাঁর প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে আসেন ৷ এবার তার ব্যতিক্রম হয়েছে৷ কেন নিয়মের ব্যতিক্রম হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ওই সাংসদ ৷ পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট মুইজুর চিন সফরের স্বচ্ছতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ৷
মিকেল আহমেদ নাসিম ভারতের প্রশংসাও করেছেন বিগত দিনে বিভিন্নভাবে মলদ্বীপকে সহযোগিতা করার জন্য ৷ সেই পরিস্থিতি এখন বদলে যাওয়ায় তিনি দায়ী করেছেন মলদ্বীপের বর্তমান সরকারকে ৷ ওই সরকার ভারত বিরোধী বলেও মিকেল আহমেদ নাসিম দাবি করেছেন ৷ যদিও সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মলদ্বীপ সরকার এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ৷
সংবাদসংস্থা - এএনআই
আরও পড়ুন: