তেল আবিব (ইজরায়েল), 11 অক্টোবর: হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেই মার্কিন যুদ্ধ সামগ্রী পৌঁছল ইজরায়েলে ৷ মিত্র রাষ্ট্রকে সাহায্য করতে উন্নত মার্কিন অস্ত্র ও সরঞ্জাম প্রথম ইজরায়েলে পাঠাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷ বুধবার ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক টুইট করে এমনটাই জানিয়েছে ৷
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত এক ভিডিয়ো ফুটেজ এবং ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কার্গো বিমান অবতরণ করেছে সেদেশের মাটিতে ৷ আর সেই বিমান থেকেই নামানো হচ্ছে একের পর এক উন্নত যুদ্ধের সরঞ্জাম এবং অস্ত্র ৷ জানা যাচ্ছে, হামাসের বিরুদ্ধে মার্কিন-ইজরায়েল যৌথ অভিযানের প্রাথমিক সরঞ্জাম এবং অস্ত্র প্রথম এসে পৌঁছল দেশে ৷
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্রের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উৎপাদন ও সংগ্রহ ডিরেক্টরেট, ইউএস প্রকিওরমেন্ট মিশন এবং ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্তর্গত আন্তর্জাতিক পরিবহন ইউনিট এই যৌথ অভিযানে কার্গো বিমানটির গতিবিধি তত্ত্বাবধান করে ৷ পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্রের সরাসরি পরিবহণ নিশ্চিতও করে তারা ৷
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ইজরায়েলকে প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা শুরু হয়েছে ৷ পেন্টাগন তার বন্ধু রাষ্ট্রকে সাহায্য করার জন্য দ্রুত আর কী কী পাঠানো যেতে পারে, তার জন্য একটি তালিকাও তৈরি করেছে এবং সেই আলিকা নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
সোমবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েন, অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য বিমানগুলি ইতিমধ্যেই উড়ান নিয়েছে ৷ তবে সেই সব বিমান সম্পর্কে কোনও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, এর আগে ইজরায়েলে যুদ্ধের জেরে 14 জন মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ৷ একই সঙ্গে, ইজরায়েলকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷
14 জন আমেরিকান নাগরিক ছাড়াও বাইডেন মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন যে সপ্তাহান্তে হামাসের তাণ্ডব চালানোর পরে আরও বেশ কয়েকজন আমেরিকানদের বন্দি করা হয়েছে ৷ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা করে মার্কিন প্রসিডেন্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েল শক্তিশালী প্রতিরোধ এবং কড়া আক্রমণ করবে বলে তিনি আশা করেছিলেন।
বাইডেন জানিয়েছেন, ইজরায়েলের নিহত আমেরিকান নাগরিকদের সংখ্যা এখন 14-য় দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, "হামাসের রক্তপিপাসু বর্বরতা আইএসআইএসের খারাপ তাণ্ডবের কথা মনে করাচ্ছে। অত্যন্ত ঘৃণ্য ৷" মার্কিন রাষ্ট্রপতি বলেছেন, "আমরা ইজরায়েলের সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা ইজরায়েলে তার নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য, আত্মরক্ষার জন্য এবং এই আক্রমণের জবাব দেওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করার জন্য বলব ৷"
আরও পড়ুন: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের জন্য দায়ী আমেরিকা, দুষলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন
বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান মঙ্গলবার জানান, প্রশাসন মনে করে, 20 বা তার বেশি আমেরিকান ইজরায়েল থেকে নিখোঁজ রয়েছে ৷ তবে সেই সংখ্যাটি হামাসের হেফাজতে থাকা সংখ্যাকে প্রতিফলিত করে না। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সিএনএন'কে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউস হামাসের হেফাজতে থাকা আমেরিকান নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইজরায়েলের সঙ্গে সক্রিয় কথোপকথন করে চলেছে।